![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/49/Lilya_-_Woman_next_to_a_pool.jpg/640px-Lilya_-_Woman_next_to_a_pool.jpg&w=640&q=50)
বিকিনি
দুই টুকরা মহিলাদের সাঁতারের পোষাক / From Wikipedia, the free encyclopedia
বিকিনি (ইংরেজি: Bikini) মূলত মেয়েদের ব্যবহৃত একপ্রকার সাঁতারের পোশাক। দুই প্রস্থ কাপড় দ্বারা এটি তৈরি, যা শরীরকে স্বল্পভাবে ঢেকে রাখে। এর একটি অংশ স্তন ও অপর অংশটি উরুসন্ধি এবং নিতম্বকে ঢেকে রাখে। যদিও নিতম্ব ঢেকে রাখার শর্তটি ঐচ্ছিক। এর দুইটি অংশের মধ্যবর্তী অংশ সাধারণত অনাবৃত থাকলেও ট্যানকিনি ধরনের বিকিনির ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়। সাধারণত গরম আবহাওয়ায় এবং সাঁতার কাটার সময় বিকিনি পরিধান করা হয়। বিকিনির দুইটি অংশ মেয়েদের পৃথক দুটি অন্তর্বাস হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। নিচের অংশটি সীমা থং বা জি-স্ট্রিং থেকে শুরু করে তুলনামূলক আবৃত চৌকোণা শর্টস পর্যন্ত হতে পারে। মারিয়াম-ওয়েবস্টার অভিধানে (১১তম সংস্করণ) বিকিনিকে ‘মেয়েদের দুই প্রস্থ বিশিষ্ট গোসলের পোশাক’, ‘ছেলেদের ব্রিফ সাঁতারের পোশাক’, এবং ‘ছেলে বা মেয়েদের লো-কাট ব্রিফ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/49/Lilya_-_Woman_next_to_a_pool.jpg/640px-Lilya_-_Woman_next_to_a_pool.jpg)
আধুনিক বিকিনির আবিষ্কার হয় ১৯৪৬ সালে, এবং আবিস্কারক ছিলেন ফরাসী অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার লুই রিয়ার্ড। একই বছরের জুলাইয়ে, প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ বিকিনি অ্যাটলে অনুষ্ঠিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক পরীক্ষা অপারেশ ক্রসরোডসের নামানুসারে তিনি তার সদ্য আবিস্কৃত পোশাকের নাম রাখেন বিকিনি। এই নামটি রাখার কারণ সম্ভবত পোশাকটির কারণে জনমানুষের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনার বিস্ফোরণ, যা অনেকটা পারমাণবিক বিস্ফোরণের মতোই ব্যাপক ছিলো।
১৯৪৯ সালে প্রকাশিত লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে ১৯৪৮ সালে মিস আমেরিকা নির্বাচিত হওয়া বেবে শপের উদ্ধৃতি হিয়ে বলা হয়েছে: “বাথিং বিউটি কুইন—সোনালি চুলের অধিকারিনী হপকিন্স, মিনেসোটার ১৮ বছর বয়সী বেবে শপ, প্যারিসে এক আনন্দোচ্ছাসপূর্ণ অভ্যর্থনা পান, কিন্তু ফরাসি সাঁতারের পোশাকের ব্যাপারে তাঁর মনোভাব তিনি পরিবর্তন করেননি। বেবে তাঁর ফরাসি সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীকে বলেন, ‘আমি বিকিনিকে আমেরিকান মেয়েদের জন্য উপযোগী মনে করি না, ফরাসি নারীরা চাইলে বিকিনি পরতে পারে, কিন্তু আমি এখনো আমেরিকান মেয়েদের ক্ষেত্রে বিকিনি ব্যবহার গ্রহণযোগ্য মনে করি না।’”[1]
বিকিনি সম্ভবত বিশ্বজুড়েই সবচেয়ে জনপ্রিয় মেয়েদের বিচওয়্যার। ফরাসি ফ্যাশন ডিজাইনার ওলিভিয়ের স্যালিয়ার্ডের মতে, “নারীর শক্তি, ফ্যাশনের নয়”। তিনি এটিকে ব্যখ্যা করেন এভাবে—“নারী স্বাধীনতা সবসময়ই নারীর সাঁতারের পোশাকের সাথে সংশ্লিষ্ট।”[2] ভোক্তা ও খুচরা বিক্রি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এনপিডি গ্রুপের ভাষ্য অনুযায়ী, ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই বিকিনি শিল্পে মোট ব্যবসা হয়েছে প্রায় ৮১.১ কোটি মার্কিন ডলার।[3] এছাড়া বিকিনি, বিকিনি ওয়াক্সিং ও স্যান ট্যানিং শিল্পেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।[4]