![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/7/75/US_Nutritional_Fact_Label_2.svg/langbn-640px-US_Nutritional_Fact_Label_2.svg.png&w=640&q=50)
পুষ্টি তথ্যছক
বিশ্বের বহু দেশে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্যের মোড়কের উপরে অবশ্য-মুদ্রণীয় তথ্যছক যাতে পুষ্টি / From Wikipedia, the free encyclopedia
পুষ্টি তথ্যছক (ইংরেজি: Nutrition facts label বা Nutrition information panel) বিশ্বের বহু দেশে বেশির ভাগ মোড়কজাত খাদ্যদ্রব্যের মোড়কের উপরে মুদ্রিত বাধ্যতামূলক তথ্যের ছক যাতে ঐ খাদ্যে কী কী পুষ্টি উপাদান কী পরিমাণে আছে, তার একটি তালিকা ছকাকারে দেওয়া থাকে। বিশেষ করে খাদ্যশক্তি (ক্যালরি বা কিলোজুল এককে), স্নেহ পদার্থ, শর্করা, আমিষ ইত্যাদির পরিমাণ, দৈনিক চাহিদার শতকরা কতভাগ, ইত্যাদি সংক্রান্ত তথ্য থাকে। উন্নত বিশ্বের দেশগুলিতে সাধারণত বেশির ভাগ প্রক্রিয়াজাত খাদ্য যেমন রুটি, সিরিয়াল (খাদ্যশস্য থেকে প্রক্রিয়াজাত খাবার), টিনজাত ও হিমায়িত খাদ্য, জলখাবার, মিষ্টান্ন, পানীয়, ইত্যাদির মোড়কের গায়ে পুষ্টি তথ্যছক লাগানো বাধ্যতামূলক। এর বিপরীতে কাঁচা খাবার যেমন ফলমূল, শাক-সবজি ও মাছের সাথে এগুলি লাগানো বাধ্যতামূলক নয়।[2]
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/7/75/US_Nutritional_Fact_Label_2.svg/320px-US_Nutritional_Fact_Label_2.svg.png)
পুষ্টি তথ্যছকগুলি পাঠ করে ক্রেতারা কী ধরনের খাদ্য ক্রয় করবেন ও খাবেন, সে ব্যাপারে স্বাস্থ্যকর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। বিশেষ করে মেদবহুল বা অতিস্থূল ব্যক্তিরা এ থেকে লাভবান হতে পারেন।[3]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত আদর্শ পুষ্টি তথ্যছকগুলি চারটি অংশ নিয়ে গঠিত। সবচেয়ে উপরের অংশে সাধারণত একজনকে পরিবেশন করার মতো পরিমাণ কত এবং প্রতিটি মোড়কে বা পাত্রে এই পরিমাণ দিয়ে কয়জনকে পরিবেশন করার মতো খাদ্য আছে, সেই পরিবেশন সংখ্যা দেওয়া থাকে। এর ঠিক নিচে দ্বিতীয় অংশটিতে প্রতিটি পরিবেশনে কত ক্যালরি খাদ্যশক্তি বিদ্যমান, তার হিসাব দেওয়া থাকে। এর নিচে তৃতীয় অংশটিতে একটি পরিবেশনে খাদ্যে উপস্থিত পুষ্টি উপাদানগুলির নাম ও ভরের একটি তালিকা দেওয়া থাকে; সাধারণত স্নেহ পদার্থ (সেগুলিকে সম্পৃক্ত স্নেহ পদার্থ এবং অসম্পৃক্ত আন্তঃস্নেহ পদার্থ বা ট্রান্সফ্যাট-এ বিভক্ত করা হতে পারে), কোলেস্টেরল, সোডিয়াম, শর্করা (আঁশ, প্রাকৃতিক চিনি, অতিরিক্ত সংযোজিত চিনি, ইত্যাদি উপশ্রেণীতে বিভক্ত), আমিষ, খাদ্যপ্রাণ (ভিটামিন) ও কিছু খনিজ (লোহা, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ইত্যাদি) এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকে। ডানপার্শ্বের চতুর্থ অংশটিতে প্রতিটি খাদ্য উপাদানের দৈনন্দিন চাহিদার শতকরা কতভাগ বিদ্যমান, তার উল্লেখ থাকে।[4]