বাইবেলে মুহাম্মাদ
উইকিমিডিয়ার তালিকা নিবন্ধ / From Wikipedia, the free encyclopedia
বাইবেলে মুহাম্মাদ একটি বিতর্ক, যেখানে ইসলামের প্রাথমিক যুগ হতে মুসলিমগণ দাবী করেন যে, তাদের নবী মুহাম্মাদের নবীত্ব সম্পর্কে বাইবেলে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। মুসলিম লেখকেরা এই দৃষ্টিভঙ্গি আরো বিস্তৃত করেছেন এইভাবে যে, তারা বাইবেলে মুহাম্মাদ ব্যাপারে তথ্যসূত্র শনাক্ত করেন। তারা খ্রিস্টানদের নূতন নিয়ম এবং ইহুদীদের তানাখ অর্থাৎ পুরাতন নিয়ম সহ উভয় বইয়েই তা শনাক্ত করেছেন বলে দাবী করেন। কুরআন এবং হাদীসের একাধিক জায়গায় নবী মুহাম্মাদের ব্যাপারে বাইবেলে উল্লেখ করা হয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে। বার্নাবাসের বাইবেলে, মুহাম্মদের ব্যাপারে উল্লেখযোগ্যভাবে বর্ণিত আছে।[1][2] গবেষকেরা মধ্য যুগের শুরুর দিক থেকেই দাবী করে আসছেন যে, নবীর আগমনের ভবিষ্যদ্বাণী এই বইয়ে উল্লেখ আছে।
কিছু মুসলিম লেখক ইহুদী সমাজে যিশুর পরে আরেকজন নবীর আগমনের প্রত্যাশা ছিল বলে উল্লেখ করেন। এটাও বলেন যে, এইসমস্ত প্রত্যাশা পূরণের শেষ ধাপ ছিল মুহাম্মাদের আগমন। মুসলমানরা মুহাম্মদের শেষের দিকের প্রচেষ্টার ফলপ্রসূতঃ বাইবেলের যিশুর চরিত্র ছাড়াও মূসা এবং দাঊদের মতো একাধিক চরিত্রকে সম্মান করে।
খ্রিস্টান দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কিছু উল্লেখজনক ব্যক্তিত্ব যেমন মার্টিন লুথার এবং জন ক্যালভিন মুহাম্মাদ বাইবেলের বক্তব্যানুসারে মিথ্যানবী এবং যিশুবিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছেন। অবশ্য আরো অনেক খ্রিস্টান ব্যক্তিত্ব অন্য রকমের মত পোষণ করেন। ১৯১০ সালের ক্যাথোলিক এনসাইক্লোপিডিয়া অনুসারে, গত তিন শতক ধরে গবেষকেরা "মুহাম্মাদ নৈতিক চরিত্র এবং দায়িত্ববোধ" আলোচনা করে বলেন যে, "বেশিরভাগক্ষেত্রে এই ধরনের মন্তব্য "পক্ষপাতিত্ব এবং ইসলামের প্রতি তীব্র ঘৃণা অথবা খ্রিস্টান ধর্মের বিপুল ভালোবাসা" থেকে আসে। ঠিক একই ঘটনা ঘটে অন্য পক্ষ থেকেও, "খ্রিস্টান ধর্মের প্রতি ঘৃণা এবং ইসলাম ধর্মের প্রতি তীব্র ভালোবাসা" এই কাজ করে।[3]