Loading AI tools
শায়েস্তা খানের কন্যা এবং শাহজাদা মুহাম্মদ আজমের স্ত্রী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
পরী বিবি ছিলেন সুবাহ বাংলার মুঘল সুবাহদার শায়েস্তা খানের কন্যা এবং সম্রাট আওরঙ্গজেবের পুত্র ও ভবিষ্যত মুঘল সম্রাট মুহাম্মদ আজম শাহ-এর স্ত্রী। [1] এছাড়াও তিনি মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের প্রধান স্ত্রী সম্রাজ্ঞী নূর জাহানের নাতনী। [2]
পরী বিবি | |
---|---|
জন্ম | ইরান দুখ্ত্ রহমত বানু |
মৃত্যু | ১৬৮৪ ঢাকা, সুবাহ বাংলা (বর্তমান বাংলাদেশ) |
সমাধি | |
দাম্পত্য সঙ্গী | মুহাম্মদ আজম শাহ |
রাজবংশ | তৈমুরীয় (বিবাহসূত্রে) |
পিতা | শায়েস্তা খান |
ধর্ম | ইসলাম |
শায়েস্তা খানের কন্যা পরী বিবির আসল নাম ছিল ইরান দুখত রহমত বানু। তবে পরী বিবি নামটিই অধিক প্রচলিত। তিনি শায়েস্তা খানের কন্যা কিনা তা নিয়ে কিছু ঐতিহাসিকদের মধ্যে দ্বিমত থাকলেও তিনি যে শায়েস্তা খানের কন্যা তা স্বয়ং শায়েস্তা খানের নিজের ওসিয়তনামা থেকেই প্রমাণিত হয়। ওসিয়তনামাটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কাটরা ওয়াকফ পরিদপ্তরে এখনো সংরক্ষিত আছে।
১৬৬৮ সালের ৩ মে শাহজাদা মুহাম্মদ আজম শাহ-এর সঙ্গে পরী বিবির বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। তাদের বিয়েতে দেনমোহর নির্ধারণ করা হয়েছিল এক লক্ষ আশি হাজার টাকা।
১৬৮৪ সালে লালবাগ কেল্লার অভ্যন্তুরে তার অকাল মৃত্যু ঘটে।[3]
১৬৭৮ সালে সুবাহ বাংলার তৎকালীন সুবাহদার শাহজাদা মুহাম্মদ আজম লালবাগ কেল্লার নির্মান শুরু করেন। তিনি বাংলার সুবাহদার (গভর্নর) হিসেবে মোট ১৫ মাস ঢাকায় ছিলেন। কিন্তু লালবাগ কেল্লার নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হওয়ার আগেই তার পিতা মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব মারাঠা বিদ্রোহ দমনের জন্য তাকে দিল্লিতে ফিরে আসার নির্দেশ দেন।
এসময়ের মধ্যে একটি দরবার হল ও একটি মসজিদ নির্মিত হয়। তারপর ১৬৮০ সালে পরী বিবির বাবা শায়েস্তা খান পুনরায় বাংলার সুবাদার নিযুক্ত হন। তিনি পুনরায় দুর্গের নির্মাণকাজ শুরু করেন। কিন্তু ১৬৮৪ সালে কেল্লার ভেতর শায়েস্তা খানের কন্যা ইরান দুখত রহমত বানুর (পরী বিবি) মৃত্যুর ফলে শায়েস্তা খান দুর্গটিকে অপয়া মনে করে ১৬৮৪ সালে এর নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন। [4]
তিনি দুর্গের অভ্যন্তরে পরীবিবির সমাধি উপর একটি সুদৃশ্য সমাধি সৌধ তৈরি করেন। যা পরিবিবির মাজার হিসেবে পরিচিত।
লালবাগের কেল্লার অভ্যন্তরে তিনটি স্থাপনা রয়েছে সেগুলো হলো– মসজিদ, পরী বিবির সমাধি ও দেওয়ান-ই-আম। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হল পরীবিবির মাজার। মূলত লালবাগ কেল্লার বিভিন্ন ছবিতে পরীবিবির মাজার ভবনটিই দেখানো হয়।
পরিবিবির মাজার ভবনটি বর্গাকার চতুষ্কোণ। ভবনের একদম মাঝের বর্গাকার কক্ষটিতে রয়েছে পরীবিবির কবর। এই কক্ষটিও ঘিরে আরও আটটি ঘর রয়েছে। ভবনের চার কোনায় রয়েছে চারটি ছোট মিনার এবং ছাদের কেন্দ্রভাগে রয়েছে অষ্টকোণ আকৃতির গম্বুজ। গম্বুজটি পূর্বে সোনার পাত দিয়ে মোড়ানো ছিল। বর্তমানে তা পিতল দিয়ে আচ্ছাদিত। ভবনটির কেন্দ্রীয় কক্ষ এবং এর চারপাশের চারটি কক্ষে সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে আচ্ছাদিত। কিন্তু ভবনের কোন চারটি কক্ষ সাধারণ প্লাস্টার করা।
ভবনটির চারপাশে চারটি ঝরনা ছিল কিন্তু বর্তমানে দক্ষিণ দিকের ঝরনাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। [3]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.