মারাইয়া কেরি
From Wikipedia, the free encyclopedia
মারাইয়া কেরি (জন্ম মার্চ ২৭, ১৯৬৯ বা ১৯৭০) [1] একজন আমেরিকান গায়ক, গীতিকার, রেকর্ড প্রযোজক, এবং অভিনেত্রী। ১৯৯০ সালে তার এপোনিমাস অ্যালবামের "ভিশন অফ লাভ" গানটির আত্নপ্রকাশের মাধ্যমে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন। অ্যালবামটির চারটি গানই একক ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেরা তালিকায় ছিলো এবং অ্যালবামটি বাণিজ্যিক ভাবে ব্যাপক সফল হয়েছিলো যেটি তাকে কলাম্বিয়া রেকডর্সের সর্বোচ্চ বিক্রিত অ্যালবামের খেতাব এনে দেয়। কেরি এবং বয়েজ টু ম্যান এর অ্যালবাম ১৯৯৫-১৯৯৬ এর বিলবোর্ড হট ১০০ এ একটানা ১৬ সপ্তাহ অবস্থান করে এবং এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তালিকায় সবচেয়ে বেশি সময় ধরে অবস্থান করা একক সঙ্গীত। মারাইয়া কেরির স্বামী সনি মিউজিক ইন্টারটেইনমেন্ট এর প্রধান টমি মোটোলা এর সঙ্গে বিতর্কীতভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ করে, ক্যারি নতুন রূপ ধারণ করে হিপ হপ সঙ্গীতের দিকে মনোযোগ দেন এবং ১৯৯৭-এ মুক্তি পায় তারঁ আরেকটি হিপ হপ গানের অ্যালবাম বাটারফ্লাই। ১৯৯৮ সালে ওয়ার্ল্ড মিউজিক এ্যাওয়ার্ডে বিশ্বের সেরা বিক্রিত রেকর্ডিং শিল্পী হিসেবে মারাইয়া কেরিকে সম্মানিত করা হয় এবং পরবর্তীতে ২০০০ সালে সহস্রাব্দের শ্রেষ্ঠ-বিক্রিত মহিলা শিল্পী নামে তাকে ভূষিত করা হয়।ক্যারি ২০০০ সালে কলাম্বিয়া থেকে পৃথক হয়ে যান এবং ভার্জিন রেকর্ডস আমেরিকার সঙ্গে একটি রেকর্ড ভাঙা $১০০ মিলিয়ন ডলারের রেকর্ডিং চুক্তি স্বাক্ষর করেন। তার গ্লিটার চলচ্চিত্র মুক্তির সপ্তােহ এবং ২০০১-এ তার সহগামী সাউন্ডট্র্যাক মুক্তির পূর্বে, তিনি শারীরিক ও মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন এবং কঠোর অবসাদের জন্য ক্যারিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফলে তার কাজে দুর্বলতা চলে এসেছিল এবং গায়ক ক্যারির কর্মজীবনে একটি সাধারণ পতন ঘটেছিল। ক্যারির রেকর্ডিং চুক্তিটি ভার্জিন রেকর্ডিং দ্বারা $৫০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে কেনা হয়েছিল এবং তিনি একই বছরে আইল্যান্ড রেকর্ডস এর সঙ্গে একটি মাল্টি মিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করেন। অপেক্ষাকৃত একটি অসফল সময়ের পরে তিনি ইমানসিপ্যাশন অফ মিমি ২০০৫ অ্যালবাম নিয়ে পুনরায় আত্নপ্রকাশ করেন এবং সঙ্গীতের চার্টের শীর্ষে ফিরে আসেন। অ্যালবামটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সে বছরের শ্রেষ্ঠ-বিক্রিত অ্যালবাম ও ২০০৫ সালে বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিক্রিত অ্যালবাম ছিলো এবং ক্যারির গাওয়া একক সঙ্গীতউই বিলং টুগেদার হচ্ছে তার বিংশ শতকে গাওয়া সবচেয়ে সফল একক সঙ্গীত এবং পরে বিলবোর্ড দ্বারা নামকরণ করা হয় "দশকের সেরা গান"। ক্যারি আবার চলচ্চিত্রে আগমন করে প্রিসিয়াস (চলচ্চিত্র) এ সহযোগী ভূমিকায় অংগ্রহণ করেন, এবং পাম স্প্রিংস ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এ তাকে "ব্রেকথ্রু পারফরমেন্স পুরস্কার" পুরস্কার প্রদান করা হয়। মারিয়া ক্যারির সঙ্গীত কর্মজীবনে বিশ্বব্যাপী ২০০ মিলিয়নের অধিক রেকর্ড বিক্রি হয়েছে এবং তিনি বিশ্বের সর্বকালের সেরা বিক্রিত-রেকর্ডিং শিল্পীদের মধ্য অন্যতম। RIAA এর মতে, ৬৩.৫ মিলিয়ন প্রত্যয়িত অ্যালবাম তিনি যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় সেরা-বিক্রিত মহিলা শিল্পী। ২০০৮-এ তার ১৮ নম্বর একক সঙ্গীত "টার্চ মাই বডি" আত্নপ্রকাশ পায়,যা যুক্তরাষ্ট্রে যে কোন একক শিল্পীর সঙ্গীতের সংখ্যার চেয়ে বেশি। ২০১২ সালে, ক্যারি VH1 এর "সঙ্গীতের ১০০ সেরা নারী" এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। বাণিজ্যিক দিক ছাড়াও মারিয়া ক্যারি ৫ টি গ্র্যামি পুরস্কার, ১৯ টি বিশ্ব সঙ্গীত পুরস্কার, ১১টি আমেরিকান সঙ্গীত পুরস্কার, এবং ১৪ টি বিলবোর্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন এবং প্রজন্মের গায়ক নামে এরই ধারাবাহিকতায় তিনি প্রজন্মের গায়ক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। [2] তিনি "গিনেস বিশ্ব রেকর্ড" কর্তৃক "শ্রেষ্ঠ গানের পাখি" নামে আখ্যায়িত হয়েছেন। তিনি বিখ্যাত তার পাঁচ অষ্টক কণ্ঠ্য পরিসীমা, ক্ষমতা, মেলিসমেটিক শৈলী এবং অসাধারন স্বাক্ষর ব্যবহারের জন্য।
মারাইয়া কেরি | |
---|---|
জন্ম | (১৯৬৯-০৩-২৭)২৭ মার্চ ১৯৬৯ অথবা (১৯৭০-০৩-২৭)২৭ মার্চ ১৯৭০ (বয়স ৫৪ অথবা ৫৫) হানিংটন, নিউ ইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র |
পেশা |
|
কর্মজীবন | ১৯৮৮-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
সন্তান | ২ |
সঙ্গীত কর্মজীবন | |
ধরন | |
বাদ্যযন্ত্র | কন্ঠ |
লেবেল |
|
ওয়েবসাইট | mariahcarey |