পোলিও টিকা
From Wikipedia, the free encyclopedia
পোলিও ভাইরাস থেকে বাঁচতে সারা বিশ্বে দুই প্রকার পোলিও টিকা ব্যবহার করা হয়, যেগুলো মুলতঃ poliomyelitis (পোলিও) নামক রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। এই দুই প্রকার টিকার মধ্যে একটিতে অক্রিয় পোলিও ভাইরাস এবং অপরটিতে দুর্বলকৃত পোলিও ভাইরাস ব্যবহার করা হয়। এই দুই প্রকার টিকা যথাক্রমে ১৯৫৫ এবং ১৯৬২ সাল থেকে পাওয়া যাচ্ছে। এ টিকা দেয়ার ফলে পোলিও ভাইরাস ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ছড়াতে পারে না। ফলে পোলিও রোগ নির্মূলে সারা বিশ্বে এ টিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।[1] কারণ একে তো পোলিও ভাইরাস রোগীদের মাঝে দীর্ঘদিন অবস্থান করতে পারে না, তথাপি প্রকৃতিতে স্তন্যপায়ীরা ছাড়া অন্য কোনো পোলিও বাহকও নেই,[2] তাছাড়া এ ভাইরাসটি প্রকৃতিতে খুব লম্বা সময়ের জন্য বাঁচতেও পারে না। ফলে এই দুই প্রকার টিকা পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ থেকে পোলিওকে বিলুপ্ত করেছে,[3][4] এবং পৃথিবীতে পোলিও আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩,৫০,০০০ (১৯৮৮) থেকে মাত্র ২২ (২০১৭)-এ নিয়ে এসেছে।[5][6]
এই নিবন্ধটি বাংলায় অনুবাদ করা প্রয়োজন। এই নিবন্ধটি বাংলা ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় লেখা হয়েছে। নিবন্ধটি যদি ঐ নির্দিষ্ট ভাষা ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়ে থাকে তবে, অনুগ্রহ করে নিবন্ধটি ঐ নির্দিষ্ট ভাষার উইকিপিডিয়াতে তৈরি করুন। অন্যান্য ভাষার উইকিপিডিয়ার তালিকা দেখুন এখানে। এই নিবন্ধটি পড়ার জন্য আপনি গুগল অনুবাদ ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু এ ধরনের স্বয়ংক্রিয় সরঞ্জাম দ্বারা অনুবাদকৃত লেখা উইকিপিডিয়াতে সংযোজন করবেন না, কারণ সাধারণত এই সরঞ্জামগুলোর অনুবাদ মানসম্পন্ন হয় না। |
রোগশয্যাসম্বন্ধীয় তথ্য | |
---|---|
এএইচএফএস/ ড্রাগস.কম | মুলতুম ভোক্তার তথ্য |
গর্ভাবস্থার শ্রেণি |
|
প্রয়োগের স্থান | Parenteral (IPV), Oral drops (OPV) |
এটিসি কোড |
|
আইনি অবস্থা | |
আইনি অবস্থা |
|
শনাক্তকারী | |
কেমস্পাইডার |
|
জোনাস এডওয়ার্ড সল্ক প্রথম পোলিও টিকার উদ্ভাবন করেন। ওই টিকাতে তিনি অক্রিয় পোলিও ভাইরাস ব্যবহার করেন। তিনি এই টিকায় বৈজ্ঞানিক কাজে ব্যবহৃত এক ধরনের বিশেষ কোষ (HeLa কোষ) ব্যবহার করেন, এবং ১৯৫২ সালে সর্বপ্রথম এর পরীক্ষা চালান। ডাঃ টমাস ফ্রান্সিস জুনিয়র ১৯৫৫ সালের ১২ এপ্রিল গোটা বিশ্বে এই টিকার কথা ঘোষণা করেন।[7] আলবার্ট সাবিন দূর্বলকৃত পোলিও ভাইরাস ব্যবহার করে দ্বিতীয় প্রকার টিকা উদ্ভাবন করেন, যা কিনা মুখ দিয়ে খাওয়া যায় (অর্থাৎ ওরাল)। ১৯৫৭ সাল থেকে সাবিনের এ টিকা দেয়া শুরু হয়, এবং ১৯৬২ সালে এর লাইসেন্স করা হয়।[8]
২০১৩ সালের নভেম্বরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সিরিয়াতে পোলিও রোগের মহামারির ঘোষণা দেয়। ফলে আরমেনিয়ার সরকার ১৫ বছরের নিচে বয়স এমন সকল সিরিয়-আরমেনীয়দের পোলিও টিকা নিতে নির্দেশ দেয়।[9] এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকার অন্তর্ভুক্ত। এ তালিকায় এমন সব ঔষধ সামগ্রী রয়েছে যা প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ক্ষেত্রে একান্ত প্রয়োজনীয়।[10]