Loading AI tools
নওগাঁ জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বদলগাছী উপজেলা বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা যা ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এটি রাজশাহী বিভাগের অধীন নওগাঁ জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে ছোট এবং নওগাঁ জেলা সদরের উত্তরে অবস্থিত। বদলগাছী উপজেলার উত্তরে ধামইরহাট উপজেলা ও জয়পুরহাট জেলার জয়পুরহাট সদর উপজেলা, দক্ষিণে নওগাঁ সদর উপজেলা, পূর্বে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলা, পশ্চিমে মহাদেবপুর উপজেলা ও পত্নীতলা উপজেলা।[3] বদলগাছীর উপর দিয়ে ছোট যমুনা নামে একটি নদী প্রবাহিত হয়েছে।[4]
বদলগাছী উপজেলা | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে বদলগাছী উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৫৭′৩৬.০০০″ উত্তর ৮৮°৫৫′৪৮.০০০″ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রাজশাহী বিভাগ |
জেলা | নওগাঁ জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ২১৩.৯৭ বর্গকিমি (৮২.৬১ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ২,০১,৩৪২ |
• জনঘনত্ব | ৯৪০/বর্গকিমি (২,৪০০/বর্গমাইল) |
[2] | |
সাক্ষরতার হারপুরুষ ৫১.৬%, মহিলা ৪৮.৬% | |
• মোট | ৫০.০১% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৬৫৭০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫০ ৬৪ ০৬ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
এ উপজেলার অবস্থান নওগাঁ জেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তরে। উপজেলার অবস্থান ২৪.৫৮° উত্তর ৮৮.৫৪° পূর্ব এবং আয়তন ২১৩.৯৮ বর্গ কিলোমিটার। এটি একটি কৃষিপ্রধান এলাকা। কুটির শিল্প এবং মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি পালন করে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। ব্রিটিশ শাসনামলে এ অঞ্চল অর্থনৈতিক এলাকা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আমলে এখানে ইংরেজরা গাঁজা চাষ করতো। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২,০১,৩৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৯.৯৪% এবং মহিলা ৫০.৫০%। উপজেলার গড় সাক্ষরতার হার শতকরা ৪৯ ভাগ।
বাংলাদেশসহ নওগাঁ জেলার আন্তর্জাতিক পরিচিতি বহনকারী সোমপুর বা পাহাড়পুর বিহার এ উপজেলায় অবস্থিত। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো বিহারটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপাল দেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকের প্রথমদিকে এই বিহার তৈরি করেন। ১৮৭৯ সালে স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম এই স্থাপনা আবিষ্কার করেন। খননকালে ৬৩টি প্রস্তরমূর্তি ও বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ১৭৭টি কক্ষ পাওয়া যায়।[5]
ব্রিটিশ শাসনামলে ১৭৯৩ সালে অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার থানা হিসেবে বদলগাছী প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৮৩ সালে বদলগাছী থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বদলগাছীর সংসদীয় আসন নওগাঁ-৩। বদলগাছী ও মহাদেবপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটি জাতীয় সংসদে ৪৮নং আসন হিসেবে চিহ্নিত।
মান্দা, নওগাঁ ও পাঁচপুর এই তিন থানা নিয়ে ১৮৭৭ সালে নওগাঁ মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৭৫ সালে নওগাঁ বান্দাইখাড়া থানাধীন নদী বন্দর ছিল। মহকুমা সদর নির্বাচিত হবার পূর্বেই থানা বান্দাইখাড়া থেকে নওগাঁয় স্থানান্তরিত হয়। পূর্বে বান্দাইখাড়া ও মান্দা থানা রাজশাহী সদর মহকুমার অন্তর্ভুক্ত ছিল।[6] নওগাঁ মহকুমা প্রতিষ্ঠা হবার আগে থেকে বান্দাইখাড়া থানায় একটি মুন্সেফ (ফৌজদারি মামলার বিচারক) চৌকি প্রতিষ্ঠিত ছিল। [7] ১৯৩২ সালে প্রকাশিত একটি পুস্তিকা থেকে জানা যায়, নওগাঁর প্রাচীন আদিবাসী তরফদারগন ৪০০ বছর আগে আজমীর (মতান্তরে বাগদাদ) থেকে আসেন। মুর্শিদাবাদের নাবাব সরকার ‘তরফদার’ খেতাব দেন। নওগাঁয় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কুমারখালি কুঠির তত্তবধানে একটি কারখানা ছিল। ১৮৩৪ সালে নওগাঁ দুবলহাটি থানার অধীন। সুলতানপুর, দুপচাঁচিয়া ও নওগাঁ দুবলহাটি জমিদারের অন্তর্গত ছিল।[8]
১৭৯৩ সালে ঘোড়াঘাট অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।[9] ১৮২১ সালে বদলগাছী থানা বগুড়া জেলার অন্তর্গত হয়।[10] ১৮৯৬-৯৭ সালে বগুড়া জেলার অন্তর্ভুক্ত বদলগাছী থানাকে স্থানান্তরিত করে রাজশাহী জেলার নওগাঁ মহকুমার সাথে সংযুক্ত করা হয়। ১৯৮৩ সালের ৭ নভেম্বর প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের ফলে বদলগাছী থানাকে বদলগাছী উপজেলা হিসেবে রূপান্তরিত হয়। [11] ১৯৮৪ সালের পহেলা মার্চ নওগাঁ জেলার উদ্বোধন হয় এবং বদলগাছীকে নওগাঁ জেলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[12]
বদলগাছী নামকরণের ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায়, মুদ্রা ব্যবস্থা প্রচলনের পূর্বে, দ্রব্য বিনিময় ব্যবস্থার আমলে মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী বদলগাছী নামক স্থানে বিনিময় করত। দ্রব্য বদলা-বদলীর স্থান হিসেবে কালক্রমে এর নাম হয়েছে বদলগাছী।[13]
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ২২ এপ্রিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী নওগাঁ দখল করে। সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে প্রতিহত ও পরাভূত করার লক্ষ্যে আতোয়ার রাহমান তালুকদারকে (এমএনএ) বদলগাছী থানার দায়িত্ব দেওয়া হয়। [14] মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৫ অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জালাল হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে বদলগাছী থানার কোলা ভান্ডারপুর নামক স্থানে মুক্তি বাহিনী ও পাক বাহিনীর মধ্যে সম্মুখ যুদ্ধে অসংখ্য পাকসেনা এবং দুইজন মুক্তিযোদ্ধা মারা যান। [15] এছাড়া কোলা, ভান্ডারপুর, মিঠাপুর, বালুভরা নামক এলাকায় পাকসেনারা অনেক ঘর-বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং বহুলোককে হত্যা করে। এছাড়াও সোমপুর বিহারের পাহাড়পুর গ্রামের সন্নিকটে হানাদার বাহিনী গণহত্যা সংঘটিত করে।[16] ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর বদলগাছীকে মুক্তাঞ্চল ঘোষণা করা হয়।
বদলগাছী উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান ২৪.৫৮° উত্তর ৮৮.৫৪° পূর্ব। এর উত্তরে ধামইরহাট উপজেলা ও জয়পুরহাট জেলার জয়পুরহাট সদর উপজেলা, দক্ষিণে নওগাঁ সদর উপজেলা, পূর্বে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলা, পশ্চিমে মহাদেবপুর উপজেলা ও পত্নীতলা উপজেলা।[17]
এর মোট আয়তন ২১৩.৯৮ বর্গ কিলোমিটার। এ উপজেলার প্রধান নদী ছোট যমুনা নদী। ছোট যমুনা নদী বদলগাছী উপজেলাকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। নদীর পূর্ব দিকে উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন যথা আধাইপুর ইউনিয়ন, কোলা ইউনিয়ন, পাহাড়পুর ইউনিয়ন, বদলগাছী, বিলাশবাড়ী ইউনিয়ন, মথুরাপুর ইউনিয়ন, বদলগাছী, মিঠাপুর ইউনিয়ন এবং পশ্চিম পাড়ে বদলগাছী ইউনিয়ন ও বালুভরা ইউনিয়ন নামে দুটি ইউনিয়ন অবস্থিত। বদলগাছী নওগাঁ জেলা শহর হতে ১৭ কিঃ মিঃ উত্তরে এবং পাকা সড়ক দ্বারা সংযুক্ত।
বদলগাছীর বিলাশবাড়ী ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামে ২০১৬ সালে প্রায় ৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে একটি চুনাপাথরের খনির সন্ধান পাওয়া গেছে যা বাংলাদেশের প্রথম চুনাপাথরের খনি।[18] বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর ভূপৃষ্ঠের ২ হাজার ২১৪ ফুট গভীরে চুনাপাথরের পুরু স্তর আবিষ্কৃত করে।[19] মাটির ৬১ ফুট খনন করে চুনাপাথর পাওয়া গেছে।[20][21]
ছোট যমুনা নদী তীরবর্তী পলি অঞ্চল হিসাবে বদলগাছী গঠিত। বদলগাছীর ভূমি প্রকৃতি সমতল ও উচু। এই এলাকার মাটি দোআঁশ এবং নদীর পলিবিশিষ্ট হওয়ায় জমি খুবই উর্বর। একফসলী, দুইফসলী, ত্রিফসলী জমি রয়েছে। এর গড় বৃষ্টিপাত ৭৭সেঃমিঃ।[22] শীত ও গ্রীষ্মে তাপমাত্রায় যথেষ্ট হ্রাসবৃদ্ধি ঘটে, সাধারণভাবে বলতে গেলে আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ। উপজেলায় বহুসংখ্যক খাড়ি ও বিল রয়েছে। বর্ষাকালে এইসব পানিতে ভরে উঠে।
বদলগাছী উপজেলা মোট ৮টি ইউনিয়ন, ২৩৭টি গ্রাম ও ২৪৬টি মৌজায় বিভিক্ত। ইউনিয়নগুলো হলো, বদলগাছী, মথুরাপুর, পাহাড়পুর, মিঠাপুর, কোলা, বিলাশবাড়ী, আধাইপুর, বালুভরা। [23] ব্রিটিশ শাসনামলে ১৭৯৩ সালে অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার থানা বা পুলিশ স্টেশন স্থাপন করা হয়। ১৮২১ সালে বদলগাছী থানা বগুড়া জেলাতে ও এরপরে ১৮৯৬-৯৭ সালে বগুড়া জেলা থেকে স্থানান্তরিত করে রাজশাহী জেলার নওগাঁ মহকুমার সাথে যুক্ত করা হয়। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৮৩ সালে বদলগাছীকে উপজেলা করা হয়। সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অধীনে উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তিনিই উপজেলার প্রশাসনিক প্রধান। এছাড়া, জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত একজন উপজেলা চেয়ারম্যান জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বদলগাছী উপজেলায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় একটি থানা বা পুলিশ স্টেশন রয়েছে। এছাড়া একটি করে আনসার ও ভিডিপি ক্যাম্প এবং ফায়ার সার্ভিস স্টেশন রয়েছে।
বদলগাছীর ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে বদলগাছী ইউনিয়নকে উপজেলা সদর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বদলগাছীর সংসদীয় আসন নওগাঁ-৩। বদলগাছী উপজেলা ও মহাদেবপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটি জাতীয় সংসদে ৪৮নং আসন হিসেবে চিহ্নিত। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর অনুষ্ঠিত, ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ বায়তুল্লাহ যিনি জাতীয় সংসদের ১ম ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[24] ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টি মোহাম্মদ সুজাউদ্দৌলা নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে পঞ্চম, ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ ষষ্ঠ, জুন ১৯৯৬ তারিখে সপ্তম, ২০০১ অষ্টম সালের নির্বাচনে টানা ৪ বার বিএনপির আখতার হামিদ সিদ্দিকী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। যিনি ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ১০ম ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। [25] ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের আকরাম হোসাইন চৌধুরী এ আসন থেকে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ও ২০১৮ সালের সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছলিম উদ্দীন তরফদার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২,০১,৩৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,০০,৫৬৬ জন এবং মহিলা ১,০০,৭৭৬ জন। [2][26] মোট জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিম ১,৭৫,১৫০ জন, হিন্দু ১৯,৮৫৪ জন, খৃষ্টান ২৯০ জন এবং উপজাতি ১০,৭৯৯ জন। উপজেলায় মোট ভোটার ১,৪২,৯৭০ জন। উপজেলায় মোট ৫৪,০০১ টি পরিবার রয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ০.৮৪%। সাক্ষরতার হার ৫০.০১%।[2]
বদলগাছী মূলত কৃষিপ্রধান অঞ্চল। এ অঞ্চলের ৬৪.৭৫% জনগনের আয়ের প্রধান উৎস কৃষিকাজ। [17] প্রধান কৃষি ফসলের মধ্যে রয়েছে ধান, ডাল, পাট, গম, আখ, আদা, পেঁয়াজ, আলু সহ অন্যান্য শাক-সবজি। পূর্বে এ অঞ্চলে রসুন, তিল, তিসি ও মাষকলাই আবাদ করা হতো। এছাড়াও এখানে কলা, কাঁঠাল, আম, লিচু, পেঁপে এবং জাম বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়। ২০০১ সালের ভূমিজরিপ অনুসারে উপজেলার ৫৩.৬৯% পরিবার কৃষিজমির মালিক। উপজেলায় মোট ১৬৪৫৪ হেক্টর আবাদি জমি রয়েছে। [27]
কৃষি নির্ভর অর্থনীতির বাইরে মৎস্য, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগির খামার, মৃৎশিল্প, কুটিরশিল্প, স্বর্ণশিল্প, বাঁশের কাজ, লৌহশিল্প, নকশি পাখা, দারুশিল্প, নকশি কাঁথা ও ইট ভাটাসহ প্রভৃতি এ উপজেলার অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। আটা কল, বরফ কল, বিস্কুট ও চানাচুর কারখানা রয়েছে। ধান, সরিষা, গম, আলু, বাঁশ এবং মাটির তৈরি শিল্প রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। [17] বিখ্যাত নাক ফলি আমের বিস্তার বাংলাদেশে ঘটে এই বদলগাছী থেকেই।
ব্রিটিশ শাসনামলে এ অঞ্চেল অর্থনৈতিক এলাকা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। চাল ব্যবসা, রেশম কেনাবেচার[28] জন্য বিখ্যাত ছিলো। যশোর থেকে গাঁজা বীজ এনে নওগাঁয় চাষ করে সূচনা করে। যেসব এলাকায় গাঁজা চাষ হতো সেইগুলো গাঁজা মহাল নামে পরিচিত ছিল। উৎপন্ন গাঁজা বাংলা, বিহার, আসাম, উত্তর প্রদেশ, সুদূর বিলেতেও রপ্তানি হতো। [29]
বদলগাছী উপজেলা বরেন্দ্র অঞ্চল, তিস্তা পলল ও নিম্ন অঞ্চল বেমিন প্রকৃতি অঞ্চলের অর্ন্তগত সমতল ভূমি দ্বারা গঠিত। উপজেলায় ইসলাম ধর্মালম্বীর সংখ্যা বেশি কিছু হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও উপজাতী (মাহেলী) বাস করে। আদিকাল থেকেই এ অঞ্চলে সাহিত্য ও সংস্কৃতি বৈচিত্র লক্ষ্য করা যায়। বদলগাছী উপজেলার প্রধান ভাষা বাংলা। কবি তালিম হোসেনের জন্ম বদলগাছীতে। সঙ্গীতানুরাগী তালিম হোসেন ‘নজরুল একাডেমি’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ দিশারী ১৯৫৬ সালে প্রকাশিত হয়। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হল শাহীন ও নূহের জাহাজ। তিনি তৎকালীন মাহে নও পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তিনি বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার,পাকিস্তান সরকারের সিতারা- ই-ইমতিয়াজ' খেতাব ও স্বর্ণপদক, একুশে পদক পান। [30] আলমগির জলীল সাহিত্যিক 'রাজশাহীর মেয়েলী গীত' তার উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম। আব্দুস সামাদ চৌধুরীর কওমিয়াৎ উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম।[31] বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে উপজেলার বাসিন্দারে বিভিন্ন লোকগীতি পরিবেশন করতে দেখা যেত যদিও বর্তমানে তা খুব একটা দেখা যায় না। এসব লোকগীতির মধ্যে, বিয়ের গান, কীর্তন, যাত্রাপালা, কিচ্ছা, গম্ভীরা, গজল, ভাদুই, পাঁচালি প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। [31] সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বদলগাছীতে ৩টি গ্রন্থাগার, ১টি সিনেমা হল, ৫৬টি ক্লাবসহ ৩১টি খেলার মাঠ রয়েছে।[17]
২০১১ সালের হিসেব অনুযায়ী বদলগাছীর গড় সাক্ষরতার হার শতকরা ৪৯.৫ ভাগ (পুরুষ ৫২.৬%, মহিলা ৪৬.৫%)। উপজেলায় ৫টি কলেজ,২টি কারিগরি কলেজ,৩৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৪টি কমিউনিটি বিদ্যালয়[17], ১৩৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ০১ টি নন রেজিঃপ্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩টি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৭টি কিন্ডার গার্টেন, ৩টি এনজিও পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২০টি ইবতেদায়ে ও স্বতন্ত্র মাদ্রাসা রয়েছে।[32]
উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে—
বদলগাছী উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থা বাংলাদেশের অন্য সব শহরের মতোই। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রধানত পাঁচটি ধাপ রয়েছে: প্রাথমিক (১ থেকে ৫), নিম্ন মাধ্যমিক (৬ থেকে ৮), মাধ্যমিক (৯ থেকে ১০), উচ্চ মাধ্যমিক (১১ থেকে ১২) এবং উচ্চ শিক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষা সাধারণত ৫ বছর মেয়াদী হয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসিই) এর মাধ্যমে শেষ হয়, ৩ বছর মেয়াদী নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা সাধারণত নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি), ২ বছর মেয়াদী মাধ্যমিক শিক্ষা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি), ২ বছর মেয়াদী উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সাধারণত উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার মাধ্যমে শেষ হয়।
মূলত বাংলা ভাষায় পাঠদান করা হয় তবে ইংরেজি ব্যাপকভাবে পাঠদান ও ব্যবহৃত হয়। অনেক মুসলমান পরিবার তাদের সন্তানদের বিশেষায়িত ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেমন মাদ্রাসাতে প্রেরণ করেন। মাদ্রাসাগুলোতেও প্রায় একই ধরনের ধাপ উত্তীর্ণ হতে হয়। উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোন শিক্ষার্থী সাধারণত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে।
বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বদলগাছী উপজেলার এমন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বের মধ্যে রয়েছেন নজরুল একাডেমি প্রতিষ্ঠাতা কবি তালিম হোসেন, বাংলা একাডেমী সাবেক উপ-পরিচালক আলমগীর জলিল, বগুড়া আজিজুল হক কলেজ সাবেক অধ্যক্ষ এবং কবি আতাউর রহমান।
সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য হার তুলনামূলক কম হলেও এটি মূলত দারিদ্র্যতার সাথে সম্পর্কিত হওয়ায়, এর উন্নতির সাথে সাথে বর্তমানে স্বাস্থ্য সেবাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বদলগাছী অঞ্চলে অপুষ্টি, পরিবেশগত স্যানিটেশন সমস্যা, ডায়াবেটিস, সংক্রামক রোগ প্রভৃতি বেশি দেখা যায়। উপজেলায় ১টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ৩টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ৩টি পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র (আরডি), ৬টি ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র (এফডব্লিউসি), ১টি ক্লিনিক, ২৬ টি কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ৩টি বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল রয়েছে।[17]
উপজেলার বাসিন্দাদের মধ্যে ৯৫.৩৫% নলকূপ, ০.৩২% ট্যাপ, ০.০৩% পুকুর এবং ৪.৩% অন্যান্য উৎস থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করে থাকে।[17] বদলগাছীর উপজেলার ১২.৫৪% পরিবার স্বাস্থ্যকর স্যানিটেশন ব্যবহার করে থাকে যার মধ্যে শহরের ৩৭.৯৪% পরিবার এবং গ্রামের ১১.৬৭% পরিবার। এছাড়া ২৩.৭১% (গ্রামের ২৩.৮২% এবং শহরের ২০.৫৫%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর স্যানিটেশন ব্যবহার করে। ৬৩.৭৫% পরিবারের স্যানিটেশনের সুবিধা নেই।[17]
বদলগাছীর ৮৬.৯৯% মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী। এছাড়া ৯.৮৬% হিন্দু এবং ৫.৫০% অন্যান্য ধর্মালম্বী মানুষ বসবাস করে। [13] এ উপজেলায় ২৩৫টি মসজিদ, ৯৩টি মন্দির, ২টি গির্জা, ১টি তীর্থস্থান রয়েছে।[17] উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, বদলগাছী উপজেলার উপজেলা প্রাঙ্গণে উপজেলা জামে মসজিদ, হাটখোলা বাজার জামে মসজিদ অন্যতম। এছাড়াও বিলাশবাড়ি ইউনিয়নে হলুদ বিহার নামে প্রাচীন বৌদ্ধ বসতি অবস্থিত। বিহারটি ১৯৭৬ সালে সংরক্ষিত করা হয় এবং বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ১৯৮৪ সালে একবার এবং পরে ১৯৯৩ সালে আবার এটি খনন করে। [33] বদলগাছী থানার অধীনস্থ পাহাড়পুর গ্রামে প্রাচীন পাহাড়পুর বা সোমপুর বৌদ্ধ বিহার অবস্থিত। স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম কর্তৃক ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে স্থাপনাটি আবিষ্কার হয়। ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করে। [34]
বাংলাদেশের আঞ্চলিক মহাসড়ক আর৫৪৯ (বদলগাছী- পাহাড়পুর- জয়পুরহাট (খঞ্জনপুর) সড়ক) বদলগাছী শহরকে পাহাড়পুর হয়ে জয়পুরহাট জেলার খঞ্জনপুর এর সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে। আর৫৪৭ সড়কটি (নওগাঁ-বদলগাছী-সাপাহার-পোরশা-রোহনপুর) বদলগাছীকে নওগাঁ সদর, সাপাহার, পোরশা উপজেলার সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে। বাংলাদেশের জেলা সড়ক জেড৫৪৫২ সড়কটি (জয়পুরহাট-আক্কেলপুর-বদলগাছী) বদলগাছীকে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে।
ঢাকা শহরসহ অন্যান্য জেলা বা এলাকা থেকে বদলগাছীতে আসা সড়কযোগে এবং রেলযোগে অনেক সহজ। রাজধানী ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন উভয়দিক হতে সকাল ও রাতে শাহ্ ফতেহ আলী পরিবহন এবং গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন উভয়দিক হতে সকাল ও রাতে হানিফ পরিবহন এর বাস চালু রয়েছে। এছাড়াও রাজধানী ঢাকা এর মহাখালী বাস টার্মিনাল অথবা গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে প্রতি ৩০ মিনিট পরপর বিভিন্ন পরিবহনের বাস (যেমনঃ শাহ্ ফতেহ আলী পরিবহন, একতা পরিবহন, এস আর ট্রাভেলস, হানিফ পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন, শ্যামলী এনআর ট্রাভেলস, ডিপজল পরিবহন সহ আরও অনেক পরিবহনের বাস) নওগাঁ জেলা এর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে, যার ভাড়া ননএসি ও এসি বাস ভেদে ৪০০-১২০০ টাকা। নওগাঁ শহরের ঢাকা বাস টার্মিনালে নেমে সিএনজি ও বাস যোগে বদলগাছী আসা যায়। ঢাকা বাস টার্মিনালে নামার পর সিএনজি যোগে আসতে হলে নওগাঁ শহরের পুরাতন বাসস্ট্যাণ্ডে আসতে হবে এবং বাস যোগে আসতে চাইলে বালুডাঙ্গা বাস টার্মিনালে আসতে হবে। বালুডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে বদলগাছীর উদ্দেশ্যে প্রতি ১৫ মিনিট পরপর বাস ছেড়ে আসে। এছাড়াও ঢাকা থেকে রেলযোগে আসতে চাইলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন অথবা ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে একতা এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে আক্কেলপুর রেলওয়ে স্টেশন এসে নামতে হয়, তারপর রেলস্টেশন থেকে সিএনজি অথবা অটো যোগে বদলগাছী আসতে হয়। ঢাকা থেকে বদলগাছীতে বাসে আসতে ৬-৭ ঘন্টার মতো সময় লাগে এবং ট্রেনে সবমিলিয়ে ৮ ঘন্টার মতো সময় লাগে।
বদলগাছী থেকে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার (সোমপুর বিহার) এ যেতে হলে বাসে ও সিএনজি করে যেতে হয়। বদলগাছী থেকে হলুদ বিহারে যেতে হলে সিএনজি অথবা ভ্যান যোগে যেতে হয়।
পাহাড়পুর একটি প্রাচীন নিদর্শনের স্থান।উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নে অবস্থিত। এটার আরেক নাম সোমপুর বিহার।পাল বংশের দ্বিতীয় রাজা ধর্মপাল অষ্টম শতকে বা নবম শতকে পিতৃভূমি বরেন্দ্রতে এই বিহার তৈরি করেন। খননকালে পাওয়া একটি মাটির শিলালিপি থেকে জানা যায় এটি সোমপুর বিহার।সমতল ভূমিতে প্রায় ৮০ ফুট উঁচু ঢিবি হওয়ায় স্থানীয় লোকজন এটিকে পাহাড়পুর নামকরণ করে। খননের পরে সারিবদ্ধভাবে চারেদিকে প্রাচীন বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বসবাসের মোট ১৭৭টি কক্ষ পাওয়া গেছে।খননকালে প্রধান মন্দিরের দেওয়ালে ৩৬টি পাথরের মূর্তি, মন্দিরের ভেতরের গায়ে ২ হাজার পোড়ামাটির চিত্রফলক চিত্রফলক পাওয়া গেছে। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিশেবে স্বীকৃতি দেয়।[35][36] প্রায় ২৭ একর জমি নিয়ে এটি স্থাপিত। এটি ৩০০ বছর ধরে বৌদ্ধদের ধর্মচর্চার প্রাণকেন্দ্র ছিল। জ্ঞান-বিজ্ঞান, গবেষণা ও ধর্মীয়জ্ঞান চর্চার জন্য একটি উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল। উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এবং উপমহাদেশের বাহিরের বিভিন্ন দেশ থেকে বৌদ্ধরা এই বিহারে ধর্মচর্চা এবং ধর্মজ্ঞান অর্জন করতে আসতেন।[37][38]
বদলগাছী উপজেলার বিলাসবাড়ি ইউনিয়নের দ্বীপগঞ্জ নামক গ্রামে বিহারটি অবস্থিত। স্থানীয়ভাবে এটি দ্বীপগঞ্জ নামেও পরিচিত। হলুদ বিহারটি স্তূপকৃত মাটির ঢিবি আকৃতির। ঢিবিটি প্রায় ১০০ ফুট এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এবং সমতল ভূমি থেকে ২৫ ফুট উঁচু। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ সংরক্ষিত স্থানের মর্যাদা দেয়।[39] প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ ১৯৮৪ সালে একবার এবং ১৯৯৩ সালে আবার বিহারটি খনন করে। খননের ফলে এইখানে একটি মন্দির কমপ্লেক্স পাওয়া যায়।[40] মন্দিরের উত্তর ও দক্ষিণের দিকে দুটি অভিক্ষেপের ধ্বংসাবশেষ অংশ পাওয়া যায়। এছাড়াও পোড়া মাটির ফলক, অলংকৃত ইট, পাথরের ভগ্ন বৌদ্ধমূর্তি, ধাতবমূর্তি, পাথরের ভাস্কর্য, বিভিন্ন মূর্তির খণ্ডিত অংশ পাওয়া যায়। [41] ঐতিহাসিকগনের মতে, এটিকে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার সময়কালের বৌদ্ধ বিহার (হাজার বছরের পুরানো বিশ্ববিদ্যালয়) মনে করা হয়।[37] তবে সংরক্ষণের অভাবে প্রাচীন নিদর্শনটি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। স্থাপনার অনেককিছু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। [42][43]
এটি পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার এ অবস্থিত। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। এখানে প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ আছে।[44][45]
মোঃ আকরাম হোসেন চৌধুরী।সাবেক সংসদ সংসদ ও পেসিডেন্ট,রাজশাহী বরেন্দ্র বহুমুখী অঞ্চল
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.