মতিউর রহমান নিজামী
বাংলাদেশী ইসলামী রাজনীতিবিদ / From Wikipedia, the free encyclopedia
মতিউর রহমান নিজামী (৩১ মার্চ ১৯৪৩ - ১১ মে ২০১৬) ছিলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। ২০১৬ সালের ১১ই মে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসিতে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইসলামী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দলনেতা বা আমীর ছিলেন। তিনি মূলত ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী। এছাড়াও চট্টগ্রামের দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছিল।[1] বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি আল বদর নামের আধা-সামরিক বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।[2] ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাকাণ্ডে আল-বদর সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করে, এবং ১৪ই ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের পেছনেও তাদের প্রধান ভূমিকা ছিল।[2][3]
মতিউর রহমান নিজামী | |
---|---|
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর আমীর | |
কাজের মেয়াদ ২০০০ – ২০১৬ | |
পূর্বসূরী | গোলাম আজম |
উত্তরসূরী | মকবুল আহমদ |
বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১০ অক্টোবর ২০০১ – ২২ মে ২০০৩ | |
প্রধানমন্ত্রী | খালেদা জিয়া |
উত্তরসূরী | এম কে আনোয়ার |
বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২২শে মে ২০০৩ – ২৮শে অক্টোবর ২০০৬ | |
প্রধানমন্ত্রী | খালেদা জিয়া |
পূর্বসূরী | এম কে আনোয়ার |
পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১লা অক্টোবর ২০০১ – ২৮শে অক্টোবর ২০০৬ | |
পূর্বসূরী | অধ্যাপক আবু সাইয়িদ |
উত্তরসূরী | শামসুল হক টুকু |
সংখ্যাগরিষ্ঠ | ১৩৫,৯৮২ (৫৭.৬৮%) |
কাজের মেয়াদ ২৭শে ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ – ১৬ই ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ | |
উত্তরসূরী | অধ্যাপক আবু সাইয়িদ |
সংখ্যাগরিষ্ঠ | ৫৫,৭০৭ (৩৬.৮৫%) |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | (১৯৪৩-০৩-৩১)৩১ মার্চ ১৯৪৩ পাবনা , বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি , ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ১১ মে ২০১৬(2016-05-11) (বয়স ৭৩) পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, ঢাকা |
মৃত্যুর কারণ | ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী |
দাম্পত্য সঙ্গী | শামসুন্নাহার নিজামী |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
জীবিকা | রাজনীতিবিদ |
ধর্ম | ইসলাম |
যদিও হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ,[4] বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষ[5][6] এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা[7] এই বিচারকে স্বাগত জানিয়েছিল কিন্তু নভেম্বর ২০১১ সালে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মামলার তদন্তের অগ্রগতি, স্বচ্ছতার অভাব এবং প্রতিপক্ষের আইনজীবী ও সাক্ষীদের হয়রানির বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে সরকারের সমালোচনা করেন।[8][9][10]
তিনি জামায়াতে ইসলামীর সমর্থনে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে সংসদ সংসদ নির্বাচিত হন এবং বাংলাদেশ সরকারের কৃষি (২০০১-০৩) ও শিল্প মন্ত্রনালয়ের (২০০৩-০৬) মন্ত্রী হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে মৃত্যুদন্ডাদেশ পাওয়ার পর ২০১৬ সালের ১১ই মে বুধবার রাত ১২টা ১০ মিনিটে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।[11]
দ্যা রয়েল ইসলামিক ষ্ট্র্যাটেজিক ষ্টাডিজ সেন্টার নামক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ জন মুসলমান ২০১৩/২০১৪ সংস্করণের তালিকায় প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে তিনি স্থান লাভ করেন।[12][13]