ফুনাফুটি
প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র তুভালুর রাজধানী ও অ্যাটল (প্রবাল) দ্বীপ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র তুভালুর রাজধানী ও অ্যাটল (প্রবাল) দ্বীপ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.
ফুনাফুটি (ইংরেজি: Funafuti) পশ্চিম-মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্র টুভালুকে গঠনকারী নয়টি অ্যাটল বা প্রবালপ্রাচীর দ্বীপের মধ্যে বৃহত্তম দ্বীপ। দ্বীপগুলি অস্ট্রেলিয়া থেকে ৩৪০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। ফুনাফুটি অ্যাটলটি ৩০টি খণ্ডদ্বীপ নিয়ে গঠিত। খণ্ডদ্বীপগুলি ২০ মিটার থেকে ৪০০ মিটার প্রশস্ত হতে পারে এবং এদের সর্বমোট আয়তন মাত্র ২.৪ বর্গকিলোমিটার। ফুনাফুটির খণ্ডদ্বীপগুলি একটি উপহ্রদ বা লেগুনকে ঘিরে রেখেছে; লেগুনটির দৈর্ঘ্য ২১.৬ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৬ কিলোমিটার। লেগুনে জাহাজের নোঙর ফেলার সুব্যবস্থা আছে। মালবাহী জাহাজগুলির এখানে প্রবেশ করতে পারে এবং ফোঙ্গাফালে খণ্ডদ্বীপে বন্দরের সুব্যবস্থা উপভোগ করে। তুভালুতে কেবল ফুনাফুটি দ্বীপেই স্থায়ী জনবসতি রয়েছে। ফুনাফুটি তুভালুর রাজধানী।[1] আরও সঠিক করে বলতে গেলে ফোঙ্গাফালে খণ্ডদ্বীপটি দেশের রাজধানী। ফোঙ্গাফালেতে একটি হোটেল, হাসপাতাল ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আছে।
ফুনাফুটি Funafuti | |
---|---|
অ্যাটল (প্রবালপ্রাচীর দ্বীপ) | |
ফুনাফুটি অ্যাটলের বিমানচিত্র | |
টুভালুতে ফুনাফুটি অ্যাটলের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ০৮°৩১′ দক্ষিণ ১৭৯°১২′ পূর্ব | |
দেশ / রাষ্ট্র | টুভালু |
আয়তন | |
• মোট | ২.৪ বর্গকিমি (০.৯ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১২) | |
• মোট | ৬,০২৫ |
• জনঘনত্ব | ২,৫০০/বর্গকিমি (৬,৫০০/বর্গমাইল) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | TV-FUN |
ফুনাফুটির জলবায়ু ক্রান্তীয় অতিবৃষ্টি অরণ্য প্রকৃতির। এখানে প্রতি মাসেই বৃষ্টিপাত হয়। গড় তাপমাত্রা সারা বছর ধরেই ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকে।
১৯৪৩ সালে এখানে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
ফুনাফুটিতে প্রায় ৬ হাজার লোকের বাস, যা তুভালুর মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি। স্থানীয় অধিবাসীরা পলিনেশীয় জাতির লোক। তারা সম্ভবত সামোয়া থেকে এসেছিল।[2][3] ফুনাফুটির লোকেরা মূলত কৃষিজীবী। তারা তারো, কলা ও আখের চাষ করে। এখানকার মাটি বেলে ধরনের ও অনুর্বর। তা সত্ত্বেও এখানে উৎপাদিত কোপরা (শুকানো নারিকেল শাঁস) রপ্তানি করা হয়।