![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/3/37/Vasishtha.jpg/640px-Vasishtha.jpg&w=640&q=50)
বশিষ্ঠ
প্রাচীন ভারতীয় ঋষি / From Wikipedia, the free encyclopedia
বশিষ্ঠ সপ্তর্ষিদের একজন হিসেবে পরিচিত। ইনি ঋকবেদের সপ্তম মণ্ডলের ও অন্যান্য বেদের ঋষি। এঁর স্ত্রীর নাম অরুন্ধতী। এছাড়া তিনি অক্ষমালা নামক শূদ্রকন্যার প্রতি আসক্ত হয়ে তার সাথে মিলিত হন। বশিষ্ঠের সংস্পর্শে এসে ইনি পরমগুণবতী নারীরূপ লাভ করেছিলেন। বশিষ্ঠ মুনির ১ শত পুত্র ছিলেন, এঁদের মধ্যে বামদেব ছিলেন অন্যতম, বামদেব - ভগবান নারায়ণের উপাসনা করতেন। পিতা বশিষ্ঠ মুনির আদেশে বীরভূম জেলার বামদেব পুর গ্রামের মহামায়া আশ্রমের বট বৃক্ষের তলায় মা মহামায়ার উপাসনা করতে শুরু করেন, এবং সেখানেই সিদ্ধি লাভ করেন। এই ঋষির নামে উত্তর-পূর্ব আকাশে একটি তারা আছে। তিনি ব্রহ্মার সপ্তম মানসপুত্র এবং প্রজাপতি। আবার অন্য মতে – কোনো এক যজ্ঞকালে, অপ্সরা উর্বশী'কে দেখে যজ্ঞকুম্ভে আদিত্য ও বরুণের বীর্যপাত হয়। ফলে, যজ্ঞকুম্ভ থেকে বশিষ্ঠ ও অগস্ত্য –এর জন্ম হয়। সে হিসাবে উভয়কেই মিত্র (তেজময় সূর্য) ও বরুণের পুত্র বলা হয়। এর অন্যান্য নাম– অরুন্ধতীজানি, অরুন্ধতীনাথ, অরুন্ধতীসহচর, আপব, উর্বশীয়, কলসী, কলসীসূত, কুম্ভজ, কুম্ভযোনি, কুম্ভসম্ভব, ঘটজ, ঘটযোনি, ঘটোৎভব, মৈত্রাবরুণ, মৈত্রাবরুণি।
বশিষ্ঠ | |
---|---|
![]() ঋষি বশিষ্ঠ | |
উপাধি | সপ্তর্ষি, ব্রহ্মর্ষি, মহর্ষি |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
ধর্ম | হিন্দুধর্ম |
দাম্পত্য সঙ্গী | অরুন্ধতী |
সন্তান | |
পিতামাতা | ব্রহ্মা অথবা মিত্রা-বরুণ এবং ঊর্বশী |
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/8/8a/Ramabhadracharya_Works_-_Painting_in_Arundhati_%281994%29.jpg/320px-Ramabhadracharya_Works_-_Painting_in_Arundhati_%281994%29.jpg)
যোগবশিষ্ঠ, বশিষ্ঠ সংহিতা, সেইসাথে অগ্নিপুরাণ[3]এবং বিষ্ণুপুরাণের কিছু সংস্করণ তাঁর জন্য দায়ী। তিনি অনেক গল্পের বিষয়বস্তু, যেমন তিনি ঐশ্বরিক গাভী কামধেনু এবং নন্দিনী তার সন্তানের অধিকারী ছিলেন, যারা তাদের মালিককে যা কিছু চাওয়ার দিতে পারে। তিনি ঋষি বিশ্বামিত্রের সাথে তার পৌরাণিক দ্বন্দ্বের জন্য হিন্দু গল্পে বিখ্যাত।[4][5][6] রামায়ণে, তিনি রঘু বংশের পারিবারিক পুরোহিত এবং রাম ও তাঁর ভাইদের শিক্ষক ছিলেন।[7]
বৌদ্ধ পালি ধর্মগ্রন্থে যেমন দিঘা নিকায়ে, তেভিজ্জা সুত্ত বুদ্ধ এবং তার সময়ের বৈদিক পণ্ডিতদের সাথে একটি আলোচনার বর্ণনা দিয়েছেন। বুদ্ধ দশজন ঋষির নাম নিয়ে তাদেরকে “আদি ঋষি” এবং (যে শ্লোকসমূহ তার সময়ে গাওয়া হতো) আদি শ্লোকসমূহের প্রণেতা বলে অভিহিত করেন। বুদ্ধের উল্লেখিত এই দশ ঋষির অন্যতম হলেন বসেত্তা (সংস্কৃত বশিষ্ঠেরই পালি উচ্চারণ[8])।[9][টীকা 1]