ভারতের রাজনৈতিক একত্রীকরণ
ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ভারত দুই অঞ্চলে বিভিক্ত হয় / From Wikipedia, the free encyclopedia
১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর, তথা দেশবিভাগের পর ভারত দুই ধরনের অঞ্চল নিয়ে গঠিত ছিল; ব্রিটিশ ভারতের প্রদেশসমূহ ও দেশীয় রাজ্যসমূহ। এই প্রদেশসমূহকে ব্রিটিশ কোম্পানি শাসন করত। অন্যদিকে, উক্ত দেশীয় রাজ্যসমূহের উপরেও ব্রিটিশ সরকারের কর্তৃত্ব বিস্তৃত ছিল, তবে সেখানে শাসন করত উক্ত অঞ্চলের নিজস্ব শাসকেরাই। এছাড়াও ভারত ভূখণ্ডে ফ্রান্স ও পর্তুগাল দ্বারা শাসিত কিছু ঔপনিবেশিক কলোনিও ছিল। ভারতে এই অঞ্চলগুলোর রাজনৈতিক একত্রীকরণ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম ঘোষিত লক্ষ্য ছিল। পরবর্তী দশকে ভারত সরকার এই লক্ষ্যকেই অনুসরণ করে চলে। বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এবং ভি. পি. মেনন ভারতের সাথে একীভূত হবার জন্য বিভিন্ন দেশীয় রাজ্যের শাসকদের জোর দেন। ভারতে অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হলে ধাপে ধাপে এই রাজ্যগুলোর উপর কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা ও প্রশাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫৬ সালের পরে এই দেশীয় রাজ্যগুলি আর ব্রিটিশ শাসিত অঞ্চলগুলোর মধ্যে তেমন কোনো তফাত ছিল না। ক্রমশ, ভারত সরকার কিছু কূটনৈতিক ও সামরিক উপায়ে দ্য ফ্যাক্টো এবং দ্য জ্যুরে-এর মাধ্যমে অবশিষ্ট ঔপনিবেশিক কলোনিগুলোর উপরও ক্ষমতা বিস্তার করে, এবং এগুলোও ভারতের সাথে একত্রীত হয়।
স্বাধীনতা উত্তর ভারতের প্রথম দশকেই ভারতের রাজনৈতিক সংহতিসাধন সম্পূর্ণ হয়। তবে কাশ্মীরের ক্ষেত্রে এই সংহতিসাধন সম্পূর্ণ হয়নি। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান ও চীন কাশ্মীরের অনেক অংশ দখল করে নেয়। পরবর্তীকালে ১৯৭৫ সালে সিকিম ভারতে যোগদান করে। যদিও এই প্রক্রিয়া ভারতের প্রায় সকল দেশীয় রাজ্যকেই স্থান দিতে পেরেছে, তবুও কিছু অঞ্চলে এই বিভাজন নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল জম্মু ও কাশ্মীর, ত্রিপুরা এবং মণিপুর রাজ্যগুলি, যেখানে আজও বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের অস্তিত্ব বিদ্যমান।