![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/9/94/Bundesarchiv_Bild_183-R01996%252C_Brieftaube_mit_Fotokamera_cropped.jpg/640px-Bundesarchiv_Bild_183-R01996%252C_Brieftaube_mit_Fotokamera_cropped.jpg&w=640&q=50)
পায়রা আলোকচিত্র
From Wikipedia, the free encyclopedia
পায়রা আলোকচিত্র একপ্রকার আকাশ হতে চিত্রগ্রহণ পদ্ধতি যা জুলিয়াস নুব্রোনার নামক এক জার্মান ঔষধবিক্রেতা ১৯০৭ সালে আবিষ্কার করেন। তিনি পায়রার সাহায্যে ঔষধ বিপণন করতেন। একটি হোমার পায়রার সাথে একটি এলুমিনিয়াম ফলক সংযুক্ত করা হয় এবং এর সাথে একটি স্বল্প ওজনের সময়-নির্দিষ্ট ক্যামেরা যুক্ত করা যেতো। নুব্রোনারের জার্মান পেটেন্ট আবেদন প্রাথমিকভাবে নামঞ্জুর করা হয়, কিন্তু পরবর্তীতে তিনি তার পায়রা দ্বারা সঠিক ছবি প্রস্তুত করতে সক্ষম হলে তার আবেদন মঞ্জুর করা হয়। তিনি তার পদ্ধতি ১৯০৯ সালের ড্রেসডেন আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে প্রদর্শন করেন, এবং ফ্র্যাংফুর্ট আন্তর্জাতিক উড্ডয়ন প্রদর্শনীত ও ১৯১০ ও ১৯১১ সালের প্যারিস বিমান মহড়ায় তার ধারনকৃত কিছু ছবি পোস্টকার্ড হিসেবে বিক্রি করেন।
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/9/94/Bundesarchiv_Bild_183-R01996%2C_Brieftaube_mit_Fotokamera_cropped.jpg/320px-Bundesarchiv_Bild_183-R01996%2C_Brieftaube_mit_Fotokamera_cropped.jpg)
প্রাথমিকভাবে, পায়রা আলোকচিত্রের সামরিক উপযোগীতা আকর্ষণ সৃষ্টি করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে যুদ্ধক্ষেত্রে পরীক্ষানিরীক্ষা ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়। এই সময়ে মাঠপর্যায়ে অস্থায়ী পায়রার খোপের প্রযুক্তি অতিশয় ফলপ্রসূ প্রামানিত হয়। তবে যুদ্ধকালীন সময়ে আকাশযান প্রযুক্তির দ্রুত উন্নয়ন পায়রা আলোকচিত্রের প্রতি আগ্রহ কমায় এবং নুব্রোনার তার পরীক্ষানিরীক্ষা পরিত্যাগ করেন। পায়রা আলোকচিত্র পুনরায় ১৯৩০ সালে এক সুইস ঘড়িপ্রস্তুতকারকের মাধ্যমে সাময়িকভাবে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে আসে, এবং একাধিক প্রতিবেদন অনুসারে জার্মান এবং ফ্রেঞ্চ সামরিক বাহিনিও এ নিয়ে আগ্রহ দেখায়। যদিও ২য় বিশ্বযুদ্ধে পায়রার মোতায়েন ব্যাপক হারে লক্ষ্য করা যায়, এটা স্পষ্ট নয় এসব পায়রার ঠিক কতটুকু অংশ আকাশ হতে চিত্রগ্রহণে নিয়োজিত ছিলো। মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) পরবর্তীতে পায়রার সাহায্যে গোয়েন্দা নজরদারীর জন্য ব্যাটারি-চালিত ক্যামেরা প্রস্তুত করে; যার ব্যাবহারের বিস্তারিত তথ্য এখনো গোপনীয়।
পায়রা আলোকচিত্র পদ্ধতির গুরুতর সমস্যাগুলো হলো সময় নিয়ন্ত্রণযোগ্য যথেস্ট ছোট এবং হালকা ওজনের ক্যামেরা তৈরি করা, এবং পায়রাগুলোকে প্রয়োজনীয় ওজন বহনের প্রশিক্ষন দেয়া। একই সাথে পায়রাদের অবস্থানের উপর সীমিত নিয়ন্ত্রণ, দিকনির্দেশনা এবং চিত্রগ্রহণের সময় চলার গতি ইত্যাদি বাধা সৃষ্টি করে। ২০০৪ সালে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (বিবিসি) লাইভ চিত্রগ্রহণের জন্য বাজ এবং চিলের সাথে খুদে ক্যামেরা জুড়ে দেয়। বর্তমানে কিছু গবেষক, আগ্রহী ব্যক্তি এবং শিল্পীরা একইভাবে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর সাথে ক্রিটারক্যাম ব্যবহার করে।