প্লাইমাউথ
ইংল্যান্ডের ডেভন কাউন্টির শহর / From Wikipedia, the free encyclopedia
প্লাইমাউথ দক্ষিণ পশ্চিম ইংল্যান্ডের একটি বন্দর শহর ও একক কর্তৃপক্ষ। এটি ডেভনের দক্ষিণ উপকূলে, এক্সেটারের প্রায় ৩৭ মাইল (৬০ কিমি) দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং লন্ডনের ১৯০ মাইল (৩১০ কিলোমিটার) দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। এটি পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে কর্নওয়াল দ্বারা সীমানাযুক্ত।
প্লাইমাউথ | |
---|---|
শহর ও একক কর্তৃপক্ষ | |
ডাকনাম: ব্রিটেন'স ওশান সিটি | |
নীতিবাক্য: Turris fortissima est nomen Jehova "The name of Jehovah is the strongest tower"[1] | |
ডেভন ও ইংল্যান্ডের মধ্যে প্লাইমাউথকে দেখানো হয়েছে | |
স্থানাঙ্ক: ৫০°২২′১৭″ উত্তর ৪°০৮′৩২″ পশ্চিম | |
সার্বভৌম রাষ্ট্র | যুক্তরাজ্য |
দেশ | ইংল্যান্ড |
অঞ্চল | দক্ষিণ পশ্চিম ইংল্যান্ড |
আনুষ্ঠানিক কাউন্টি | ডেভন |
শহর পদমর্যাদা | ১৯২৮ |
একক কর্তৃপক্ষ | ১৯৯৮ |
সরকার | |
• ধরন | নগর পরিষদ |
• শাসক | প্লাইমাউথ সিটি কাউন্সিল |
• কার্যনির্বাহী | এনওসি |
• লর্ড মেয়র | স্যাম ডেভি[2] |
• সদর দপ্তর | সিভিক সেন্টার প্রিসিন্ট |
• ওয়ার্ড | ২০ |
• এমপি | জনি মার্সার (সি) লুক পোলার্ড (এল) |
আয়তন[3] | |
• মোট | ৩০.৮২ বর্গমাইল (৭৯.৮৩ বর্গকিমি) |
এলাকার ক্রম | ২৩৫তম (৩০৯ টির মধ্যে) |
সর্বোচ্চ উচ্চতা | ৫০৯ ফুট (১৫৫ মিটার) |
সর্বনিন্ম উচ্চতা | ০ ফুট (০ মিটার) |
জনসংখ্যা (অনুমানিক, ২০১৯-এর মাঝামাঝি) | |
• মোট | ২,৬২,১০০ |
• ক্রম | ৬২তম (৩০৯ টির মধ্যে) |
• জনঘনত্ব | ৮,৫০০/বর্গমাইল (৩,৩০০/বর্গকিমি) |
• ডেমোনিম | প্লাইমোথিয়ান (আনুষ্ঠানিক) জ্যানার (অনানুষ্ঠানিক) |
সময় অঞ্চল | জিএমটি (ইউটিসি০) |
• গ্রীষ্মকালীন (দিসস) | বিএসটি (ইউটিসি+১) |
পোস্টকোড জেলা | পিএল–১৯ |
এলাকা কোড | ০১৭৫২ |
ওয়েবসাইট | plymouth |
প্লাইমাউথের প্রাথমিক ইতিহাস ব্রোঞ্জ যুগ পর্যন্ত প্রসারিত, সেই সময়ে মাউন্ট ব্যাটেনে প্রথম বসতি গড়ে ওঠে। এই বসতিটি রোমান সাম্রাজ্যের জন্য একটি বাণিজ্য পোস্ট বা ঘাঁটি হিসাবে অব্যাহত ছিল, যতক্ষণ না এটিকে নবম শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত আরও সমৃদ্ধ সাটন গ্রাম অতিক্রম করে, যা এখন প্লাইমাউথ নামে পরিচিত। তীর্থযাত্রী ফাদাররা ১৬২০ সালে প্লাইমাউথ থেকে নিউ ওয়ার্ল্ডের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ও প্লাইমাউথ কলোনি প্রতিষ্ঠা করেন, যা এখন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ইংরেজ বসতি। শহরটি ইংরেজ গৃহযুদ্ধের সময় পার্লামেন্টেরিয়ান্সদের দখলে ছিল এবং ১৬৪২ সাল থেকে ১৬৪৬ সালের মধ্যে অবরোধ করা হয়েছিল।
প্লাইমাউথ শহরটি শিল্প বিপ্লবের সময় একটি বাণিজ্যিক শিপিং বন্দর হিসাবে বেড়ে ওঠে, আমেরিকা থেকে আমদানি ও যাত্রীদের পরিচালনা এবং স্থানীয় খনিজ (টিন, তামা, চুন, চীনামাটি ও আর্সেনিক) রপ্তানি করে। প্রতিবেশী ডেভনপোর্ট নগরটি তার শিপইয়ার্ড ও ডকইয়ার্ডের জন্য রয়্যাল নৌবাহিনীর কাছে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। প্লাইমাউথের কাউন্টি বরো, ডেভনপোর্টের কাউন্টি বরো ও পূর্ব স্টোনহাউসের শহুরে জেলা নামের তিনটি প্রতিবেশী স্বাধীন শহর ১৯১৪ সালে একত্রিত হয়ে প্লাইমাউথের কাউন্টি বরোতে পরিণত হয়। এটি ১৯২৮ সালে শহরের মর্যাদা অর্জন করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, শহরের নৌ-গুরুত্বের কারণে, জার্মান সামরিক বাহিনী বোমা হামলার মাধ্যমে শহরটিকে লক্ষ্যবস্তু করে এবং আংশিকভাবে ধ্বংস করে, যা প্লাইমাউথ ব্লেৎজ নামে পরিচিত। যুদ্ধের পরে শহরের কেন্দ্রস্থল সম্পূর্ণরূপে পুনর্নির্মাণ করা হয়। পরবর্তী সম্প্রসারণের ফলে ১৯৬৭ সালে প্লাইম্পটন, প্লাইমস্টক ও অন্যান্য অদূরবর্তী শহরতলির অন্তর্ভুক্তি ঘটে।
শহরটিতে ২,৬২,১০০ জন (আনুমানিক, ২০১৯-এর মাঝামাঝি) লোক বাস করে, এটি যুক্তরাজ্যের ৩০-তম জনবহুল নির্মানাধীন এলাকা এবং ব্রিস্টলের পরে দক্ষিণ পশ্চিমের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। এটি স্থানীয়ভাবে প্লাইমাউথ সিটি কাউন্সিল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় এবং তিনজন এমপি জাতীয়ভাবে প্রতিনিধিত্ব করেন। প্লাইমাউথের অর্থনীতি জাহাজ নির্মাণ ও সমুদ্রপথে চলাচলের দ্বারা দৃঢ়ভাবে প্রভাবিত, কিন্তু ১৯৯০-এর দশক থেকে একটি পরিষেবা ভিত্তিক অর্থনীতির দিকে ঝুঁকছে পরেছে। শহরটি থেকে ব্রিটানি (রসকফ ও সেন্ট মালো) ও স্পেনের (স্যান্টান্ডার) ফেরি সংযোগ রয়েছে। এখানে পশ্চিম ইউরোপের বৃহত্তম পরিচালনাগত নৌ ঘাঁটি এইচএমএনবি ডেভনপোর্ট এবং প্লাইমাউথ বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। প্লাইমাউথকে বন্দর-শহরের শ্রেণিবিন্যাসের জন্য সাউদাম্পটন ব্যবস্থা ব্যবহার করে একটি ছোট-বন্দর শহর হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।[4]