মাস্ট কোষ
যোজক কলায় অবস্থিত একটি কোষ যা অ্যলার্জি সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে / From Wikipedia, the free encyclopedia
মাস্ট কোষ (ইংরেজি: mast cell) হলো যোজক কলার একটি আবাসিক কোষ যার মধ্যে হেপারিন ও হিস্টামিনসমৃদ্ধ অনেক দানা রয়েছে। বাংলায় এটিকে পৃথুল কোষ বলা হয়, [1] এর অপর নাম হলো মাস্টোসাইট বা ল্যাব্রোসাইট।[2] নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে এটি মায়েলয়েড মাতৃকোষ থেকে উদ্ভূত এক ধরনের দানাদার কোষ (গ্র্যানুলোসাইট) যা রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা ও স্নায়ু-অনাক্রম্যতন্ত্র বা নিউরোইমিউন সিস্টেমের অংশ। রক্তনালির আশেপাশে এবং যে-সব যোজক কলা বাহ্যিক পরিবেশের সংস্পর্শে থাকে, সেগুলোতে মাস্ট কোষের পরিমাণ বেশি, যেমন আবরণী তলের নিচে, ত্বক, ফুসফুস ও পরিপাক নালির শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি, মুখ, নেত্রবর্ত্মকলা ও নাক।[3] এদের দানায় প্রোটিওগ্লাইক্যান, হিস্টামিন ও অনেক প্রোটিয়েজ থাকে।[4] ১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দে জার্মান বিজ্ঞানী পাউল এরলিখ মাস্ট কোষ আবিষ্কার করেছিলেন।[5] অ্যালার্জি ও অ্যানাফিল্যাক্সিস (অতিসংবেদ্যতা) সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখার জন্য সুপরিচিত হলেও পৃথুল কোষ প্রতিরক্ষাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যেমন ক্ষত নিরাময়, অনাক্রম্য সহিষ্ণুতা (ইমিউন টলার্যান্স), অ্যাঞ্জিওজেনেসিস (বাহজনন), রোগোৎপাদক জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা এবং মস্তিষ্কের অর্বুদের রক্তবাহের ভেদ্যতা নিয়ন্ত্রণ।[6][7]
মাস্ট কোষ (পৃথুল কোষ) | |
---|---|
বিস্তারিত | |
পূর্বভ্রূণ | রক্তোৎপাদী মাতৃকোষ (সিডি৩৪+ মায়েলয়েড পূর্বগকোষ) |
তন্ত্র | অনাক্রম্যতন্ত্র |
শনাক্তকারী | |
লাতিন | mastocytus (মাস্তোকিতুস) |
মে-এসএইচ | D008407 |
টিএইচ | H2.00.03.0.01010 |
এফএমএ | FMA:66784 |
মাইক্রো শারীরস্থান পরিভাষা |
পৃথুল কোষ গঠন ও কাজের দিক থেকে বেসোফিলের মতো হলেও তারা ভিন্ন কোষ। একসময় পৃথুল কোষকে টিসু-বাসী বেসোফিল হিসেবে ভাবা হতো, তবে এখন প্রমাণ হয়েছে যে দুটি কোষ ভিন্ন ভিন্ন বংশধারার রক্তোৎপাদী মাতৃকোষ থেকে উৎপত্তি লাভ করে।[8]