বীমাগণনা বিজ্ঞান
From Wikipedia, the free encyclopedia
বীমাগণনা বিজ্ঞান হল বিজ্ঞানের একটি শাখা যেখানে গণিত ও পরিসংখ্যানের পদ্ধতিসমূহ ব্যবহার করে বীমা, অর্থায়ন ও এ সংক্রান্ত শিল্পের ঝুঁকি নির্ণয় করা হয়ে থাকে। বীমাগাণনিকরা হলেন এই ঝুঁকি নির্ণয় সংক্রান্ত পেশাজীবী যারা বীমাগণনা বিজ্ঞানের উপর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে বিভিন্ন শিল্পে ঝুঁকি নির্নয় ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কাজ করে থাকেন। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে একচুয়ারিদের দক্ষ করে তোলার জন্য তাদের কঠোর প্রশিক্ষণ ও পেশাগত পরীক্ষা পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
বীমাগণনা বিজ্ঞানের বেশ কয়েকটি শাখার বিষয়বস্তু যেমন সম্ভাব্যতা, গণিত, পরিসংখ্যান, অর্থসংস্থান, অর্থনীতি ও কম্পিউটার বিজ্ঞানের সমন্বয়ে সাজানো হয়। এই শাখার শুরু থেকেই ঝুঁকি নির্নয়ের জন্য নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিমান (মডেল), সারণী, লেখচিত্র এবং প্রিমিয়াম মডেলের ব্যবহার হয়ে আসছে। গত ৩০ বছরে শক্তিশালী কম্পিউটিং এবং গণনাকারী সফটওয়্যারের আবির্ভাবের ফলে বিজ্ঞানের এই শাখায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। অতীতে শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল প্রকল্পের ঝুঁকি নির্নয়ে এই বিজ্ঞান ব্যবহৃ হলেও বর্তমানে প্রতিযোগীতাপূর্ন বাজারে সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানই আর্থিক ঝুঁকি নির্নয় ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কাজে এই বিজ্ঞানকে ব্যবহার করছে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই বীমাগণনা বিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উপাধি প্রদান করা হয়। ক্যারিয়ার কাস্ট নামক যুক্তরাষ্ট্রের একটি চাকুরি অনুসন্ধান ওয়েবসাইট অনুযায়ী ২০১০ সালে বীমাগাণনিক পেশাটি এক নম্বর স্থানে, ২০১২ সালে দুই নম্বর এবং ২০১৩ সালে আবারো এক নম্বর স্থানে ছিল। কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ, আয়, চাকরির সুযোগ, চাহিদা এবং কাজের চাপ এই পাঁচটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এই মর্যাদাক্রম করা হয়েছিল।