Loading AI tools
অভিনেত্রী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মার্গারেট ব্রুক সুলাভান (১৬ মে ১৯০৯ - ১ জানুয়ারি ১৯৬০)[1] ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী। তিনি ১৯২৯ সালে মঞ্চে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৩৩ সালে তিনি পরিচালক জন এম. স্টালের নজর কাড়েন এবং একই বছর অনলি ইস্টারডে চলচ্চিত্র দিয়ে বড় পর্দায় তার অভিষেক ঘটে।
মার্গারেট সুলাভান | |
---|---|
Margaret Sullavan | |
জন্ম | মার্গারেট ব্রুক সুলাভান ১৬ মে ১৯০৯ নরফোক, ভার্জিনিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মৃত্যু | জানুয়ারি ১, ১৯৬০ ৫০) নিউ হেভেন, কানেটিকাট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স
মৃত্যুর কারণ | অতিরিক্ত বার্বিচুয়ারেট গ্রহণ |
সমাধি | সেন্ট ম্যারিস হোয়াইটচ্যাপেল এপিস্কোপাল চার্চইয়ার্র |
জাতীয়তা | মার্কিন |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯২৯-১৯৬০ |
দাম্পত্য সঙ্গী | হেনরি ফন্ডা (বি. ১৯৩১; বিচ্ছেদ. ১৯৩৩) উইলিয়াম ওয়াইলার (বি. ১৯৩৪; বিচ্ছেদ. ১৯৩৬) লিল্যান্ড হেওয়ার্ড (বি. ১৯৩৬; বিচ্ছেদ. ১৯৪৮) কেনেথ ওয়েগ (বি. ১৯৫০) |
সন্তান | ৩, ব্রুক হেওয়ার্ড-সহ |
সুলাভান মূলত মঞ্চে কাজ করতে পছন্দ করতেন এবং মাত্র ১৬টি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন, তন্মধ্যে চারটি জেমস স্টুয়ার্টের বিপরীতে। তাদের এই যুগল বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে, এবং এই যুগলের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল দ্য মর্টাল স্ট্রর্ম ও দ্য শপ অ্যারাউন্ড দ্য কর্নার। তিনি ১৯৩৮ সালের থ্রি কমরেডস চলচ্চিত্রে তার কাজের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ১৯৪০-এর দশকের শুরুতে তিনি বড় পর্দায় থেকে অবসরে যান, কিন্তু ১৯৫০ সালে তিনি পুনরায় ফিরে আসেন এবং তার শেষ চলচ্চিত্র নো স্যাড সংস ফর মি-এ কাজ করেন। এরপর তিনি কেবল মঞ্চেই কাজ করেছেন।
সুলাভান ১৯৫০-এর দশক জুড়ে শ্রবণ-জনিত জটিলতা, হতাশায় ভোগেন এবং মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। তিনি অতিরিক্ত বার্বিচুয়ারেটস গ্রহণের ফলে ১৯৬০ সালের ১লা জানুয়ারি ৫০ বছর বয়সে মারা যান।
সুলাভান ১৯০৯ সালের ১৬ই মে ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের নরফোকে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কর্নেলিয়াস সুলাভান ছিলেন একজন ধনাঢ্য স্টকব্রোকার এবং তার স্ত্রী গারল্যান্ড কাউন্সিল সুলাভান। তার ছোট ভাই কর্নেলিয়াস ও সৎবোন লুইস গ্রেগরি।[2] শৈশবের শুরুর বছরগুলোতে তাকে অন্যান্য শিশুদের থেকে আলাদা রাখা হয়েছিল। তিনি পায়ের পেশিজনিত জটিলতায় ভোগছিলেন, যার ফলে তিনি হাটতে পারতেন না এবং ছয় বছর পর্যন্ত তিনি অন্য শিশুদের সাথে মিশতে পারেননি। এই রোগ থেকে আরোগ্য লাভের পর তিনি রোমাঞ্চকর ও বালকসুলভ শিশুতে পরিণত হন এবং তার সামাজিক শ্রেণি সচেতন পিতামাতার মানা সত্ত্বেও দরিদ্র প্রতিবেশী শিশুদের সাথে খেলাধুলা করতে পছন্দ করতেন।[3]
সুলাভান ১৯৩৩ সালের ১৬ই মে তার ২৪তম জন্মদিনে হলিউডে আগমন করেন। একই বছর অনলি ইস্টারডে দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। তিনি সতর্কতার সাথে গল্প নির্বাচন করতেন। তিনি অনলি ইস্টারডে চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন। ১৯৩৩ সালের ১০ই নভেম্বর দ্য নিউ ইয়র্ক হেরাল্ড ট্রিবিউন-এর পর্যালোচনায় রিচার্ড ওয়াটস জুনিয়র লিখেন, "সুলাভান সহানুভূতি, বুদ্ধিদীপ্ত বাকসংযম ও সত্যনিষ্ঠ অনুভূতি সহকারে বিয়োগান্ত ও প্রেম পিয়াসী নায়িকা চরিত্রে কাজ করেছেন।"[4]
তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী জার্মানির পটভূমিতে নির্মিত নাট্যধর্মী থ্রি কমরেডস চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এতে তিনি তিনজন যুদ্ধফেরত জার্মান সৈনিকের সাথে পরিচিত হন এবং ঘটনাক্রমে তাদের একজনের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই কাজের জন্য নিউ ইয়র্ক চলচ্চিত্র সমালোচক সমিতি তাকে বর্ষসেরা অভিনেত্রী বলে ঘোষণা করে এবং তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[5]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.