Loading AI tools
সরীসৃপের প্রজাতি উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মেনি ব্যান্ডেড ক্রেট (বৈজ্ঞানিক নাম: Bungarus multicinctus (Blyth)) এলাপিড পরিবারভুক্ত এক প্রজাতির বিষধর সাপ। এরা তাইওয়ানীজ ক্রেট বা চাইনিজ ক্রেট নামেও পরিচিত। মধ্য ও দক্ষিণ চীন এবং দক্ষিণ এশিয়ার অধিকাংশ জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে থাকে এই সর্প প্রজাতি। এডওয়ার্ড ব্লাইথ ১৮৬১ সালে প্রথম এই প্রজাতির সাপের বিবরণ দেন। এই প্রজাতির সাপেরা তাদের ভৌগোলিক পরিসরে মূলতঃ জলাজমিতে অবস্থান করে, যদিও অন্যান্য বাসভূমিতেও এদের দেখা মেলে।
মেনি ব্যান্ডেড ক্রেট (Many-banded krait) | |
---|---|
মেনি ব্যান্ডেড ক্রেট (Many-banded krait) | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
উপপর্ব: | Vertebrata |
শ্রেণী: | Reptilia |
বর্গ: | Squamata |
উপবর্গ: | Serpentes |
পরিবার: | Elapidae |
গণ: | Bungarus Daudinl, 1803[2] |
প্রজাতি: | B. multicinctus |
দ্বিপদী নাম | |
Bungarus multicinctus Blyth, 1861[3] | |
Range of the many-banded krait |
মেনি ব্যান্ডেড ক্রেট এর দুটি পরিচিত উপপ্রজাতি হল নিম্নরূপঃ[4]
১৮৬১ সালে প্রানীবিদ এবং ঔষধ প্রস্তুত কারক বিজ্ঞানী অ্যাডওয়ার্ড ব্লাইদ-এর দ্বারা বর্নিত [2][5] হওয়ার পর থেকে Bungarus multicinctus ছিল এই প্রজাতির সাপের দ্বিনাম। বাঙ্গারাস (Bungarus) গোত্র নামটি তেলুগু বাঙ্গারু (baṅgāru)অর্থাৎ ক্রেট শব্দের ল্যাটিন রূপ।[6] প্রজাতিগত নাম মাল্টিসিনস্টাস (multicinctus), ল্যাটিন মাল্টি(বহুবচনে মুল্টাস) শব্দ থেকে ব্যুৎপত্তি জাত। মাল্টি বা মুল্টাস এর অর্থ "অনেক" বা "প্রচুর"[7] এবং ল্যাটিন শব্দ সিনস্টাস(cingere এর past participle)এর আক্ষরিক অর্থ "গোলাকৃতি করা" ("to encircle") যেমন-ব্যান্ড ("band")।[8] তাই সম্পূর্ণ প্রজাতিগত নাম Bungarus multicinctus এর আক্ষরিক অর্থ ব্যান্ডযুক্ত ক্রেট। পরিচিত নাম "ক্রেট" ("krait") হিন্দী শব্দ "কারাইত"(करैत karait)থেকে এসেছে, যা সম্ভবত সংস্কৃত শব্দ "কাল"(काल kāla) থেকে আগত, যার অর্থ কালো। [9]
"ক্রেট" ("krait") নামে সাধারন ভাবে পরিচিত এই সাপেরা এলাপিড পরিবার ও বাঙ্গারাস (Bungarus) বর্গের অন্তর্গত। বাঙ্গারাস বর্গভুক্ত সাপেরা এশিয়া মহাদেশ জাত। এরা অঙ্গসংস্থানগত ভাবে(morphologically) সুসঙ্গবদ্ধ এবং সঙ্গতিপূর্ন বা আসঞ্জনশীল দল গঠন করে বাস করে। এই বর্গের ১২-১৩টি প্রজাতি রয়েছে, যারা ম্যাকডোয়েল(১৯৮৭)এর মতে অঙ্গসংস্থানগত ভাবে নাজা Naja বর্গের এবং "আফ্রো-এলাপিড"দের থেকে পৃথক। ম্যাকডোয়েল বর্নিত প্রজাতিগত ভিন্নতা সর্বাধিক বেশি আফ্রিকাতে, কিন্তু দৈহিক গঠনতন্ত্র অনুসারে এশিয়াটিক বাঙ্গারাস ও ওফিওফাগাসরা প্রত্যেকে এতই অদ্ভুত যে এরা এক প্রাচীন বিপথগমন বা অপসরনকে মনে করায়। [10] স্লোউন্সকি এবং অন্যরা মনে করেন যে "ক্রেট" ("krait")রা একটি গোষ্ঠির অংশ। এই গোষ্ঠির সাথে সংঘবদ্ধ থাকে কিং কোবরারা(Ophiophagus hannah) এবং কিছুটা অদ্ভুতভাবে আফ্রিকান মাম্বা (Dendroaspis)। এই ব্যাপারটি কোবরাদের মোনোফাইলি(monophyly) এবং কোবরা ও মাম্বাদের ফনাধারন স্বভাবের বিষয়ে সাদৃশ্যতা সম্বন্ধে যে অনিয়শ্চয়তা রয়েছে সে ব্যাপারে প্রশ্ন তোলে কোবরা,ক্রেট ও মাম্বাদের মধ্যে সম্পর্ক ভিন্নরকমের হয় এদের Maximum parsimony ও সাদৃশতার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচারে। এখানে এটাই নির্দেশ করে যে এই প্রজাতিগুলির মধ্যেকার সম্পর্কের জটিলতার সমাধানে আরো কাজ হওয়া প্রয়োজন। [11] বাঙ্গারাস এবং সমুদ্র সর্পপ্রাজাতি(Hydrophiinae)র বিষয়ে ম্যাকডোয়েলের গবেষণালব্ধ তথ্য থেকে জানা যায় "ক্রেট" ("krait")রা এলাপিড "palatine-erectors" এবং (Hydrophiinae) "palatine draggers" এর মধ্যবর্তী এক শাখা হতে পারে। hydrophiinae বর্গের দুটি প্রজাতি বিশেষত ম্যাকডোয়েলের এই প্রতিপাদ্য বিষয়টি সমর্থন করে। সমুদ্র সাপ অথবা hydrophiinae বর্গের এই দুটি সাপের গোত্র হল Salomonelaps ও Loveridgelaps এবং এদের মধ্যে অনেক অনুরুপ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। [12] মাও এবং অন্যান্য বিঞানীরা(Mao et al) ১৯৮৩ সালে দেখেছিলেন যে এই মেনি ব্যান্ডেড ক্রেট (Bungarus multicinctus) অন্যান্য বাঙ্গারাস প্রজাতির সাপের থেকে সামান্য কিছুটা ভিন্ন এবং এরা Elapsoidea sundevalli (Sundevall's garter snake),Naja naja (ভারতীয় কোবরা) ঝঅথবা দুটি Micrurus প্রজাতি (New World or American coral snakes) অপেক্ষা Laticauda, terrestrial Australian elapids এবং প্রকৃত সামুদ্রিক সর্পদের সাথে অধিকতর সাদৃশ্যপূর্ন।[13] মাও এবং অন্যান্য বিজ্ঞানী(Mao et al)১৯৮৩ এর এই ভাবনার সাথে মিনটন Minton (১৯৮১) Schwaner et al. ও ক্যাডেল এবং জরমান (১৯৮১)এর ধারণার মিল দেখা যায়। মেনি ব্যান্ডেড ক্রেট এর সাথে যেসব অসংখ্য এলাপিডপরিবার ভুক্ত সাপেদের তুলনা করা হত ইতিপূর্বে, বর্তমান সমীক্ষায় দেখা যায় যে অস্ট্রেলিয়ান এলাপিডস (Australian elapids), ল্যাটিকৌডাLaticauda এবং প্রকৃত সামুদ্রিক সর্পদের সাথে মেনি ব্যান্ডেড ক্রেটদের অধিকতর মিল আছে।[14]
মেনি ব্যান্ডেড ক্রেট এর দৈর্ঘ্য মাঝারি থেকে দীর্ঘ হয়; গড় দৈর্ঘ্য ১ থেকে ১.৫মিটার(৩.৩ থেকে ৪.৯ ফুট)। এদের সর্বাপেক্ষা বেশি দৈর্ঘ্য হতে পারে ১.৮৫মিটার(৬.১ ফুট) পর্যন্ত। এদের দেহ সরু এবং খানিকটা চাপা। এই প্রজাতির সাপের আঁশগুলি মসৃন এবং চকচকে এবং একটি মেরুদন্ডীয় প্রান্ত বা পার্শ্বরেখা সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। এদের বর্ন কালো অথবা ঘন নীলচে কালো এবং প্রায় ২১ থেকে ৩০টি সাদা বা দুধের সরের রঙের ব্যান্ড বা বন্ধনী থেকে সারা দেহে। দীর্ঘতর সাপের ক্ষেত্রে এই সাদা বন্ধনীর সংখ্যা অধিকতর। এই প্রজাতির লেজটি ক্ষুদ্র, তীক্ষ্ণ, কালো বর্নের এবং ৭ থেকে ১১টি সাদা বন্ধনী যুক্ত। মেনি ব্যান্ডেড ক্রেটের উদরদেশ স্বভাবত সাদা বর্নের, তবে ঘিয়ে বা দুধ সাদা রঙেরও হতে পারে।[15] এদের মাথা মূলতঃ কালো রঙের, প্রশস্ত এবং ডিম্বাকৃতি। কিন্তু চ্যাপ্টা ও দেহ থেকে সামান্য পৃথক। মেনি ব্যান্ডেড ক্রেটের চোখগুলি ক্ষুদ্র এবং কালো রঙের। চোখের মনিও কালো বর্নের, তাই এদের খেয়াল করা মুশকিল। এই প্রজাতির সাপেদের নাসিকাছিদ্র বৃহদাকারের হয়। এদের বিষদাঁতগুলি আকারে ক্ষুদ্র, স্থির ভাবে আটকানো এবং উপরের চোয়ালের অগ্রবর্তী অংশে অবস্থিত। এই প্রজাতির শিশু সাপেদের মাথার নিম্নভাগে সাধারণত সাদাটে ছোপ দেখা যায়।[16][17]
মেনি ব্যান্ডেড ক্রেটের পৃষ্ঠদেশীয় আঁশ বিন্যাস ১৫টি সারিতে বিন্যস্ত। উদরদেশের আঁশ পুরুষের ২০০-২৩১ টি এবং স্ত্রীর দেহে ১৯৮-২২৭ টি। এদের লেজ ক্ষুদ্র ও ক্রমশ সরু হয়ে যাওয়ায় সাবক্যাডুল বা লেজের নিম্ন ভাগের আঁশগুলি গোটা এবং অবিভক্ত; পুরুষ দেহে ৪৩-৫৪টি এবং স্ত্রী দেহে ৩৭-৫৫টি আঁশ থাকে।[17]
মেনি ব্যান্ডেড ক্রেটদের দেখা যায় তাইওয়ান দ্বীপ জুড়ে (মাতসু এবং কিনমেন দ্বীপপুঞ্জে ), চীনের মূল ভূখন্ডের মধ্য ও দক্ষিণ অংশে (হাইনান, আনহুই, সিছুয়ান, কুয়াংতুং, কুয়াংশি, হুনান,হুবেই, ইউন্নান, কুইচৌ, চিয়াংশি, চচিয়াং ও ফুচিয়েন প্রদেশে), হংকং, মায়ানমার, লাওস এবং উত্তর ভিয়েতনাম এ।[15] থাইল্যান্ডেও এদের খোঁজ পাওয়া যায়। [16]
যদিও প্রায় ১৫০০মিটার(৪৯০০ফুট) উচ্চতায় [1] ও এদের দর্শন মেলে, এই প্রজাতির সাপেদের আরো বেশি দেখা যায় আর্দ্র নিম্নভূমিতে। এদের প্রায়শই দেখা যায় উপক্রান্তীয় অঞ্চল থেকে জলাভূমি পর্যন্ত।[16] এদের প্রায়শই দেখা যায় গুল্মভূমিতে, জঙ্গলে। ইহারা প্রায়শই জল এর কাছাকাছি থাকে যেমন- নদী, পাহাড়ি ঝর্ণা ও গর্তে। গ্রামাঞ্চলে এবং শহরতলি অঞ্চলে এদের দেখা মিলতে পারে।[15] এই সাপেরা অন্যান্য বাসভূমিতেও বাস করে।[1]
মেনি ব্যান্ডেড ক্রেট রাত্রিবেলায় চলা-ফেরা করে এবং সক্রিয় হয়। এই সময়ই (রাত্রিবেলা) এরা অপেক্ষাকৃত বেশি আত্ম্রক্ষাকারী, এই কারণেই এরা ভীরু ও শান্তিপূর্ন স্বভাবের সাপ। দিনের বেলায় এরা গর্তে বা পাথরের নিচে লুকিয়ে থাকে। এই সর্প প্রজাতি নভেম্বর এ শীতঘুমে যায় এবং এপ্রিলে প্রকাশে আসে। এই প্রজাতির সাপেরা শঙ্খিনী (Bungarus fasciatus) অপেক্ষা বেশি প্রতিরক্ষামূলক হয় বলে মনে করা হয়। এদের ধরতে গেলে বা এদের সামনে বাধার সৃষ্টি করলে নিজেকে আছাড় মারতে থাকে।[15]
অন্যান্য বাঙ্গারাস (Bungarus)প্রজাতির সাপেদের প্রাথমিক খাদ্য হল সর্প, কিন্তু মেনি ব্যান্ডেড ক্রেটদের খাদ্য হল মাছ।[18] তবে এরা অনেক সময় অন্যান্য প্রজাতির সাপ আবার নিজেদের প্রজাতির সাপও ভক্ষন করে। এই প্রজাতির সাপেরা ইঁদুর , ইল মাছ,ব্যাঙ এবং মাঝেমধ্যে টিকটিকিও খেয়ে থাকে।[16]
এই মেনি ব্যান্ডেড ক্রেটদের প্রজনন সংক্রান্ত বিষয়ে খুবই সীমিত তথ্য পাওয়া যায়। অনেক এলাপিডদের মতো, এই প্রজাতির সাপেরাও অন্ডজ বা ডিম্বনালীজাত। এদের মিলন ঘটে আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে। স্ত্রীরা সাধারণত ৩-১৫ টি ডিম পাড়ে (সর্বাধিক ২০টি পর্যন্ত ডিম হতে পাড়ে)। বসন্ত কালের শেষদিকে অথবা গ্রীষ্মের প্রথমদিকে সাধারণত জুন মাসে। ডিম ফোটে সাধারণত প্রায় দেড় মাস পরে। ডিম ফুটে বেরোনো বাচ্চাগুলি দৈর্ঘ্যে ২৫সেন্টিমিটার(৯.৮ মিটার) হয়।[15]
মেনি ব্যান্ডেড ক্রেটের বিষ গঠিত হয় প্রি-সাইন্যাপ্টিক এবং পোস্ট-সাইন্যাপ্টিক নিউরোটক্সিনস দ্বারা। নিউরোটক্সিনসগুলি আলফা-বাঙ্গারোটক্সিনস এবং বিটা-বাঙ্গারোটক্সিনস নামে পরিচিত। সর্প-কেন্দ্রে অবস্থানকারী এই প্রজাতির সাপের গড় বিষ নির্গমন কামড়প্রতি প্রায় ৪.৬মিগ্রা-১৮.৭মিগ্রা ।[15] এদের বিষ ভীষন ক্রিয়াশীল এবং ইঁদুরের উপর পরীক্ষায় এর এলডি50 হল ০.০৯মিগ্রা/কেজি থেকে ০.১০৮মিগ্রা/কেজি।[19][20] ইঁদুরের উপর মেনি ব্যান্ডেড ক্রেটের বিষ প্রয়োগ করে প্রাপ্ত সাবকিউটেনিয়াস এলডি50 হল ০.১১৩মিগ্রা/কেজি, ইন্ট্রাভেনাস এবং ইন্ট্রাপেরিটোনিয়াল এলডি50 হল ০.০৮মিগ্রা/কেজি।[19] বিভিন্ন এলডি50 সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে বলা হয় যে মেনি ব্যান্ডেড ক্রেট পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা বিষধর স্থলবাসী সাপেদের মধ্যে অন্যতম। [20]
আলফা-বাঙ্গারোটক্সিনস বিষ স্নায়ুকলার অর্থাৎ কলার আনুবিক্ষনীক বিষয়ে গুরুত্পূরর্ন এবং এটি স্নায়ুকলার সংযোগের গ্রাহকগুলিকে একটি দিক দিয়ে আবব্ধ করে দেয় আর সেই স্থানে ফ্লুরোসেন্ট প্রোটিনস (fluorescent proteins) যেমন- গ্রিন ফ্লুরোসেন্ট প্রোটিন অথবা রোডামিন ডাই টেট্রামিথাইল আইসোথিওসায়ানেট (tetramethylrhodamine isothiocyanate) যৌগ উৎপন্ন করে। [21]
মেনি ব্যান্ডেড ক্রেটের দংশনে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে যে উপসর্গগুলি দেখা যায়, তাতে গুরুতর রকম ফুলে ওঠা বা ব্যাথা পরিলক্ষিত হয় না। আক্রান্ত ব্যক্তি সামান্য জ্বালা্র বা চুলকানির ভাব অনুভব করে ও তার শরীরে বিবশতা বা অসাড় ভাব লক্ষ্য করা যায়। প্রধান ও পদ্ধতিগত উপসর্গ সাধারনত দেখা যায় কামড় খাওয়ার ১ থেকে ৪ ঘণ্টা পরে। প্রধান উপসর্গগুলির মধ্যে দেখা যায়- চোখের পেশীর পক্ষাঘাতের দরুন চোখের উপরের পাতা ঝুলে পড়া, ডিপলোপিয়া, বুকে অস্বস্তি,সাধারন ব্যাথা, অঙ্গপ্রত্যঙ্গে দূর্বল অনুভূতি, অ্যাটাকসিয়া, জিভের অসাড়তা, কণ্ঠস্বর রূদ্ধ হওয়া, গলাধঃকরনে অসুবিধা, দৃষ্টিশক্তির হ্রাস এবং শ্বাস কষ্ট। দংশনে বিষের মাত্রা গুরুতর হলে শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। [15]
সময়মতো এবং ঠিকমতো চিকিৎসা না করালে,মেনি ব্যান্ডেড ক্রেটের কামড়ে মৃত্যুর হার, বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে (২০-৩০%[16] থেকে ৭৭-১০০% পর্যন্ত)।[22] ভিয়েতনাম যুদ্ধ চলাকালীন, আমেরিকান সৈন্যরা এই প্রজাতির সর্পের সন্মুখীন হয় এবং এদের তারা "টু স্টেপ স্নেক" (“two-step snake”) নামে অভিহিত করে। এই নামকরণ আমেরিকান সৈন্যদের ভুল ধারনার ফল। তাদের এই ধারণা হয়েছিল, এই প্রজাতির বিষ এতটাই ভয়ানক যে দংশিত ব্যক্তি দু'পা এগোনোর পরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।[23]
এই মেনি ব্যান্ডেড ক্রেট প্রথম সারা পৃথিবীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে যখন ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর মায়ানমারের ডাঃ জো স্লোউন্সকি এই প্রজাতির শিশু সাপের কামড়ে মারা যান, দংশনের ঠিক ২৯ ঘণ্টা পরে।[23]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.