মার্টিন স্কোরসেজি
From Wikipedia, the free encyclopedia
মার্টিন স্কোরসেজি[1] (পূর্ণ নাম: Martin Marcantonio Luciano Scorsese ইংরেজি উচ্চারণ: মার্টিন মার্ক্যান্টোনিও লুচিয়নো স্করসেসি,[2] ইতালীয় উচ্চারণ: মার্তিন মার্কান্তোনিও লুচানো স্কোরসেজি)[lower-alpha 1] (জন্ম নভেম্বর ১৭ ১৯৪২)[3][4][5][6] একজন জনপ্রিয় ও বিখ্যাত মার্কিন চলচ্চিত্র নির্দেশক। স্কোরসেজির কাজের ধারা মূলত ইতালীয়-মার্কিন অস্তিত্ব, পাপবোধ আর মুক্তির ক্যাথলিক ধারণা, পৌরষবোধ আর আমেরিকার সমাজব্যবস্থায় সন্ত্রাসের প্রভাব সংশ্লিষ্ট। তিনি সমালোচকদের মাঝে তার চলচ্চিত্র নির্দেশনার জন্য প্রশংসিত।
মার্টিন স্কোরসেজি | |
---|---|
জন্ম | (1942-11-17) ১৭ নভেম্বর ১৯৪২ (বয়স ৮১) |
মাতৃশিক্ষায়তন | নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার |
কর্মজীবন | ১৯৬৩–বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | লারাইনে মারি ব্রেনান (১৯৬৫–১৯৭১) জুলিয়া ক্যামেরুন (১৯৭৬-১৯৭৭) ইসাবেলা রোসেলিনি (১৯৭৯–১৯৮২) বারবারা ডি ফিনা (১৯৮৫–১৯৯১) হেলেন শ্চের্মের্হন মরিস (১৯৯৯–বর্তমান) |
সন্তান | ৩ |
পিতা-মাতা | চার্লস স্কোরসেজি (পিতা) ক্যাথরিন স্কোরসেজি (মাতা) |
অস্কারজয়ী এই বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্দেশককে বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তি সব চলচ্চিত্র নির্দেশকদের মাঝে একজন অন্যতম প্রধান ও প্রভাবশালী নির্দেশক হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি ২০০৬ সালে একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। সবচেয়ে বেশি একাডেমি পুরস্কারে মনোনীত জীবিত পরিচালকদের মধ্যে তিনি প্রথম এবং সামগ্রিক ভাবে পরিচালকদের মধ্যে মনোনয়ন জন্য বিলি ওয়াইল্ডার এর সাথে তিনি দ্বিতীয়।
বন্ধু জর্জ লুকাস, ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা, স্টিভেন স্পিলবার্গ ও ব্রায়ান ডি পালমাদের সাথে হলিউড নিউ ওয়েব সিনেমার সৃষ্টির ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী চলচ্চিত্র নির্মাতাদের একজন মার্টিন স্কোরসেজি। ১৯৯০ সালে তিনি চলচ্চিত্র ফাউন্ডেশন, একটি অলাভজনক চলচ্চিত্র সংরক্ষণ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০০৭ সালে তিনি বিশ্ব চলচ্চিত্র ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন।
চলচ্চিত্রে তার অবদানের জন্য তিনি আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট (এএফআই) আজীবন সম্মাননা পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ পরিচালনার জন্য একাডেমি পুরস্কার (অস্কার), কান চলচ্চিত্র উৎসব এ স্বর্ণপাম এবং শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার, সিলভার লায়ন, গ্র্যামি পুরস্কার, এমি পুরস্কার, গোল্ডেন গ্লোব, বাফটা পুরস্কার এবং ডিরেক্টর গিল্ড অব আমেরিকা পুরস্কার লাভ করেছেন।
বন্ধু রবার্ট ডি নিরো এর সাথে ভালো বোঝা-পড়া থাকায় শিল্পগুণে সমৃদ্ধ বহু চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছে এই পরিচালক-অভিনেতা জুটি। সিনেমা ইতিহাসের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র ১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া ভিয়েতনাম যুদ্ধ পরবর্তী চরম অস্থির সময় নিয়ে ট্যাক্সি ড্রাইভার এবং ১৯৮০ সালের আমেরিকান সাদাকালো জীবনী নির্ভর স্পোর্টস ড্রামা রেজিং বুল।