প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়
From Wikipedia, the free encyclopedia
প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয় বা সর্বন (ফরাসি: Université de Paris; sɔʁbɔn) ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত একটি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। ফরাসি বিপ্লবের সময় (১৭৯৩–১৮০৫) ছাড়া এটি ১১৫০ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। এটি ১১৫০ সালের দিকে নোত্র্ দাম দ্য পারি ক্যাথেড্রাল স্কুলের সাথে যুক্ত একটি কর্পোরেশন হিসাবে আবির্ভূত হয় এবং এটিই ইউরোপের দ্বিতীয় প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে বিবেচিত হয়। [1]
লাতিন: Universitas magistrorum et scholarium Parisiensis | |
নীতিবাক্য | Hic et ubique terrarum (Latin) |
---|---|
বাংলায় নীতিবাক্য | "এখানে এবং পৃথিবীর যে কোন জায়গায়" |
ধরন | কর্পোরেটিভ, তারপর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় |
স্থাপিত | উৎপত্তি: উচ্চ মধ্যযুগে নোত্র্ দাম দ্য পারির ক্যাথেড্রাল স্কুলের একটি কর্পোরেশন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত: আনু. ১১৫০ বন্ধ: ১৭৯৩ অনুষদগুলি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত: ১৮০৬ বিশ্ববিদ্যালয় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত: ১৮৯৬ বিভক্ত: ১৯৭০ |
অবস্থান | , |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
আনুষ্ঠানিকভাবে ১২০০ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের শাসক ২য় ফিলিপ দ্বারা অর্থায়নকৃত এবং ১২১৫ খ্রিস্টাব্দে পোপ ইনোসেন্ট ৩য় দ্বারা স্বীকৃত এবং পরবর্তীতে এটি রবার্ট ডি সরবন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১২৫৭ সালে রাজা লুই সপ্তদশ দ্বারা অর্থায়নকৃত ধর্মতাত্ত্বিক কলেজ অফ সোরবনের নামে এটির ডাকনাম সরবোন করা হয়। [1]
মধ্য যুগ থেকেই মানববিদ্যায় প্রাতিষ্ঠানিক সফলতার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে এটি অত্যন্ত খ্যাতিমান ছিল; বিশেষত ধর্মতত্ত্ব ও দর্শনে বেশ কয়েকটি একাডেমিক মান এবং ঐতিহ্যের প্রবর্তন করেছে, যা তখন থেকেই টিকে আছে এবং আন্তর্জাতিকভাবেও ছড়িয়ে পড়েছে; যেমন: ডক্টরেট ডিগ্রি। বিখ্যাত পোপ, রাজপরিবারের ব্যক্তি, বিজ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবীরা প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষিত ছিলেন। [2]
১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি বিপ্লবের সময় বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং বিপ্লবী কনভেনশনের আইটেম ২৭ দ্বারা কলেজের জিনিসপত্র ও ভবনগুলি বিক্রি করা হয়েছিল। [3] এরপরে ফ্রান্সের একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় একে ১৮০৬ সালে চারটি স্বতন্ত্র অনুষদ দিয়ে প্রতিস্থাপন করে। সেগুলি হল: মানবিক অনুষদ, আইন অনুষদ ( পরে অর্থনীতিসহ ), বিজ্ঞান অনুষদ, মেডিসিন অনুষদ ও ধর্মতত্ত্ব অনুষদ ( যা ১৮৮৫ সালে বন্ধ হয়ে যায়)।
১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দের মে মাসের নাগরিক অস্থিরতার পরে ১৯৭০ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ১৩টি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভক্ত করা হয় এবং কার্যত এই নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যায়।