ব্যবহারকারী:Ifteebd10/উইকিপ্রকল্প নরসিংদী/পারুলিয়া মসজিদ
From Wikipedia, the free encyclopedia
নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার পারুলিয়ায় এই মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদের মূল ফটকে রক্ষিত একটি পারস্য শিলালিপি থেকে জানা যায় ১১২৬ হিজরী/১৭১৪ সালে জনৈক নাসির নামক ব্যাক্তির কন্যা এবং দিওয়ান শরীফ নামক ব্যাক্তির স্ত্রী বিবি জয়নাব এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটির অভ্যন্তরের দৈর্ঘ্য ১৮.২৯ মিটার, প্রস্থ ৫.১৮ মিটার এবং মসজিদের দেয়ালের ঘনত্ব ১.৫২ মিটার। দুটি ধনুকআকৃতির সমান্তরাল পথের মাধ্যমে মসজিদের অভ্যন্তরকে তিনটি বর্গাকারভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি ভাগের উপরেই একটি করে গম্বুজ রয়েছে। প্রতিটি গম্বুজে নকশা ও অলংকার খোদাই করা আছে। ব্যাতিক্রম হিসেবে মসজিদের চারকোণায় অষ্টভুজ টাওয়ার রয়েছে যেগুলোর প্রতিটির উচ্চতা কার্নিশ পর্যন্ত। মুঘল স্থাপত্যশৈলীতে কোনার টাওয়ারগুলোর উচ্চতা সাধারণত কার্নিশকে ছাড়িয়ে যায়। মসজিদটির মোট পাঁচটি ধনুকআকৃতির ফটকের মধ্যে পূর্বদিকের দেয়ালে তিনটি, উত্তর ও দক্ষিন দিকের দেয়ালে একটি ফটক রয়েছে। মসজিদের মাঝখানের ফটকটি অন্যান্য ফটকের চেয়ে বড়। মসজিদের মূল ফটকের বাইরের দিকটি উপরিভাগ অর্ধগম্বুজ আকৃতির ছাদের নীচে অবস্থিত যেটি একটি আয়াতক্ষেত্রাকার কাঠামোর উপর নির্মাণ করা হয়েছে। অন্যান্য ফটকগুলো সামান্য নিচু আয়াতক্ষেত্রাকার কাঠামোর উপর নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদের পশ্চিমদিকের দেয়ালে পূর্বদিকের ফটকগুলো বরাবর তিনটি মিহরাব অবস্থিত। সবকটি মিহরাব এবং ধনুকআকৃতির ফটকগুলো অলংকারখচিত আয়াতক্ষেত্রাকার কাঠামোর উপর নির্মাণ করা হয়েছে। মিহরাব এবং ফটকের উভয়দিকেই ধনুকআকৃতির কোটর রয়েছে। ফটকগুলোর বাইরের অংশে বর্গাক্ষেত্রাকার এবং আয়াতক্ষেত্রাকার নকশা রয়েছে। ১৮৯৭ সালের ভুমিকম্পে মসজিদটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরবর্তীতে মসজিদটি মেরামত করা হয়। মসজিদের সামনের বর্গাক্ষেত্রাকার আঙ্গিনাটি প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। তবে প্রাচীরের উচ্চতা খুব বেশি নয় তবে প্রাচীরের পূর্বদিকেএকটি চমৎকার ফটক রয়েছে।পারুলিয়া মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণদিকে অবস্থিত দুটি পুকুর মসজিদ অঙ্গনকে ঠাণ্ডা রাখার পাশাপাশি মসজিদের সৌন্দর্য বহুগুনে বৃদ্ধি করেছে।
![]() | এটি Ifteebd10-এর ব্যবহারকারী খেলাঘর। ব্যবহারকারী খেলাঘর হচ্ছে ব্যবহারকারী'র ব্যবহারকারী পাতার একটি উপপাতা। এটি ব্যবহারকারীর জন্য একটি তৎক্ষণাৎ পরীক্ষা এবং পাতা উন্নয়নের স্থান হিসেবে কাজ করে এবং এটি বিশ্বকোষীয় নিবন্ধ নয়। আপনি এখানে নিজস্ব খেলাঘর তৈরি করতে বা সম্পাদনা করতে পারেন। অন্যান্য খেলাঘরগুলি: প্রধান খেলাঘর | খেলাঘর ২, খেলাঘর ৩ | টেমপ্লেট খেলাঘর একটি নিবন্ধ লিখেছেন এবং তা সৃষ্টির অনুরোধ করতে প্রস্তুত? পর্যালোচনার জন্য আপনার খসড়া জমা দিন! |
পারুলিয়া শাহী মসজিদ | |
---|---|
![]() | |
স্থানাঙ্ক: ২৩.৯৬৫° উত্তর ৯০.৬৮০° পূর্ব / 23.965; 90.680 | |
অবস্থান | ![]() |
প্রতিষ্ঠিত | ১৭১৬; ৩০৭ বছর আগে (1716) [1] অথবা ১৭১৪; ৩০৯ বছর আগে (1714) |
প্রশাসন | বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বাংলাদেশ |
মালিকানা | সরকারি |
স্থাপত্য তথ্য | |
ধরন | ইসলামিক স্থাপত্য |
দৈর্ঘ্য | ১৮.২৯ মিটার |
প্রস্থ | ৫.১৮ মিটার |
গম্বুজ | ৩টি |
মসজিদের পশ্চিমে দিওয়ান শরীফ এবং বিবি জয়নাবের এক গম্বুজবিশিষ্ট দরগা অবস্থিত। প্রতিবছর এখানে বছরের একটি নির্দিষ্ট মাসে মেলা (স্থানীয়ভাবে ওরশ বলা হয়) অনুষ্ঠিত হয় যেখানে বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষজন অংশ নিয়ে থাকে। এসময় এখানে বিভিন্ন খাবার ও খেলনা পাওয়া যায়। মানুষ এখানে এসে প্রার্থনা করে এবং নিজেদের জীবনের সমৃদ্ধির জন্য কিছু চেয়ে থাকে।
তিন গম্বুজ বিশিস্ট মসজিদটি এই জেলার প্রাচীনতম নির্দশনের মধ্যে অন্যতম। এর প্রবেশ দ্বারের উপরে ফার্সি ভাষায় কবিতার ছন্দে লেখা আছে মসজিদটি নির্মাণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। মসজিদের পাশেই রয়েছে ঈশা খাঁ'র পঞ্চম অধস্তন পুরুষ দেওয়ান শরীফ খাঁ ও তার স্ত্রী জয়নব বিবির যুগল মাজার। ১৭১৯ খ্রিষ্টাব্দে বিবি জয়নব এই তিন গম্বুজ বিশিস্ট মসজিদটি নির্মাণ করেন। ইতিহাস থেকে জানা যায় বর্তমান এই নরসিংদী সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে মহেশ্বরদী নামে পরিচিত ছিল। ১৭১৭ খ্রিষ্টাব্দে সুবেদার মুর্শিদকুলি খাঁ বংগদেশের সুবেদার নিযুক্ত হলে তার কন্যা জয়নব বিবির সাথে মনোয়ার খাঁ এর পঞ্চম পুত্র শরিফ খাঁ বিবাহ দেন। জামাতাকে উপহার সরুপ এই মহেশ্বরদী পরগানার দেওয়ানী দান করেন। তখন থেকে তিনি দেওয়ান শরিফ খাঁ হিসাবে সমাধিক পরিচিতি লাভ করেন। তার নামে এলাকার নামকরণ হয় শরিফপুর। এই শরিফপুরেই ১৭১৯ খ্রিষ্টাব্দে শরিফ খাঁ'র স্ত্রী জয়নব বিবি এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। কালের বির্বতনে শরিফপুর নামটি বিলুপ্ত হয়ে পারুলিয়া হলেও কালের সাক্ষী হিসাবে রয়ে গেছে ৩০০ বছরের প্রাচীন মোগল মসজিদটি। যা এখন পারুলিয়া দেওয়ান শরিফ মসজিদ হিসাবে ব্যাপক পরিচিত। এক সময় ব্রহ্মপুত্র নদী দিয়ে বড় বড় পাল উড়িয়ে পালের নৌকা আসা যাওয়া করতো। তখন এলাকাবাসী পালের নৌকা দেখতে নদীর তীরে এবং নৌকায় নদী পারাপার হতো বলে এই এলাকার নামকরণ শরিফপুর থেকে পারুলিয়া হয়ে যায়। একটি মাজার, একটি হুজুরখানা, ৪টি পুকুর তার আশপাশের প্রায় ২০ বিঘা জমি নিয়ে পারুলিয়া মসজিদটি অবস্থিত। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে মসজিদের ছাদে ফাটল দেখা দেয়, ধংস হয়ে যায় দেওয়ান সাহেবের কাচারি ঘর ও নায়েব সাহেবের ভবনটি। পরবর্তীতে এই মসজিদটি বেশ কয়েক বার সংস্কার করা হয়। মসজিদের পশ্চিম পাশে এবং পুকুরের পূর্ব তীরে রয়েছে এক গম্বুজ বিশিষ্ঠ সমাধি সৌধ। এই সৌধের ভিতরে পাশাপাশি আছে জয়নব বিবি ও দেওয়ান শরিফ খাঁ'র কবর। ১১২৮ হিজরিতে দেওয়ান শরীফ খাঁ মৃত্যুবরণ করেন। জয়নব বিবির শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী পরের বছর তিনি মারা গেলে স্বামীর পাশেই তাকে দাফন করা হয়। বর্তমানে এই সমাধি সৌধটি জয়নব বিবির মাজার হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
পারুলিয়া দেওয়ান শরিফ মসজিদ নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার পারুলিয়া গ্রামে অবস্থিত একটি মসজিদ।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ (আরবি: بيت المكرَّم الوطني مسجد) বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ। মসজিদটি রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র পল্টনে অবস্থিত। ১৯৬৮ সালে মসজিদটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। এর স্থাপত্যশৈলী অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। তৎকালীন পাকিস্তানের বিশিষ্ট শিল্পপতি লতিফ বাওয়ানি ও তার ভাতিজা ইয়াহিয়া বাওয়ানির উদ্যোগে এই মসজিদ নির্মাণের পদক্ষেপ গৃহীত হয়। মসজিদে একসাথে ৩০,০০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে, ফলে ধারণক্ষমতার দিক দিয়ে এটি বিশ্বের ১০ম বৃহত্তম মসজিদ। তবে মসজিদটিতে জুমার নামাজ ছাড়াও বিশেষত রমজানের সময় অত্যধিক মুসল্লির সমাগম হয় বিধায়, বাংলাদেশ সরকার মসজিদের ধারণক্ষমতা ৪০ হাজারে উন্নিত করে।