পর্দা
একটি ধর্মীয় ও সামাজিক প্রথা / From Wikipedia, the free encyclopedia
পর্দা মুসলিম এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত নারী নির্জনতার একটি ধর্মীয় ও সামাজিক প্রথা।[1] মুসলিম মহিলাদের ক্ষেত্রে পর্দা একটি ফরজ আইন এবং মহিলাদের নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বলা হয়েছে কুরআন শরীফে।[2] পর্দা সাধারণত দু'টি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়, মহিলাদের শারীরিক বিচ্ছিন্নতা এবং শরীরকে আবৃত করার প্রয়োজনীয়তা যাতে মহিলারা তাদের ত্বক এবং রূপকে গোপন করেতে পারে। যে মহিলা পর্দা পালন করে তাকে পর্দানশীন বলা যেতে পারে। পর্দা শব্দটি কখনও কখনও বিশ্বের অন্যান্য অংশে অনুরূপ অনুশীলনের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়।
ভারতে মহিলাদের চলাফেরা এবং আচরণকে সীমাবদ্ধ করতে পর্দার অভ্যাস প্রাচীনকাল থেকেই বিদ্যমান ছিল এবং ইসলামের আগমনের সাথে সাথে এটি ভালোভাবে সমাজে প্রচলিত হয়েছিল।[3] ১৯ শতকের মধ্যে পর্দা হিন্দু অভিজাতদের মধ্যে প্রথাগত হয়ে ওঠে।[3] পর্দা ঐতিহ্যগতভাবে নিম্ন-শ্রেণির মহিলাদের দ্বারা পালন করা হয়নি।[4]
দেয়াল এবং পর্দার যুক্তিসঙ্গত ব্যবহারের মাধ্যমে ভবনগুলির মধ্যে শারীরিক বিচ্ছিন্নতা অর্জন করা হয়। একজন মহিলার পর্দায় ব্যবহার সাধারণত তার বাড়ির বাইরে তার ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপকে সীমাবদ্ধ করে। ইসলামে সাধারণ বুরকা ও হিজাব (অথবা নিকাব) নামক পোশাক পরিধানের মাধ্যমে পর্দা করা হয়। মুখ লুকানোর জন্য পর্দা ব্যবহার করা হয় এতে চোখ উন্মুক্ত হতে পারে বা নাও হতে পারে।