বিউপনিবেশায়ন
উপনিবেশায়ন থেকে সামগ্রিক মুক্তির প্রক্রিয়া / From Wikipedia, the free encyclopedia
বিউপনিবেশায়ন উপনিবেশায়ন থেকে সামগ্রিক মুক্তির প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার সংগ্রাম বিউপনিবেশায়নের একটি সংকীর্ণ ও রাজনৈতিক রূপ। যেমন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্বাধীনতা ১৯৭১ সালে অর্জিত হলেও এখানে বিউপনিবেশায়ন এখনো শেষ হয়নি কেননা আজ অবধি বাংলাদেশ চলছে ব্রিটিশ উপনিবেশক শ্রেণীর রেখে যাওয়া নিপীড়ক শাসন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, পুলিশি ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে, যা ব্রিটিশরা তৈরি করেছিল শাসন তথা শোষণের স্বার্থে ও সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে, সর্বোপরি মুক্তিকামী জনতাকে দমিয়ে রাখতে।[1][2][3] ফ্রানৎস ফানোঁর মতো চিন্তাবিদদের মতে, বিউপনিবেশায়ন বলতে উপনিবেশক শক্তির কাছ থেকে শুধু রাজনৈতিক স্বাধীনতা বোঝায় না সেই সাথে গোটা সমাজের সর্বসাধারণের বুদ্ধিবৃত্তিক, সাংস্কৃতিক, ভাষিক, মানসিক, ও অর্থনৈতিক মুক্তি বোঝায় এবং সেই লক্ষ্যে উপনিবেশক শাসক শ্রেণীর রেখে যাওয়া শাসন ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, আইনি কাঠামোর নতুন পরিগঠন বোঝায়। বিউপনিবেশায়নের ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক হীনম্মন্যতা, উপনিবেশী মানসিকতা পরিত্যাগপূর্বক সর্বসাধারণের বুদ্ধিবৃত্তিক, মানসিক, ভাষিক, গণতান্ত্রিক বিকাশকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়।[4][5][6][7] কারণ এগুলো ছাড়া স্বাধীনতা শুধু শ্বেতাঙ্গ শাসক ও শোষক পরিবর্তন করে কালো বা বাদামী শাসক ও শোষকের ক্ষমতায় অভিষিক্তকরণ বোঝায় এবং নতুন অভ্যন্তরীণ উপনিবেশায়নের সূচনা বোঝায়।[8]