Loading AI tools
পাকিস্তানের ফুটবল উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
পাকিস্তান জাতীয় ফুটবল দল (উর্দু: پاکستان قومی فٹ بال ٹیم) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম পাকিস্তানের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৪৮ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৫৪ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯৫০ সালের ২৭শে অক্টোবর তারিখে, পাকিস্তান প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; ইরানের তেহরানে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে পাকিস্তান ইরানের কাছে ৫–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।
ডাকনাম | পাক শাহিন | |||
---|---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশন | |||
কনফেডারেশন | এএফসি (এশিয়া) | |||
প্রধান কোচ | জোসে আন্তোনিও নোপগুয়েইরা | |||
অধিনায়ক | জিশান রহমান | |||
সর্বাধিক ম্যাচ | জাফর খান (৪৪) | |||
শীর্ষ গোলদাতা | মুহাম্মদ ইসা (১৩) | |||
মাঠ | পাঞ্জাব স্টেডিয়াম | |||
ফিফা কোড | PAK | |||
ওয়েবসাইট | www | |||
| ||||
ফিফা র্যাঙ্কিং | ||||
বর্তমান | ১৯৫ (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[1] | |||
সর্বোচ্চ | ১৪১ (ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩) | |||
সর্বনিম্ন | ২০৫ (জুন ২০১৯) | |||
এলো র্যাঙ্কিং | ||||
বর্তমান | ২০৭ ৪ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[2] | |||
সর্বোচ্চ | ৯৬ (ডিসেম্বর ১৯৫৯) | |||
সর্বনিম্ন | ২০৮ (২০১২) | |||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | ||||
ইরান ৫–১ পাকিস্তান (তেহরান, ইরান; ২৭ অক্টোবর ১৯৫০) | ||||
বৃহত্তম জয় | ||||
থাইল্যান্ড ০–৭ পাকিস্তান (কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া; ৫ আগস্ট ১৯৬০)[3] পাকিস্তান ৯–২ গুয়াম (তাইপেই, তাইওয়ান; ৬ এপ্রিল ২০০৮)[4] পাকিস্তান ৭–০ ভুটান (ঢাকা, বাংলাদেশ; ৮ ডিসেম্বর ২০০৯)[5] | ||||
বৃহত্তম পরাজয় | ||||
ইরান ৯–১ পাকিস্তান (তেহরান, ইরান; ১২ মার্চ ১৯৬৯) ইরাক 8–0 পাকিস্তান (আম্মান, জর্ডান; ২৮ মে ১৯৯৩) | ||||
এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ | ||||
অংশগ্রহণ | ১ (২০০৬-এ প্রথম) | |||
সেরা সাফল্য | গ্রুপ পর্ব (২০০৬) |
১০,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট পাঞ্জাব স্টেডিয়ামে পাক শাহিন নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় পাকিস্তানের পাঞ্জাবের লাহোরের পাঞ্জাব স্টেডিয়ামের বিপরিত পাশে ফুটবল হাউজে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন জোসে আন্তোনিও নোপগুয়েইরা এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন সাউদার্ন ডিসট্রিক্টের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় জিশান রহমান।
পাকিস্তান এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, এএফসি এশিয়ান কাপেও পাকিস্তান এপর্যন্ত একবারও অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়নি। এছাড়াও, এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে পাকিস্তান এপর্যন্ত ১ বার অংশগ্রহণ করেছে, যেখানে তাদের সাফল্য হচ্ছে শুধুমাত্র গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণ করা।
মুহাম্মদ ইসা, জাফর খান, তানভির আহমেদ, হাসান বশির এবং শফিউল্লাহ খানের মতো খেলোয়াড়গণ পাকিস্তানের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
১৯৫০ সালের ৬ই জানুয়ারি তারিখে পাকিস্তান তাদের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশগ্রহণ করে, যেখানে তারা ইরানের কাছে ৫–১ গোলে পরাজিত হয়। দুই বছর পর পাকিস্তান কলম্বো কাপে খেলার সুযোগ পায়। সেখানে তাদের প্রথম ম্যাচে তারা ভারতের সাথে ড্র করে। দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২–০ গোলে এবং শেষ ম্যাচে ১–০ গোলে বার্মাকে পরাজিত করে। ফাইনালে উত্তীর্ণ পাকিস্তান ভারতের সাথে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ান হয়।
পাকিস্তান এপ্রিল মাসে ইরানের সাথে প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করে এবং ইরানের সাথে ০–০ গোলে ড্র করে। একই বছর পাকিস্তান কলম্বো কাপে শ্রীলঙ্কার কাছে ৬–০ গোলে পরাজিত করে রানার-আপ হয়। ১৯৫৪ সালে পাকিস্তান কলম্বো কাপে পুনরায় রানার-আপ হয়। পাকিস্তান এশিয়ান গেমসে সিঙ্গাপুরকে ৬–২ গোলে পরাজিত করলেও কলম্বো কাপের ফাইনালে মিয়ানমারের কাছে ২–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তান এশিয়ান গেমস মিশনে ব্যর্থ হয়, যেখানে তারা চীনা তাইপেইয়ের কাছে ৩–১ গোলে এবং দক্ষিণ ভিয়েতনামের সাথে ১–১ গোলে ড্র করে।
১৯৫৯ সালে পাকিস্তান ইরানের সাথে ৪–১ গোলে পরাজিত, ভারতের সাথে ০–১ গোলে জয় এবং ইসরায়েলের সাথে ২–০ গোলে পরাজিত হওয়ার ফলে ১৯৬০ সালের এশিয়া কাপের বাছাইপর্ব থেকে বিদায় নেয়, তবে এই প্রতিযোগিতায় পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে তাদের প্রথম জয় পায়। কয়েক মাস পর পাকিস্তান মালয়েশিয়ায় মারদেকা কাপে অংশগ্রহণ করে। সেখানে থাইল্যান্ডকে ৭–০ গোলে পরাজিত করে প্রথম কোন রেকর্ড গড়ে।
ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে, ১৯৯৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তান তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (১৪১তম) অর্জন করে এবং ২০১৯ সালের জুন মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে তারা ২০৫তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ৯৬তম (যা তারা ১৯৫৯ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ২০৮। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
২০৫ | ৩ | কম্বোডিয়া | ৮৪৭ |
২০৬ | ১৬ | বনেয়ার | ৮৩৩ |
২০৭ | ৪ | পাকিস্তান | ৮২৯ |
২০৮ | ৩ | বাহামা দ্বীপপুঞ্জ | ৮১৭ |
২০৯ | ২ | কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ | ৮০১ |
ফিফা বিশ্বকাপ | বাছাইপর্ব | ||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সাল | পর্ব | অবস্থান | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | |
১৯৩০ | প্রতিষ্ঠিত হয়নি | প্রতিষ্ঠিত হয়নি | |||||||||||||
১৯৩৪ | |||||||||||||||
১৯৩৮ | |||||||||||||||
১৯৫০ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ করেনি | |||||||||||||
১৯৫৪ | |||||||||||||||
১৯৫৮ | |||||||||||||||
১৯৬২ | |||||||||||||||
১৯৬৬ | |||||||||||||||
১৯৭০ | |||||||||||||||
১৯৭৪ | |||||||||||||||
১৯৭৮ | |||||||||||||||
১৯৮২ | |||||||||||||||
১৯৮৬ | |||||||||||||||
১৯৯০ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৪ | ০ | ০ | ৪ | ১ | ১২ | ||||||||
১৯৯৪ | ৮ | ০ | ০ | ৮ | ২ | ৩৬ | |||||||||
১৯৯৮ | ৪ | ০ | ০ | ৪ | ৩ | ২২ | |||||||||
২০০২ | ৬ | ০ | ১ | ৫ | ৫ | ২৯ | |||||||||
২০০৬ | ২ | ০ | ০ | ২ | ০ | ৬ | |||||||||
২০১০ | ২ | ০ | ১ | ১ | ০ | ৭ | |||||||||
২০১৪ | ২ | ০ | ১ | ১ | ০ | ৩ | |||||||||
২০১৮ | ২ | ০ | ১ | ১ | ১ | ৩ | |||||||||
২০২২ | অনির্ধারিত | অনির্ধারিত | |||||||||||||
মোট | ০/২৩ | ৩০ | ০ | ৪ | ২৬ | ১২ | ১১৮ |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.