চিত্রাঙ্কন (স্পষ্টতর অর্থে রংচিত্র অঙ্কন) বলতে কোনও সমতল পৃষ্ঠের উপর সাধারণত তুলি বা আঙুলের মাধ্যমে এক বা একাধিক রঙ (বিশেষ পদার্থে মিশ্রিত রঞ্জক পদার্থ) লেপন করে কোনও চিত্র অঙ্কন করাকে বোঝায়। চিত্রাঙ্কন প্রক্রিয়ার শেষে যে শিল্পকর্ম সৃষ্টি হয়, তাকে চিত্রকর্ম বলে। একজন শিল্পী যিনি পেশাগত কাজ অথবা শখের বশে চিত্রাঙ্কনের কাজ করেন তাকে চিত্রকর বা চিত্রশিল্পী বলা হয়। রংচিত্র অঙ্কন একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যকলা, যা অঙ্কন, অঙ্গভঙ্গি (অঙ্গভঙ্গি চিত্রকর্ম হিসেবে) কিংবা যে কোনো রচনা বিমূর্ত করে তোলে। চিত্রকর্ম হতে পারে স্বতঃস্ফূর্ত এবং প্রতিনিধিত্বমূলক (যেমনটি পাওয়া যায় স্থিরচিত্রে(Still Life) কিংবা প্রাকৃতিক চিত্রকর্মে, বিমূর্ত, বর্ণনামূলক, প্রতীকী কিংবা আবেগপুর্ণ। প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য উভয়ের চিত্রাঙ্কনের ইতিহাসের একটি অংশ ধর্মীয় চিত্রকলা দ্বারা প্রভাবিত। এই ধরনের চিত্রকর্মের নিদর্শন পাওয়া যায় মৃৎশিল্পের ওপর আঁকা পৌরাণিক চরিত্রের, বাইবেলে উল্লেখিত চরিত্রের, বুদ্ধের জীবন নিয়ে আঁকা দৃশ্যপটে কিংবা অন্যান্য ধর্মীয় চিত্রক্রমে যা পূর্বাঞ্চলের দেশগুলো থেকে জন্ম নিয়েছে।
যে জিনিসের উপর চিত্রাঙ্কন করা যায়, তাকে অবলম্বন বলে। অবলম্বনগুলির মধ্যে আছে দেয়াল, কাগজ, ক্যানভাস, কাঠ, কাঁচ, বার্নিশ, মৃৎশিল্প, পাতা, তামা এবং কংক্রিট। আবার যেসব ব্যবহার করে চিত্রকর্ম করা যায় তার মধ্যে আছে বালি, কাদা, কাগজ, চুন, শুকনো পাতাসহ আরও অনেক কিছু। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
টেম্পেরা (ইতালীয়:[ˈtɛmpera]), বা এগ টেম্পেরা হলো একটি স্থায়ী, দ্রুত শুকিয়ে যায় এমন চিত্র মাধ্যম, যা বিভিন্ন রঞ্জক পদার্থের সাথে পানিতে দ্রবণীয় বাইন্ডার (সাধারণত ডিমের কুসুম বা এই জাতীয় আঠাল বস্তু) এর মিশ্রণে তৈরি হয়ে থাকে। টেম্পেরা বলতে এই মাধ্যমে আঁকা চিত্রকর্মও বোঝায়। এই মাধ্যমে আঁকা চিত্রকর্ম বেশ দীর্ঘস্থায়ী হয়, যার উদাহরণস্বরুপ ১ম শতাব্দিতে অঙ্কিত চিত্র এখনো বিদ্যমান। এগ টেম্পেরা চিত্রকলার ইতিহাসে একটি প্রধান পদ্ধতি ছিল। ১৫০০ খ্রিস্টাব্দে তেল রঙের আবিস্কারের পর এর ব্যবহার কমে যায়। যুক্তরাষ্ট্রে বহুলব্যবহৃত একটি মাধ্যম, পোস্টার পেইন্টকে টেম্পেরা শ্রেণীর বলে বিবেচনা করা হয়, যদিও পোস্টার পেইন্টের ক্ষেত্রে ভিন্ন বাইন্ডার ও রঞ্জক পদার্থ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
লাল খড়িতে ১৫১২-১৫১৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে আঁকা লিওনার্দোর আত্মপ্রতিকৃতি
লিওনার্দো দা ভিঞ্চি বা লেওনার্দো দা ভিঞ্চি ছিলেন (ইতালীয়: Leonardo da Vinci: লেওনার্দো দা ভিঞ্চি; তার পূর্ণ নাম হল: Leonardo di ser Piero da Vinci লেওনার্দো দি সের পিয়েরো দা ভিঞ্চি; ১৫ এপ্রিল, ১৪৫২–২ মে, ১৫১৯ খ্রিস্টাব্দ.) ইতালীয়রেনেসাঁস পর্বের একজন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী। এছাড়া বহুমুখী প্রতিভাধর লিওনার্দোর অন্যান্য পরিচয়ও সুবিদিত; ভাস্কর,স্থপতি, সঙ্গীতজ্ঞ এবং সমরযন্ত্রশিল্পীসহ বিংশ শতাব্দীর বহু বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের নেপথ্য জনক। দা ভিঞ্চির জন্ম ফ্লোরেন্সের অদূরবর্তী ভিঞ্চি নগরের এক গ্রামে ১৪৫২ সালের ১৫ এপ্রিল। তাঁর বিখ্যাত শিল্পকর্ম গুলোর মধ্যে মোনালিসা, দ্য লাস্ট সাপার অন্যতম। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
এটি একটি ভালো নিবন্ধ, যা উচ্চ সম্পাদকীয় মানদণ্ডের মূল শর্তগুলো পূরণ করে।
গরররররররররর!! রয় লিকতেনস্তাইন কর্তৃক তেল এবং ম্যাগনা দ্বারা অঙ্কিত ১৯৬৫ সালের একটি ক্যানভাস চিত্রকর্ম। ৬৮ইঞ্চি ×৫৬.১২৫ইঞ্চি (১৭২.৭সেমি ×১৪২.৬সেমি) আকারের এই চিত্র অঙ্কনটি লিকতেনস্তাইন শলোমন আর. গগেনহেম জাদুঘরে উইল করেন। এটি একটি রাগান্বিত কুকুরের রাগ প্রকাশের মুখচ্ছবির অনোমেটোপোইক অভিব্যক্তি "গরররররররররর!!" শিল্পকর্মটি "আওয়ার ফাইটিং ফোর্সেস" থেকে প্রেরণা নিয়ে আঁকা হয়েছে। এছাড়াও এই চিত্রকর্মটি লিকতেনস্তাইনের আঁকা অন্যান্য সামরিক কুকুরের চিত্রকর্মের প্রেরণার উৎস হিসেবে অভিহিত হয়ে থাকে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
Image 4হিলমাএফ ক্লিন্ট, সভেনেন ( দ্য সোয়ান ), নং ১৭, গ্রুপ আইএক্স, সিরিজ এস ইউ ডাব্লিউ, অক্টোবর ১৯১৪-মার্চ ১৯১৫. এই বিমূর্ত কাজটি কখনো ক্লিন্টের জীবদ্দশায় প্রদর্শিত হয় নি। (বিমূর্ত শিল্প থেকে)