মালি
From Wikipedia, the free encyclopedia
মালি[lower-alpha 1] (/ˈmɑːli/ (শুনুনⓘ); ফরাসি উচ্চারণ: [mali]), যার দাফতরিক নাম মালি প্রজাতন্ত্র[lower-alpha 2] (ফরাসি: République du Mali), হল পশ্চিম আফ্রিকার স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র। ১২,৪০,০০০ বর্গকিলোমিটার (৪,৮০,০০০ মা২) আয়তনের মালি আফ্রিকার অষ্টম বৃহত্তম দেশ। মালির জনসংখ্যা ২১.৯ মিলিয়ন।[9][10] ২০১৭ সালে দেশটির জনসংখ্যার ৬৭% ২৫ বছরের কম বয়সী ছিল বলে অনুমান করা হয়।[11] এর রাজধানী ও সবচেয়ে বড় শহর বামাকো। সার্বভৌম রাষ্ট্র মালি আটটি অঞ্চল নিয়ে গঠিত এবং উত্তরাঞ্চলে এর সীমান্ত সাহারা মরুভূমির মাঝখানে গভীর পর্যন্ত পৌঁছয়। দেশটির দক্ষিণ অংশ সুদানীয় নিষ্পাদপ প্রান্তরে অবস্থিত, যেখানে বেশিরভাগ বাসিন্দা বাস করে এবং নাইজার ও সেনেগাল উভয় নদীই ওই এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে। দেশটির অর্থনীতি কৃষি ও খননের উপর নির্ভরশীল। মালির অন্যতম প্রধান প্রাকৃতিক সম্পদ হল সোনা এবং দেশটি আফ্রিকা মহাদেশে তৃতীয় বৃহত্তম সোনা উৎপাদনকারী।[12] এছাড়াও এটি লবণ রফতানি করে।[13]
মালি প্রজাতন্ত্র | |
---|---|
নীতিবাক্য: “Un peuple, un but, une foi” (ফরাসি) “এক জনতা, এক লক্ষ্য, এক বিশ্বাস” | |
জাতীয় সঙ্গীত: “Le Mali” (ফরাসি) “মালি” | |
মালি-এর অবস্থান (সবুজ) | |
রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি | বামাকো ১২°৩৯′ উত্তর ৮°০′ পশ্চিম |
সরকারি ভাষা | ফরাসি |
অন্যান্য ভাষা | মালির ভাষাসমূহ |
নৃগোষ্ঠী |
|
ধর্ম (২০২০) |
|
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | মালীয় |
সরকার | সামরিক হুন্তাধীন এককেন্দ্রিক অর্ধ-রাষ্ট্রপতিশাসিত প্রজাতন্ত্র[2] |
• রাষ্ট্রপতি | আসিমি গইতা (অন্তর্বর্তীকালীন) |
• প্রধানমন্ত্রী | শোগুয়েল কোকাল্লা মাইগা (ভারপ্রাপ্ত) |
আইন-সভা | জাতীয় ক্রান্তিকালীন পরিষদ |
প্রতিষ্ঠা | |
• সুদানীয় প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা | ২৪ নভেম্বর ১৯৫৮ |
৪ এপ্রিল ১৯৬০ | |
• ফরাসি ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ | ২০ জুনে ১৯৬০ |
• মালি ফেডারেশনের বিলোপ | ২০ অগাস্ট ১৯৬০ |
• মালি প্রজাতন্ত্রের ঘোষণা | ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৬০ |
আয়তন | |
• মোট | ১২,৪০,১৯২ কিমি২ (৪,৭৮,৮৪১ মা২) (২৩শ) |
• পানি (%) | ১.৬ |
জনসংখ্যা | |
• ২০২২ আনুমানিক | ২১,৪৭৩,৭৬৪[3] (৬০শ) |
• নভেম্বর ২০১৮ আদমশুমারি | ১৯,৩২৯,৮৪১[4] |
• ঘনত্ব | ১১.৭/কিমি২ (৩০.৩/বর্গমাইল) (২১৫শ) |
জিডিপি (পিপিপি) | ২০১৮ আনুমানিক |
• মোট | $৪৪.৩২৯ বিলিয়ন[5] |
• মাথাপিছু | $২,২৭১[5] |
জিডিপি (মনোনীত) | ২০১৮ আনুমানিক |
• মোট | $১৭.৪০৭ বিলিয়ন[5] |
• মাথাপিছু | $৮৯১[5] |
জিনি (২০১০) | ৩৩.০[6] মাধ্যম |
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৯) | ০.৪৩৪[7] নিম্ন · ১৮৪শ |
মুদ্রা | পশ্চিম আফ্রিকান সিএফএ ফ্রাঙ্ক (XOF) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি (গ্রিমাস) |
তারিখ বিন্যাস | দদ/মম/সসসস |
গাড়ী চালনার দিক | ডানদিক[8] |
কলিং কোড | +223 |
ইন্টারনেট টিএলডি | .ml |
পশ্চিম আফ্রিকার এই বড় দেশটির উত্তরে প্রায় অর্ধেক জুড়ে রয়েছে সাহারা মরুভূমি। দেশের বাকি অংশ জুড়ে রয়েছে সবুজ তৃণভূমি। গরিব কৃষি ভিত্তিক দেশটিতে বিভিন্ন সময়ে খরায় বহু মানুষ ও প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। দেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষ্ণকায় আফ্রিকি, তাদের বাস গ্রামাঞ্চলে, জীবিকা কৃষিকাজ ও পশুপালন। মালিতে বহু খনিজ পদার্থ থাকলেও তার ব্যবহার খুব অল্প। ৩০০০ থেকে ১৫০০ অব্দ পর্যন্ত দেশটি আফ্রিকার তিনটি শক্তিশালী সাম্রাজ্য ঘানা, মালি ও সোঙ্গাই সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। ১৮৯৫ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত ফরাসিদের অধিকারে ছিলো দেশটি। ১৯৬০ সালে মালি স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৯১ সালে মালি স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত হয় এক সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত হয় গণতান্ত্রিক নির্বাচন। মালির অধিকাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী। ২০১১ সালে থেকে দেশের উত্তর প্রান্তে তুয়ারেগ জাতি গোষ্ঠীর বিদ্রোহ দেখা দেয়। বিদ্রোহ দমনে সরকারি ব্যর্থতার অভিযোগে মাঝারি পদের কিছু সেনা ২০১২ সালের ২২শে মার্চ রাষ্ট্রপতি আমাদো টোরেকে ক্ষমতাচ্যূত করে সামরিক শাসন জারি করে। ইকনমি কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস'এর মধ্যস্থতায় এপ্রিল মাসে বেসামরিক শাসন পুনর্বহাল হয়, অন্তর্বর্তী রাষ্ট্রপতি হন ডিওনকোন্ডা ট্রারোরে। অভ্যুত্থান পরবর্তী বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দেশের উত্তর প্রান্তের তিনটি অঞ্চল অধিকার করে নেয় বিদ্রোহীরা। ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে অঞ্চলগুলি পুনর্দখলে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। দেশে নির্বাচন হওয়ার কথা ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে।