ফ্রিডরিখ হায়েক
অস্ট্রিয়ান-ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ, দার্শনিক / From Wikipedia, the free encyclopedia
ফ্রিডরিখ আগস্ট ফন হায়েক (৮ মে ১৮৯৯ - ২৩ মার্চ ১৯৯২) ছিলেন একজন অস্ট্রিয়ান-ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক দার্শনিক যিনি অর্থনীতি, রাজনৈতিক দর্শন, মনোবিজ্ঞান, বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাস এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে অবদান রেখেছিলেন।[1][2][3][4] অর্থ, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ঘটনাগুলোর আন্তঃনির্ভরতার বিষয়ে কাজ করার জন্য হায়েক ১৯৭৪ সালে গুনার মারদালের সাথে যৌথভাবে অর্থনীতিতে নোবেল স্মারক পুরস্কার লাভ করেন।[5] মূল্য কীভাবে তথ্য যোগাযোগ করার মাধ্যম হয়ে উঠে, সে বিষয়ে তার গবেষণাকে অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান হিসাবে গণ্য করা হয়। এটি তার পুরস্কার প্রাপ্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।[6][7][8]
ফ্রিডরিখ হায়েক | |
---|---|
জন্ম | ফ্রিডরিখ আগস্ট ফন হায়েক (১৮৯৯-০৫-০৮)৮ মে ১৮৯৯ |
মৃত্যু | ২৩ মার্চ ১৯৯২(1992-03-23) (বয়স ৯২) ফ্রেইবুর্গ, জার্মানি |
সমাধি | নিউশিফটার ফ্রেইডহফ |
নাগরিকত্ব | অস্ট্রিয়ান (১৮৯৯-১৯৩৮) ব্রিটিশ (১৯৩৮–১৯৯২) |
দাম্পত্য সঙ্গী | হেলেন বার্টা মারিয়া ভন ফ্রিটজ (বি. ১৯২৬) হেলেন বিটারলিচ (বি. ১৯৫০) |
প্রতিষ্ঠান |
|
কাজের ক্ষেত্র | |
ঘরানা/গোষ্ঠী/ঐতিহ্য | অস্ট্রিয়ান স্কুল |
পুরস্কার |
|
Information at IDEAS / RePEc | |
স্বাক্ষর | |
কিশোর বয়সে হায়েক প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যোগদান করেন। পরে তিনি বলেছিলেন যে এই যুদ্ধের সময় স্বচক্ষে দেখা ভুলগুলো এড়াতে সাহায্য করার ইচ্ছা তাকে অর্থনীতিতে আকৃষ্ট করেছিল।[9][10] তিনি ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২১ সালে আইনে এবং ১৯২৩ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।[9][11] পরবর্তীকালে তিনি অস্ট্রিয়া, গ্রেট ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানিতে বসবাস ও কাজ করেন। তিনি ১৯৩৮ সালে ব্রিটিশ নাগরিক হন[12] তার একাডেমিক জীবনের বেশিরভাগই কেটেছে লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সে, পরে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ফ্রেইবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে । তিনি অস্ট্রিয়ান স্কুল অফ ইকোনমিক্সের অন্যতম প্রধান অবদানকারী হিসাবে বিবেচিত হন।[13][14]
২০ শতকের বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনের উপর হায়েকের যথেষ্ট প্রভাব ছিল এবং তার ধারণা আজও বিভিন্ন রাজনৈতিক পটভূমি থেকে চিন্তাবিদদের প্রভাবিত করে চলেছে।[15][16][17] যদিও তাকে মাঝে মাঝে রক্ষণশীল হিসেবে বর্ণনা করা হয়[18] কিন্তু হায়েক নিজেকে রক্ষণশীল মনে করতেন না। তিনি নিজেকে একজন ধ্রুপদী উদারপন্থী হিসেবে উপস্থাপন করতেন।[19][20] মন্ট পেলেরিন সোসাইটির সহ প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তিনি যুদ্ধোত্তর যুগে ধ্রুপদী উদারনীতির পুনরুজ্জীবনে অবদান রেখেছিলেন।[21] তার সবচেয়ে জনপ্রিয় বই দ্য রোড টু সার্ফডম মূল প্রকাশের পর থেকে আট দশক ধরে বহুবার পুনঃপ্রকাশিত হয়েছে।[22][23]
হায়েক অর্থনীতিতে তার একাডেমিক অবদানের জন্য ১৯৮৪ সালে অর্ডার অফ দ্য কম্প্যানিয়ন্স অফ অনারের সদস্য নিযুক্ত হন।[24] তিনি ১৯৮৪ সালে হ্যান্স মার্টিন শ্লেয়ার পুরস্কারের প্রথম বিজয়ী ছিলেন[25] অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৯১ সালে রাষ্ট্রপতি জর্জ এইচডব্লিউ বুশের কাছ থেকে রাষ্ট্রপতির স্বাধীনতা পদক লাভ পেয়েছিলেন।[26] আমেরিকান ইকোনমিক রিভিউতে প্রথম ১০০ বছরে প্রকাশিত শীর্ষ বিশটি নিবন্ধের একটি হিসাবে তার নিবন্ধ "সমাজে জ্ঞানের ব্যবহার" নির্বাচিত হয়েছিল।[27]