মানব-কম্পিউটার মিথস্ক্রিয়া
From Wikipedia, the free encyclopedia
মানব-কম্পিউটার মিথস্ক্রিয়া সংক্ষেপে মাকমি (ইংরেজি: human–computer interaction, সংক্ষেপে HCI), মানুষ (ব্যবহারকারী) ও কম্পিউটারের মধ্যকার ইন্টারফেসের উপর মনোনিবেশ করে এরকম সব কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যবহার ও নকশার উপর গবেষণা করে থাকে। মাকমিতে নিযুক্ত গবেষকরা মানুষ যেভাবে কম্পিউটারের সাথে কাজ করে তা পর্যবেক্ষণ করেন এবং সে অনুযায়ী এমন সব প্রযুক্তির নকশা করেন, যেগুলো ব্যবহার করে ব্যবহারকারী কম্পিউটারের সাথে অভিনব উপায়ে কার্যকলাপ বা যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়।
গবেষণার ক্ষেত্র হিসেবে, মানব-কম্পিউটার মিথস্ক্রিয়া এমন একটি ক্ষেত্র যেটি কম্পিউটার বিজ্ঞান, আচরণগত বিজ্ঞান, নকশা, গণমাধ্যম অধ্যয়ন, এবং অন্যান্য বিভিন্ন অধ্যয়নের ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত। কার্নেগী মেলন ইউনিভার্সিটির স্ট্যুয়ার্ট কে, কার্ড ও অ্যালেন নেওয়েল আইবিএম গবেষণার থমাস পি, মুরান প্রজনক ১৯৮৩ বই "মানব-কম্পিউটার মিথস্ক্রিয়ার মনোবিজ্ঞান" (The Psychology of Human-Computer Interaction) দ্বারা 'মানব-কম্পিউটার মিথস্ক্রিয়া' শব্দটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। যদিও বইটির লেখকরা ১৯৮০ সালে সর্বপ্রথম শব্দটি ব্যবহার করেন এবং জানামতে সর্বপ্রথম পরিচিতমূলক ব্যবহার ১৯৭৫ সালে ছিল[1] | পরিভাষাটি এই ধারণা দেয় যে অন্যান্য সাধনী বা যন্ত্রের যেমন সীমাবদ্ধ ব্যবহার রয়েছে (যেমন কি কাঠের হাতুড়ি, যেটা কি না শুধু অন্য জিনিস কে ঠুকতে কাজে আসে), কম্পিউটারের ব্যবহার সেরকম নয় বরং একটি কম্পিউটারের ব্যবহার অনেক বিস্তৃত, যার ফলে একজন ব্যবহারকারী এবং একটি কম্পিউটার এর মধ্যে খোলা আলোচনা তৈরি হয়। এই আলোচনা বা সংলাপ এর ধারণাটা মানব-কম্পিউটার-সংযোগকে মানুষের সাথে মানুষের সংযোগের মতই তুলনা করা যায়। এই তুলনাটি এই গবেষণাক্ষেত্রের বহু তাত্ত্বিক বিবেচনায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। [2][3]