পাথরঘাটা উপজেলা
বরগুনা জেলার একটি উপজেলা / From Wikipedia, the free encyclopedia
পাথরঘাটা উপজেলা বাংলাদেশের বরগুনা জেলার অন্তর্গত একটি উপকূলীয় উপজেলা যা ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এটি বরিশাল বিভাগের অধীন বরগুনা জেলার ৬টি উপজেলার মধ্যে একটি এবং বরগুনা জেলার সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত। পাথরঘাটা উপজেলার উত্তরে বামনা উপজেলা ও পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে বরগুনা সদর উপজেলা ও বিষখালী নদী, পশ্চিমে বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলা ও হরিণঘাটা নদী। ইতোমধ্যে উপজেলা টিকে বাংলাদেশ সরকার চর, দুর্গম ও উপকূলীয় অঞ্চল হিসেবে সরকারি রাজস্ব খাতে যুক্ত করেছেন।
পাথরঘাটা | |
---|---|
উপজেলা | |
উপর থেকে- বিষখালী নদীর তীর, সমুদ্রগামী মাছ ধরা ট্রলার, ম্যানগ্রোভ বন উজাড় করে গড়ে ওঠা আবাদি জমি, শুটকি মাছ শুকানোর মাঠ, ভাঙন কবলিত পাথরঘাটার একটি নদী। | |
মানচিত্রে পাথরঘাটা উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২২°২′ উত্তর ৮৯°৫৮′ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | বরিশাল বিভাগ |
জেলা | বরগুনা জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ৩৮৭.৩৬ বর্গকিমি (১৪৯.৫৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ২,২৫,৫২৭ |
• জনঘনত্ব | ৫৮০/বর্গকিমি (১,৫০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৮৭২০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ১০ ০৪ ৮৫ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
সুন্দরবন উচ্ছেদ করে গড়ে ওঠা এ উপজেলার আয়তন ৩৮৭.৩৬ বর্গকিলোমিটার। সুন্দরবনের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্বাসমূলীয় বন টেংরাগিরি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য এ উপজেলায় অবস্থিত। এটি একটি কৃষিপ্রধান অঞ্চল। তা সত্ত্বেও এর অর্থনীতি পরোক্ষভাবে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের উপর নির্ভরশীল। এ উপজেলায় মৎস্য অবতরণ ও পাইকারী মৎস্য বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী পাথরঘাটা উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১,৬৩,৯২৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮০,৫৪৪ জন এবং মহিলা ৮৩,৩৮৩ জন। মোট পরিবার ৪৩,০৮৫টি।[2] স্বাক্ষরতার হার ৬৫%।