প্যাগোডা উৎসব
মায়ানমারের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উৎসব / From Wikipedia, the free encyclopedia
প্যাগোডা উৎসব ( বর্মী: ဘုရားပွဲ </link> ; paya pwe ) হল মায়ানমারের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উৎসব এবং দেশের সেরা পাঁচটি উৎসবের অন্যতম।[1] প্যাগোডা স্তরে স্তরে নির্মিত টাওয়ার জাতীয় অট্টালিকা যাকে বৌদ্ধ ধর্মীয় স্থাপত্য হিসাবে গণ্য করা হয়। বৌদ্ধ ধর্মীয় স্থাপত্যে যেমন পাহাড় সদূশ স্তূপ দেখা যায় সেই রকম মায়ানমারের প্যাগোডার শীর্ষে 'এইচটিআই' (ছাতা)এর বা এর মুকুটের অবস্থান শুভ প্রতীক হিসাবে গণ্য করা হয়।[2] দেশজুড়ে মায়ানমারে প্রচুর প্যাগোডা দেখতে পাওয়া যায় তাই মায়ানমারকে প্যাগোডার দেশ বলা হয়। সেদেশের সংস্কৃতি, ধর্মীয় আচার আচরণে, পর্যটনে প্যাগোডার অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্যাগোডাকে কেন্দ্র করে এখানকার সামাজিক, ধর্মীয় এবং ঐতিহ্যগত প্রেক্ষাপটে পালিত হয় বহু বর্ণিল প্যাগোডা উৎসব। উৎসবের দিনক্ষণ চান্দ্রসৌর বর্ষপঞ্জি অনুসরণে বার্মিজ ধর্মীয় ক্যালেন্ডার দ্বারা নির্ধারিত ও পালিত হয়। প্রায়ই এক নির্দিষ্ট সময়ে বেশ কয়েক দিন ধরে অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্যাগোডা উৎসবের প্রধান ক্রিয়াকলাপ সাধারণত বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা যখন আট উপদেশ তথা উপোসথ পালন করেন সেই দিনের সাথে (বৌদ্ধ বিশ্রামবার) সাধারণত মিলিত হয় না। [2] বেশিরভাগ সময়ে প্যাগোডা উৎসব শুষ্ক মৌসুমে অনুষ্ঠিত হয়। দেশীয় তাজাউংমন মাস থেকে তাবাং মাস (অর্থাৎ ইংরেজি নভেম্বর হতে মার্চ পর্যন্ত) সময়ে প্যাগোডা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। [3] 'তাবাং' মাসের ( মাঘ পূজা ) পূর্ণিমার দিনে মিয়ানমারের বিভিন্ন স্থানে বৌদ্ধ ভক্তরাও 'মাঘ পূজা'র সঙ্গে স্যান্ড প্যাগোডা ফেস্টিভ্যাল বা বালি প্যাগোডা উৎসব উদযাপন করে। স্থানীয় ভেসাক বা বুদ্ধ পূর্ণিমার পর মাঘ পূজা মায়ানমারের দ্বিতীয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৌদ্ধ উৎসব।
মায়ানমারের সুপরিচিত প্যাগোডা উৎসবগুলি প্রায়ই সারা দেশ থেকে অসংখ্য তীর্থযাত্রী এবং বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
প্যাগোডা উৎসবগুলিতে সাধারণত দেশীয় মেলা তথা কৃষি প্রদর্শনী বা কার্নিভালের মতো শোভাযাত্রার আয়েজন করা হয়ে থাকে। গ্রামাঞ্চলের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনের উপর লক্ষ্য রেখে এগুলি উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান নেয়। তাছাড়া উৎসবের সময়, প্যাগোডার আশেপাশে তোরণসহ অস্থায়ী বাজার (খাবারের স্টল এবং পণ্যের স্ট্যান্ড সহ), বিনোদনের স্থান ( তাৎক্ষনিক নাটক, পুতুলনাচ জাতীয় 'ইয়ক দ্য' পারফরম্যান্স, কারেন উপজাতির অস্ত্রবিহীন মার্শাল আর্টলেথুই প্রতিযোগিতা [4] এবং স্থানীয় হ্রদে নৌকা বাইচের [5] ব্যবস্থা করা হয়। [2]