মানব অঙ্গসংস্থানবিদ্যা
From Wikipedia, the free encyclopedia
মানব অঙ্গসংস্থানবিদ্যা (ইংরেজি: Human anatomy) বলতে প্রধানত মানবদেহের গঠন সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে বোঝায়।[1] এটি সামগ্রিক অঙ্গসংস্থানবিদ্যা (Gross anatomy) ও আণুবীক্ষণিক অঙ্গসংস্থানবিদ্যা এই দুই ভাগে বিভক্ত।[1]
সামগ্রিক অঙ্গসংস্থানবিদ্যা (একে ইংরেজিতে Topographical anatomy, Regional anatomy বা Anthopotomy-ও বলে) হলো খালি চোখে দৃশ্যমান দৈহিক গাঠনিক পাঠ। আর আণুবীক্ষণিক অঙ্গসংস্থানবিদ্যা মানবদেহের আণুবীক্ষনিক গঠন-কাঠামো বিষয়ক পাঠ: কলাবিদ্যা (Histology) তথা কলার গঠন সংক্রান্ত পাঠ[1] এবং কোষবিদ্যা (Cytology) তথা কোষের গঠন সংক্রান্ত পাঠ এর অন্তর্ভুক্ত।
বিবর্তনবাদে এদের মূল নিহিত থাকার ফলে ভ্রুণবিদ্যা (Embryology), তুলনামূলক অঙ্গসংস্থানবিদ্যা (Comparative anatomy), তুলনামূলক ভ্রুণবিদ্যা (Comparative embryology)[1] -এর সঙ্গে মানব অঙ্গসংস্থানবিদ্যা নিবিড়ভাবে জরিত।
সকল প্রাণীর মতই মানবদেহ কতগুলো তন্ত্রের সমন্বয়ে গঠিত, যেগুলির প্রতিটি আবার কতগুলো অঙ্গ দ্বারা গঠিত। এই সকল অঙ্গ অনেকগুলো কলা দ্বারা তৈরি এবং কলা সমূহ বহু সংখ্যক কোষ ও ধাত্রের সমন্বয়ে গঠিত।
সময়ের আবর্তে বিরামহীনভাবে অন্ত্রগুলোর কাজ ও দেহের গঠনকে অনুধাবন করার মধ্য দিয়ে অঙ্গসংস্থানবিদ্যার ইতিহাস এগিয়েছে। গবেষণা পদ্ধতিরও নাটকীয় উন্নতি হয়েছে ২০শ শতকে; প্রাণীদেহ পরীক্ষার ক্ষেত্রে মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদ হতে প্রযুক্তিগতভাবে আরও জটিল পদ্ধতির উদ্ভব ঘটেছে।