হার্বার্ট মার্শাল ম্যাকলুহান, (জন্ম: ২১ জুলাই, ১৯১১ - মৃত্যু: ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৮০) ইংরেজি সাহিত্যে কানাডীয় অধ্যাপক ও দার্শনিক ছিলেন। পরবর্তীকালে মার্শাল ম্যাকলুহান প্রচারমাধ্যমের দিকে ঝুঁকে পড়েন। প্রচারমাধ্যমের মাধ্যমে সমাজের প্রভাব বিষয়ে তার সম্যক আগ্রহ ছিল। তাকে `বিশ্বগ্রাম ধারণার জনক বা প্রবর্তক' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে।

দ্রুত তথ্য মার্শাল ম্যাকলুহান, জন্ম ...
মার্শাল ম্যাকলুহান
Thumb
আনুমানিক ১৯৩৬ সালে মার্শাল ম্যাকলুহান
জন্ম
হার্বার্ট মার্শাল ম্যাকলুহান

(১৯১১-০৭-২১)২১ জুলাই ১৯১১
মৃত্যুডিসেম্বর ৩১, ১৯৮০(1980-12-31) (বয়স ৬৯)
ধারাপ্রচার মাধ্যম তত্ত্ব, টরন্টো স্কুল অব কম্যুনিকেশ থিয়োরি
প্রধান আগ্রহ
প্রচার মাধ্যম, গণমাধ্যম, বোধশক্তিতত্ত্ব, নব্য সমালোচনাবাদ
উল্লেখযোগ্য অবদান
দ্য মিডিয়াম ইজ দ্য মেসেজ, বিশ্বগ্রাম, ফিগার এন্ড গ্রাউন্ড মিডিয়া, টেট্রাড অব মিডিয়া ইফেক্টস, হট এন্ড কুল মিডিয়া
ভাবগুরু
  • হ্যারল্ড ইনিস, এরিক এ. হ্যাভলক, টমাস ন্যাশ, জি. কে. চেস্টারটন, আই. এ. রিচার্ডস, এফ. আর. লিভিস, ওয়েন্ধম লুইস, জেমস জয়েস, মার্সেল ডাচাম্প
ভাবশিষ্য
  • ওয়াল্টার জে. অং, নিল পোস্টম্যান, টিমোথি লিরি, টেরেন্স ম্যাককেনা, ওয়্যার্ড, উইলিয়াম ইরিন থম্পসন, পল লেভিনসন, ডগলাস রাশকফ, ডগলাস কুপল্যান্ড, জ্যঁ বদ্রিলার্ড, অ্যাবি হফম্যান, অ্যান নোসেন্টি[1]
বন্ধ

বিজ্ঞাপনটেলিভিশন শিল্পে তিনি বেশকিছু বিষয়ে ব্যবহারিক প্রয়োগ নিয়ে কাজ করে গেছেন।[2][3] 'আন্ডারস্ট্যান্ডিং মিডিয়া: দি এক্সটেনশনস অব ম্যান' তাঁর অন্যতম সেরা গ্রন্থ।

পরিচিতি

প্রচারমাধ্যমকে বার্তাবাহক ও বিশ্বগ্রাম হিসেবে পরিচিত করে জনপ্রিয় হয়েছেন তিনি।[4] ১৯৬০-এর দশকের শেষদিক পর্যন্ত প্রচারমাধ্যম থেকে দূরে থাকলেও ১৯৭০-এর দশকের শুরুতে এতে প্রভাববিস্তার করতে শুরু করেন।[5] তাঁর মৃত্যু পরবর্তী বছরগুলোয় শিক্ষাঙ্গনে বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।[6] ইন্টারনেট ব্যবস্থা প্রবর্তনের পর তাঁর কার্যাবলী ও দৃষ্টিভঙ্গী পুনরায় আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।[7][8][9]

দ্য গুটেনবার্গ গ্যালাক্সি

ম্যাকলুহানের "দ্য গুটেনবার্গ গ্যালাক্সি: দ্য মেকিং অব টাইপোগ্রাফিক ম্যান" (১৯৬২) মূলতঃ মুদ্রণের ইতিহাস ও সমাজে এর প্রভাব সম্পর্কিত গ্রন্থ। এ গ্রন্থে ম্যাকলুহান দেখিয়েছেন যে কীভাবে বর্ণলিখন, মুদ্রণ শিল্প ও পরবর্তীকালে গণমাধ্যমে চিন্তাধারার প্রতিফলন ঘটে যা পরবর্তীতে সামাজিক সংগঠনে প্রভাববিস্তার করে।

গ্রন্থে তার জীবন দর্শন নিম্নরূপ:-

  • নতুন ইলেকট্রনিক আন্তঃনির্ভরশীলতা পৃথিবীতে বিশ্বগ্রামের প্রতিকৃতি হিসেবে পুণঃপ্রবর্তন করেছে। মনে রাখুন, এটি লিখিত দলিল যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ধারণার পূর্বে রচিত হয়েছে।[10]p31
  • অশিক্ষিত সমাজ ব্যবস্থায় কেউ ব্যকরণসিদ্ধ ভুল করতে পারে না।[10]p239
  • মুদ্রণলিপি নীরবতার ভাষাকে হস্তগত করেছে।[10]p251

আন্ডারস্ট্যান্ডিং মিডিয়া

আন্ডারস্ট্যান্ডিং মিডিয়া: দি এক্সটেনশনস অব ম্যান প্রচারমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া বিষয়ক পথিকৃৎ শিক্ষা। এ গ্রন্থে প্রচারমাধ্যমের প্রভাবে তাদের কর্মসূচী গুরুত্বপূর্ণ দিকে ধাবিত হবার কথা তুলে ধরা হয়। কীভাবে বিভিন্ন মাধ্যম সমাজে প্রভাববিস্তার করে তারই চেষ্টা সম্পর্কে বুঝানো হয়েছে এখানে। ম্যাকলুহানের মতে প্রচারমাধ্যম ভূমিকা রাখছে। এটি শুধুমাত্র তথ্য সরবরাহ করেই ক্ষান্ত হয় না বরং প্রচারমাধ্যম নিজেই অন্যতম চরিত্র। ম্যাকলুহান এ গ্রন্থে লিখেছেন যে, একটি প্রজ্জ্বলিত বাল্ব তার স্বকীয় উজ্জ্বলতার মাধ্যমে পরিবেশ সৃষ্টিতে সক্ষম।[11]

গ্রন্থের অন্যতম প্রসিদ্ধ বাক্য হচ্ছে - দ্য মিডিয়াম ইজ দ্য ম্যাসেজ। (প্রচারমাধ্যমই বার্তা) এটি একটি ধারণা যা একটি প্রচারমাধ্যম যেমন টেলিভিশন প্রকৃতপক্ষে বিভিন্ন তথ্য প্রদানের মাধ্যম হিসেবে দেখা ও অনুধাবনের মাধ্যমে প্রভাববিস্তার ঘটায়।

দ্য মিডিয়াম ইজ দ্য ম্যাসেজ

দ্য মিডিয়াম ইজ দ্য ম্যাসেজ: অ্যান ইনভেনটরি অব ইফেক্টস (১৯৬৭) গ্রন্থটি ব্যাপকভাবে পাঠক কর্তৃক সমাদৃত হয়।[8] বিশ্বব্যাপী প্রায় এক মিলিয়ন কপি বিক্রয় হয়।[12]

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

বহিঃসংযোগ

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.