ব্যবহারকারী:Hamid Abrar Khan/খেলাঘর
From Wikipedia, the free encyclopedia
কোষবিদ্যায় মাইটোসিস ( ইংরেজি-Mitosis) হল কোষ চক্রের একটি ধাপ যেখানে ক্রোমোজোম অনুলিপিত হয়ে সমান দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুটি নতুন সৃষ্ট নিউক্লিয়াসে গমন করে। এ বিভাজনের ফলে ক্রোমোজোমের সংখ্যা পরিবর্তন ছাড়াই জিনগতভাবে সমবৈশিষ্ট্যসম্পন্ন কোষ সৃষ্টি হয়।[1] সাধারণত, মাইটোসিস বিভাজনের (নিউক্লিয়াসের বিভাজন) পূর্বে ইন্টারফেজ পর্যায়ের S ধাপ (যে ধাপে DNA অনুলিপন সম্পন্ন হয়) সংঘটিত হয় এবং মাইটোসিসের পরে সম্পন্ন হয় টেলোফেজ ও সাইটোকাইনেসিস। সাইটোকাইনেসিস পর্যায়ে একটি কোষের সাইটোপ্লাজম, কোষঅঙ্গাণু এবং কোষঝিল্লি বিভক্ত হয়ে প্রায় সমান কোষীয় উপাদান সমৃদ্ধ দুটি কোষ সৃষ্টি হয়।[2] একটি মাতৃকোষ বিভাজিত হয়ে জিনগতভাবে অভিন্ন দুটি কোষের সৃষ্টিই হল মাইটোসিসের বিভিন্ন পর্যায়ের সম্মিলনে গঠিত প্রাণীকোষচক্রের মাইটোটিক (M) ফেজ।[3]
![]() | এটি Hamid Abrar Khan-এর ব্যবহারকারী খেলাঘর। ব্যবহারকারী খেলাঘর হচ্ছে ব্যবহারকারী'র ব্যবহারকারী পাতার একটি উপপাতা। এটি ব্যবহারকারীর জন্য একটি তৎক্ষণাৎ পরীক্ষা এবং পাতা উন্নয়নের স্থান হিসেবে কাজ করে এবং এটি বিশ্বকোষীয় নিবন্ধ নয়। আপনি এখানে নিজস্ব খেলাঘর তৈরি করতে বা সম্পাদনা করতে পারেন। অন্যান্য খেলাঘরগুলি: প্রধান খেলাঘর | খেলাঘর ২, খেলাঘর ৩ | টেমপ্লেট খেলাঘর একটি নিবন্ধ লিখেছেন এবং তা সৃষ্টির অনুরোধ করতে প্রস্তুত? পর্যালোচনার জন্য আপনার খসড়া জমা দিন! |
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/2/2f/Animal_cell_cycle-en.svg/640px-Animal_cell_cycle-en.svg.png)
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/e/e0/Major_events_in_mitosis.svg/640px-Major_events_in_mitosis.svg.png)
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/6/62/Mitosis_Mesenchymal_Stem_Cells.gif/220px-Mitosis_Mesenchymal_Stem_Cells.gif)
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/3/37/Wilson1900Fig2.jpg/640px-Wilson1900Fig2.jpg)
a. অবিভাজিত কোষ
b. বিভাজনের জন্য নিউক্লিয়াসের প্রস্তুতি গ্রহণ (স্পাইরেম পর্যায়)
c. বিভাজনরত কোষ মাইটোটিক আকার ধারণ করছে
e. বিভাজনের ফলে সৃষ্ট একজোড়া অপত্যকোষ
একগুচ্ছ প্রক্রিয়ার আরম্ভ হতে সমাপন পর্যন্ত বিবেচনা করে মাইটোসিস বিভাজনকে বিভিন্ন পর্যায়ে ভাগ করা যায়। এ পর্যায়গুলো হচ্ছে প্রোফেজ, প্রোমেটাফেজ, মেটাফেজ, অ্যানাফেজ এবং টেলোফেজ। মাইটোসিসের সময় পূর্বে প্রতিলিপিত ক্রোমোজোমগুলো ঘনীভূত হয় এবং স্পিন্ডল তন্তুর সাথে সংযুক্ত হয়। স্পিন্ডল তন্তু প্রত্যেক ক্রোমোজোমের একটি করে অনুলিপি কোষের অপর প্রান্তে পৌঁছে দেয়।[4] ফলশ্রুতিতে সৃষ্টি হয় দুটি জিনগতভাবে সদৃশ নিউক্লিয়াস। কোষের বাকি অংশগুলো এরপর সাইটোকাইনেসিস প্রক্রিয়ায় বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্যকোষে পরিণত হতে পারে।.[5] বিশেষ অণুবীক্ষণযন্ত্রের সাহায্যে মাইটোসিসের বিভিন্ন পর্যায় সরাসরি বাস্তবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব।[6] দুটি কোষের পরিবর্তে তিনটি অপত্যকোষের সৃষ্টি এক ধরনের মাইটোটিক ত্রুটি যাকে বলা হয় ট্রাইপোলার মাইটোসিস বা মাল্টিপোলার মাইটোসিস।[7] অস্বাভাবিক মাইটোসিসের ফলে অ্যাপোপটোসিস (কোষের জিনগত নিয়ন্ত্রিত মৃত্যুর প্রক্রিয়া) ত্বরান্বিত হতে পারে অথবা পরিব্যক্তি ঘটতে পারে। এসব পরিব্যক্তির ফলে কয়েক ধরনের ক্যান্সারও হতে পারে। [8]
মাইটোসিস কেবল সুকেন্দ্রিক কোষে সংঘটিত হয়। আদিকেন্দ্রিক কোষে নিউক্লিয়াস থাকে না, ফলে এসব কোষ দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]. প্রজাতিভেদে মাইটোসিসের বৈচিত্র্য রয়েছে।[9] উদাহরণস্বরূপ, প্রাণীকোষে "উন্মুক্ত" মাইটোসিস সংঘটিত হয়, যেখানে ক্রোমোজোম বিভক্ত হওয়ার আগেই নিউক্লিয়ার ঝিল্লি বিলুপ্ত হয়। ফানজাই রাজ্যের জীবদেহে "বদ্ধ" মাইটোসিস সংঘটিত হয়, যেখানে অটুট নিউক্লিয়াসের ভেতরে ক্রোমোজোম বিভক্ত হয়।[10] মাইটোসিসের শুরুর দিকে প্রায় গোলক আকৃতি ধারণের জন্য অধিকাংশ প্রাণীকোষ "মাইটোটিক কোষ রাউন্ডিং" নামক এক ধরনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। মানবদেহের বেশিরভাগ কোষ মাইটোটিক কোষ বিভাজনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। তবে জননকোষ, যেমন- শুক্রাণু ও ডিম্বাণু কোষ মিয়োসিস বিভাজনের মাধ্যমে তৈরি হয়।