বুধের চতুর্ভূজগুলির তালিকা
From Wikipedia, the free encyclopedia
বুধ গ্রহের পৃষ্ঠভাগ পনেরোটি চতুর্ভূজে বিভাজিত। এগুলির সংখ্যায়ন করা হয়েছে এইচ-১ থেকে এইচ-১৫ পর্যন্ত (ইংরেজি ‘এইচ’ অক্ষরটি বুধ অর্থাৎ মারকিউরির গ্রিক প্রতিরূপ হার্মিসের দ্যোতক)।[1] চতুর্ভূজগুলির নামকরণ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার পৃষ্ঠতলের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলির নামানুসারে।[1] অতীতে মহাকাশযান কর্তৃক বুধ গ্রহের মানচিত্রাঙ্কনের আগে এই গ্রহের সর্বাপেক্ষা সুস্পষ্ট বৈশিষ্ট্য অ্যালবেডো বৈশিষ্ট্যগুলির নামানুসারেই চতুর্ভূজগুলির নামকরণ করা হয়েছিল। ১৯৭৪ ও ১৯৭৫ সালে মেরিনার ১০ ফ্লাইবাইগুলির তোলা আলোকচিত্রের ভিত্তিতে মানচিত্রাঙ্কনের ফলে নয়টি চতুর্ভূজের নাম সংশ্লিষ্ট এলাকার সুস্পষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলির নামানুসারে পরিবর্তন করা হয়।[1] মেরিনার ১০ অবশিষ্ট ছয়টি চতুর্ভূজের মানচিত্র একেবারেই প্রস্তুত না করায় সেগুলির নাম অ্যালবেডো বৈশিষ্ট্যগুলির নামানুসারেই থেকে যায়। ২০১১ সালে বুধের কক্ষপথে মেসেঞ্জার মহাকাশযানটি উপস্থিত হওয়ার পর এই ছয়টি চতুর্ভূজের মানচিত্রাঙ্কন ও নাম-পরিবর্তন সম্পন্ন হয়।[2] মেসেঞ্জার দলের কাক্ষিক চিত্রগুলির সাহায্যে নতুন মানচিত্রগুলি অঙ্কিত হয়েছিল এবং ২০১৩ সালের ৮ মার্চ নাসার প্ল্যানেটারি ডেটা সিস্টেম তা প্রকাশ করে। এই মানচিত্রে বুধের পৃষ্ঠভাগের ১০০ শতাংশ এলাকাই অন্তর্ভুক্ত হয়।
নাম[3] | সংখ্যা | সমনামী | অ্যালবেডো বৈশিষ্ট্যের নাম[4] | এলাকা[5] | মেরিনার ১০ মানচিত্র | বর্তমান মানচিত্র[3] | বিশেষ দ্রষ্টব্য |
---|---|---|---|---|---|---|---|
বোরিয়েলিস | এইচ-১ | বোরিয়েলিস প্ল্যানিশিয়া[6] | বোরিয়া | উত্তর মেরু থেকে ৬৭° অক্ষাংশ | পূর্বতন নাম "গ্যেথে", ১৯৭৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন কর্তৃক নাম পরিবর্তিত হয় (আইএইউ, ১৯৭৭)।[5] | ||
ভিক্টোরিয়া | এইচ-২ | ভিক্টোরিয়া রুপিস | অরোরা | ০ থেকে ৯০° দ্রাঘিমাংশ, ২১ থেকে ৬৬° অক্ষাংশ | |||
শেকসপিয়র | এইচ-৩ | শেকসপিয়র অভিঘাত খাদ | ক্যাডুসিয়েটা | ৯০ থেকে ১৮০° দ্রাঘিমাংশ, ২১ থেকে ৬৬° অক্ষাংশ | |||
র্যাডিটল্যাডি | এইচ-৪ | র্যাডিটল্যাডি বেসিন | লিগুরিয়া | ২৭০ থেকে ১৮০° দ্রাঘিমাংশ, ২১ থেকে ৬৬° অক্ষাংশ | নেই | ||
হোকুসাই | এইচ-৫ | হোকুসাই অভিঘাত খাদ | অ্যাপোলোনিয়া | ৩৬০ থেকে ২৭০° দ্রাঘিমাংশ, ২১ থেকে ৬৬° অক্ষাংশ | নেই | ||
কাইপার | এইচ-৬ | কাইপার অভিঘাত খাদ | ট্রাইক্রেনা | ০ থেকে ৭২° দ্রাঘিমাংশ, −২২ থেকে ২২° অক্ষাংশ | |||
বেটহোফেন | এইচ-৭ | বেটহোফেন অভিঘাত খাদ | সলিচ্যুডো লাইকাওনিস | ৭২ থেকে ১৪৪° দ্রাঘিমাংশ, −২২ থেকে ২২° অক্ষাংশ | |||
তল্স্তোয় | এইচ-৮ | তল্স্তোয় অভিঘাত খাদ | ফেথোনশিয়াজ | ১৪৪ থেকে ২১৬° দ্রাঘিমাংশ, −২২ থেকে ২২° অক্ষাংশ | পূর্বতন নাম "টির", ১৯৭৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন কর্তৃক নাম পরিবর্তিত হয় (আইএইউ, ১৯৭৭)।[5] | ||
এমিনেস্কু | এইচ-৯ | এমিনেস্কু অভিঘাত খাদ | সলিচ্যুডো ক্রিওফোরি | ২১৬ থেকে ২৮৮° দ্রাঘিমাংশ, −২২ থেকে ২২° অক্ষাংশ | নেই | ||
দেরেঁ | এইচ-১০ | দেরেঁ অভিঘাত খাদ | পিয়েরিয়া | ২৮৮ থেকে ৩৬০° দ্রাঘিমাংশ, –২২ থেকে ২২° অক্ষাংশ | নেই | ||
ডিসকভারি | এইচ-১১ | ডিসকভারি রুপিস[6] | সলিচ্যুডো হার্মি ট্রিসমেজিস্টি | ০ থেকে ৯০° দ্রাঘিমাংশ, −২১ থেকে−৬৬° অক্ষাংশ | |||
মাইকেলেঞ্জেলো | এইচ-১২ | মাইকেলেঞ্জেলো অভিঘাত খাদ | সলিচ্যুডো প্রোমেথেই | ৯০ থেকে ১৮০° দ্রাঘিমাংশ, −২১ থেকে -৬৬° অক্ষাংশ | |||
নেরুদা | এইচ-১৩ | নেরুদা অভিঘাত খাদ | সলিচ্যুডো পার্সিফোনিজ | ১৮০ থেকে ২৭০° দ্রাঘিমাংশ, −২১ থেকে –৬৬° অক্ষাংশ | নেই | ||
দেবুসি | এইচ-১৪ | দেবুসি অভিঘাত খাদ | সাইলেন | ২৭০ থেকে ৩৬০° দ্রাঘিমাংশ, −২২ থেকে −৬৬° অক্ষাংশ | নেই | ||
বাখ | এইচ-১৫ | বাখ অভিঘাত খাদ | অস্ট্রেলিয়া | দক্ষিণ মেরু থেকে −৬৭° অক্ষাংশ |