![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/b/bb/India_%2528orthographic_projection%2529.svg/langbn-640px-India_%2528orthographic_projection%2529.svg.png&w=640&q=50)
ভারত ও গণবিধ্বংসী অস্ত্র
From Wikipedia, the free encyclopedia
ভারত পারমাণবিক অস্ত্র রূপে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক অস্ত্র তৈরী ও মজুদ করেছে। যদিও ভারত তার পারমাণবিক অস্ত্রাগারের আকার সম্বন্ধে কোনো বিবৃতি জারি করেনি তবে সাম্প্রতিক অনুমান করা যায় যে তাদের হাতে ১৭২টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে [9][10] এবং ১৮০-২০০টি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরীযোগ্য প্লুটোনিয়াম উৎপন্ন করেছে। এবং ভারত তাদের নিজস্ব পারমাণবিক অস্ত্র উন্নত করেছে ১৯৯৮ সালে যেটি ছিল হাইড্রোজেন বোমা।[11] হাইড্রোজেন বোমা বা তাপ-পারমাণবিক অস্ত্র হলো দ্বিতীয় প্রজন্মের পারমাণবিক অস্ত্র, যার বিধ্বংসী ক্ষমতা সাধারণ পারমাণবিক বোমা থেকে হাজার গুণ বেশি হয়ে থাকে। ১৯৯৯ সালে ভারতের কাছে ৮০০কেজি পৃথকীকৃত চুল্লীযোগ্য প্লুটোনিয়াম বর্তমান ছিল এছাড়াও ৮৩০০ কেজি অসামরিক প্লুটোনিয়ামও তাদের হাতে ছিল যা প্রায় ১০০০টি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য যথেষ্ট। [12][13]
ভারত | |
---|---|
![]() | |
পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু | ১৯৬৭ |
প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা | ১৮ই মে ১৯৭৪ a |
প্রথম থার্মোনিউক্লিয়ার অস্ত্র পরীক্ষা | ১১ই মে ১৯৯৮ b |
সাম্প্রতিক পরীক্ষা | ১৩ই মে ১৯৯৮ c |
সর্ববৃহৎ পরীক্ষা | ৪৫ কিলোটন; ২০০ কিলোটন ডিভাইসের পরীক্ষিত আকার - শক্তি-১ c |
আজ পর্যন্ত পরীক্ষা | ৬ |
সর্ব্বোচ্চ সঞ্চিত মজুদ | ১৮০-২০০ d |
বর্তমান সঞ্চিত মজুদ | ১৭২ (২০২৪ আনুমানিক) d |
সর্বাধিক পাল্লার মিসাইল | ৫৮০০ - ৮০০০ কি.মি. e (অগ্নি-৫) |
এনপিটি পার্টি | না |
ভারত তিনটি বহুদেশীয় রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ গোষ্ঠীর সদস্য যথা: ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রক গোষ্ঠী, ওয়াসেনার ব্যবস্থা এবং অস্ট্রেলিয়া গোষ্ঠী। ভারত জৈবিক অস্ত্র সম্মেলন এবং রাসায়নিক অস্ত্র সম্মলনে স্বাক্ষর করেছে এবং অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া ভারত হেগ আচরণবিধিতেও সম্মতিদানকারী রাষ্ট্র। ত্রুটিপূর্ণ ও বৈষম্যমূলক হওয়ায় ভারত ব্যাপক পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধ চুক্তি ও পারমাণবিক অ-বিস্তার চুক্তি স্বাক্ষর করেনি। [14] পূর্বে ভারতে রাসায়নিক অস্ত্র মজুত ছিল কিন্তু ২০০৯ সালে ৭টি দেশের মধ্যে একটি হয়ে ওপিসিডির বর্ধিত মেয়াদের মধ্যে স্বেচ্ছায় সমস্ত মজুদ অস্ত্র নষ্ট করে দেয়। [15] ত্রুটিপূর্ণ ও বৈষম্যমূলক হওয়ায় ভারত ব্যাপক পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি ও পারমাণবিক অ-বিস্তার চুক্তি স্বাক্ষর করেনি।
ভারত "প্রথম ব্যবহার নয়" পারমাণবিক নীতি মেনে চলে এবং তারা " সর্বনিম্ন বিশ্বাসযোগ্য বাধা তত্ত্ব" মতবাদের অন্তর্গত হিসাবে ত্রিমাত্রিক পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জন করেছে। [16] [17]