বনকাঞ্চন
উদ্ভিদের গণ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বনকাঞ্চন (বৈজ্ঞানিক নাম: Bauhinia malabarica) যা করমি, আমলি, আমলোসা, নানকি ইত্যাদি নামেও পরিচিত।[২]
বনকাঞ্চন | |
---|---|
![]() | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
শ্রেণীবিহীন: | Angiosperms |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Rosids |
বর্গ: | Fabales |
পরিবার: | Fabaceae |
উপপরিবার: | Caesalpinioideae |
গোত্র: | Cercideae |
গণ: | Bauhinia L.[১] |
আদর্শ প্রজাতি | |
B. divaricata L. | |
Species | |
See text | |
প্রতিশব্দ | |
Bracteolanthus de Wit |
আবাস
আদি আবাস বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমারসহ দক্ষিণ এশিয়া থেকে একেবারে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত।[২]
আকার
বনকাঞ্চন পাতাঝরা বৃক্ষ। ১৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। পত্র সরল, একান্তর, উপপত্র দুটি, দুই থেকে তিন মিলিমিটার লম্বা। ফলক ডিম্বাকার থেকে গোলাকার, ৪৮ সেন্টিমিটার প্রশস্ত। অন্যান্য কাঞ্চনের তুলনায় পাতা ছোট, চওড়া, পুরু ও অসম্পূর্ণভাবে সজোড়। দেখতে দুটো জোড়া দেওয়া পাতার মতো। ফুল ফ্যাকাশে সাদা ও মেজেন্টা রঙের মিশেল। রক্তকাঞ্চনের সঙ্গে বেশ সাদৃশ্যপূর্ণ। পাপড়ির সংখ্যা পাঁচ, আয়তাকার, সাদা ও বেগুনি রঙের মিশেল। একটি পাপড়ি কিছুটা ব্যতিক্রম, গোড়ার দিকটা গাঢ়-বেগুনি রঙে চিত্রিত এবং শিরাগুলো অত্যন্ত স্পষ্ট। পুংকেশর ১০টি। পাপড়ি অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্রতর, পুংদণ্ড রোমশ ও পরাগধানী দীর্ঘায়ত।[২]
মৌসুম
ফুল ও ফলের মৌসুম বেশ দীর্ঘ, সেপ্টেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বিস্তৃত। ফুল অবশিষ্ট থাকতে থাকতেই সিমের মতো চ্যাপ্টা ফল ধরে। ফলগুলো একসময় শুকিয়ে গিয়ে আপনা-আপনিই ফেটে যায়। তখন বীজগুলো ছড়িয়ে পড়ে।[২]
ব্যবহার
বাকল ট্যানিং, রং ও দড়ির উপকরণ। বীজ-তৈল সস্তা জ্বালানি। শিকড় বিষাক্ত ও সর্পদংশনের প্রতিষেধক। হাঁপানি, ক্ষত এবং পেটের পীড়ায় গাছের নানা অংশ উপকারী। ভারতের কোনো কোনো অঞ্চলে পাতা খাদ্য হিসেবে ব্যবহূত। ইন্দোচীন ও ফিলিপাইনে সতেজ ফুল পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি আমাশয় রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়।[২]
চিত্রশালা
- Bauhinia corifolia fruit
- Bauhinia monandra
- Bauhinia natalensis
- Bauhinia purpurea
- Bauhinia racemosa
- Bauhinia tomentosa
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.