Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
পথ পত্রিকা এমন এক ধরনের খবরের কাগজ বা ম্যাগাজিন, যা সাধারণত গৃহহীন বা দরিদ্র ব্যক্তিরা বিক্রি করেন এবং মূলত এই জনগোষ্ঠীর সহায়তার জন্য প্রকাশিত হয়। এ জাতীয় বেশিরভাগ সংবাদপত্র প্রাথমিকভাবে গৃহহীনতা ও দারিদ্র্যজনিত সমস্যা সম্পর্কিত খবর সরবরাহ করে এবং গৃহহীন সম্প্রদায়ের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করে। পথ পত্রিকাগুলি এইসব ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে তাদের আওয়াজ তুলে ধরতে সাহায্য করে। গৃহহীন ব্যক্তিরা এইসব পত্রিকা বিক্রি করার পাশাপাশি এইরকম অনেক পত্রিকা আংশিকভাবে রচনা এবং প্রকাশও করে থাকেন।
উনিশ শতকের শেষের দিকে এবং বিশ শতকের গোড়ার দিকে দাতব্য, ধর্মীয় এবং শ্রমিক সংগঠন কর্তৃক প্রকাশিত বেশ কয়েকটি প্রকাশনা গৃহহীনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছিল, তবে ১৯৮৯ সালে নিউ ইয়র্ক সিটির স্ট্রিট নিউজ প্রতিষ্ঠার পরে পথ সংবাদপত্র সবার কাছে প্রচলিত হয়ে ওঠে। অনুরূপ কাগজ এখন ৩০ টিরও বেশি দেশে প্রকাশিত হয়, বেশিরভাগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিম ইউরোপে প্রকাশিত হয়। এগুলো সরকার, দাতব্য সংস্থা এবং বিভিন্ন জোট যেমন ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক অব স্ট্রিট পেপারস এবং নর্থ আমেরিকান স্ট্রিট নিউজপেপার অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক সমর্থিত। যদিও পথ খবরের কাগজের সংখ্যা বহুগুণ বেড়েছে, তবে অনেক পত্রিকা তহবিলের ঘাটতি, অনির্ভরযোগ্য কর্মী এবং গ্রাহকদের আগ্রহ তৈরি ও তা বজায় রাখতে না পারা-সহ বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে।
পথ পত্রিকাগুলি মূলত গৃহহীন ব্যক্তিদের দ্বারা বিক্রি হয়, তবে পত্রিকা অনুসারে কাগজের কতটা বিষয়বস্তু তাদের দ্বারা লেখা এবং কতটা খবর তাদের সাথে সম্পর্কিত তার তারতম্য ঘটে: কিছু কাগজপত্র মূলত গৃহহীন অবদানকারীদের দ্বারা লিখিত এবং প্রকাশিত হয়, বাকিরা পেশাদার কর্মী এবং মূলধারার প্রকাশনা হবার প্রচেষ্টায় রয়েছে। এই পার্থক্যগুলি পথ পত্রিকার প্রকাশকদের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে যে কী ধরনের উপাদান পত্রিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত এবং গৃহহীনদের কত পরিমাণ লেখালেখি ও প্রযোজনায় অংশ নেওয়া উচিত। একটি জনপ্রিয় পথ পত্রিকা দ্য বিগ ইস্যু এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কারণ এটি মূলধারার বিষয় এবং জনপ্রিয় সংস্কৃতি প্রচারের মাধ্যমে একটি বৃহৎ পাঠককে আকর্ষণ করার দিকে মনোনিবেশ করেছে, অন্যদিকে অন্যান্য সংবাদপত্রগুলি গৃহহীনদের ওকালতি এবং সামাজিক বিষয়গুলোতে জোর দেয় এবং কম আয় করে।
১৯৮৯ সালে নিউ ইয়র্ক শহরের স্ট্রিট নিউজের প্রকাশনা দিয়ে আধুনিক পথ পত্রিকার যাত্রা শুরু হয়,[1][2] এবং একই বছর সান ফ্রান্সিসকোতে স্ট্রিট শীট চালু হয়। দরিদ্র ও গৃহহীন লোকেদের উপার্জনের উপায় বের করতে এবং সামাজিক সমস্যার দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করতে ১৯শ শতাব্দীর শেষের দিকে পত্রিকাগুলোর প্রকাশ শুরু হয়েছিল। সাংবাদিক পণ্ডিত নর্মা ফে গ্রিন ১৮৭৯ সালে লন্ডনের স্যালভেশন আর্মি দ্বারা প্রকাশিত ওয়ার ক্রাই পত্রিকা সম্পর্কে উদ্ধৃতি দিয়ে এটিকে "ভিন্নমতাবলন্বী, গুপ্ত, বিকল্প প্রকাশনার" প্রাথমিক রূপ হিসেবে বর্ণনা করেন।[3] দরিদ্র জীবনযাপনের প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য ওয়ার ক্রাই পত্রিকাটি স্যালভেশন আর্মির অফিসার এবং শ্রমজীবী দরিদ্ররা বিক্রি করতেন। আধুনিক পত্রিকার আরেক পূর্বসূরী হলো সিনসিনাটি[4][5] শহরের হোবো নিউজ, যা ১৯১৫ থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত চলেছিল[টীকা 1] এবং বিশিষ্ট শ্রমজীবী এবং সামাজিক কর্মী এবং বিশ্বের শিল্পকর্মীদের দ্বারা নির্বাচিত লেখার পাশাপাশি হোবো বা ভ্রমণরত ভিক্ষুকদের থেকে মৌখিক ইতিহাস, সৃজনশীল রচনা নিয়ে প্রকাশ করত।[6] ১৯৭০ সালের আগে প্রকাশিত বেশিরভাগ পথ পত্রিকা, যেমন ক্যাথলিক ওয়ার্কার (১৯৩৩ সালে প্রতিষ্ঠিত[7]) ধর্মীয় সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিল।[8] ১৯শ শতাব্দীর শেষে এবং ২০শ শতাব্দীর গোড়ার দিকে শ্রমিকদের কাগজ এবং বিকল্প প্রচারমাধ্যমের অন্যান্য রূপের মত, প্রাথমিক পথ পত্রিকাগুলি প্রায়শই প্রতিষ্ঠা করা হত কারণ প্রতিষ্ঠাতারা বিশ্বাস করতেন যে, মূলধারার সংবাদগুলি সাধারণ মানুষের প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলি প্রকাশ করে না।[5]
১৯৮০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গৃহহীনতার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং একই সাথে মূলধারার গণমাধ্যমগুলি গৃহহীনদের যেভাবে চিত্রিত করছিল, তার ফলে গৃহহীনদের জন্য কাজ করা লোকদের মধ্যে অসন্তুষ্টি বৃদ্ধি পেতে থাকে। এসবের প্রতিক্রিয়া হিসেবে, ১৯৮০-এর দশকের শেষভাগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আধুনিক পথ পত্রিকাগুলি প্রকাশিত হতে শুরু করে।[9][10] সেই সময় অনেকগুলি সংবাদমাধ্যম গৃহহীন সমস্ত মানুষদের অপরাধী এবং মাদকসেবীরূপে চিত্রিত করে এবং উল্লেখ করে গৃহহীনতা সামাজিক বা রাজনৈতিক কারণে নয় বরঞ্চ অলসতার ফল।[7] এই কারণে প্রথম পথ পত্রিকা তৈরির অনুপ্রেরণা ছিল বিদ্যমান গণমাধ্যমে গৃহহীনদের প্রতি নেতিবাচক প্রচারণাকে প্রতিহত করা।
নিউ ইয়র্ক শহরে ১৯৮৯ সালের শেষদিকে প্রতিষ্ঠিত স্ট্রিট নিউজকে প্রায়শই প্রথম আধুনিক পথ পত্রিকা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।[11][12] এটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় ইতোমধ্যে কয়েকটি ছোট পত্রিকা প্রকাশিত হত, স্ট্রিট নিউজ এদের মধ্যে থেকে সর্বাধিক মনোযোগ আকর্ষণ করতে পেরেছিল এবং অন্যান্য অনেক কাগজের জন্য "অনুঘটক" হয়ে ওঠেছিল।[13] ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে আরও অনেক পথ পত্রিকা চালু হয়েছিল,[2][14][15] নিউইয়র্কের মনোযোগ আকর্ষক পত্রিকাগুলোকে তারা অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েছিল, যেমন ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বোস্টনের স্পেয়ার চেঞ্জ নিউজ। এই সময়ে প্রতি বছর গড়ে পাঁচটি নতুন পত্রিকার পত্তন হত।[1][8] গৃহহীন ব্যক্তিদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি এবং নীতি পরিবর্তনের জন্য এবং ডেস্কটপ কম্পিউটার দ্বারা সহজে প্রকাশনা উভয়কেই এই বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়;[1][8][16] ১৯৮৯ সালের পরে, ৩০টিরও[17] বেশি দেশে কমপক্ষে ১০০টি[18] পথ পত্রিকা চালু হয়। ২০০৮ সাল মোতাবেক, বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ঐ সময় ৩২ মিলিয়ন মানুষ পথ পত্রিকাগুলো পড়তেন এবং ২,৫০,০০০ জন দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত বা গৃহহীন ব্যক্তি এগুলো বিক্রি করতেন বা অবদান রাখতেন।[16]
পথ পত্রিকা বিশ্বব্যাপী অনেক প্রধান শহরে প্রকাশিত হতে শুরু করে,[19] প্রধানত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপে।[20][21] এগুলো বিশেষত জার্মানি ও সুইডেনে অধিক ছড়িয়ে পড়ে, জার্মানিতে ১৯৯৯ সালে বাকী ইউরোপের[21] তুলনায় বেশি পথ পত্রিকা ছিল, এবং সুইডেনে আলুমা, সিচুয়েশন সাথলেম এবং ফাকতুম পথ পত্রিকা ২০০৬ সালে সাংবাদিকতার জন্য সুইডিশ পাবলিসিস্টস অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার পেয়েছিল।[22][23] কানাডা, আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা এবং এশিয়ার কয়েকটি শহরে পথ পত্রিকা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।[2][16] এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু পথ পত্রিকা (যেমন শিকাগোর দ্বিভাষিক হস্তা কুয়ান্ডো ) ইংরেজি ব্যতীত অন্য ভাষায়ও প্রকাশিত হয়।[24]
১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে, পথ পত্রিকা আন্দোলনকে শক্তিশালী করার জন্য কয়েকটি জোট প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। যেমন পথ পত্রিকাকে সমর্থন করতে এবং "নৈতিক মান বজায় রাখার" লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক অফ স্ট্রিট পেপারস (আইএনএসপি) এবং ১৯৯৯ সালে নর্থ আমেরিকান স্ট্রিট নিউজপেপার অ্যাসোসিয়েশন (এনএএসএনএ) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[25] বিশেষত, ১৯৯০-এর দশকে পথ পত্রিকা আন্দোলনের দিকে মূলধারার গণমাধ্যমের আরও বেশি মনোযোগ কাড়তে এবং বিভিন্ন দেশের পথ পত্রিকার প্রকাশক এবং কর্মীদের মধ্যে আন্তঃসংযোগ এবং পরস্পর যোগোযোগের জন্য নতুন পথ পত্রিকাগুলোকে সহায়তা করার জন্য "আইএনএসপি" প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[26] আইএনএসপি এবং এনএএসএনএ ২০০৬ সালে তাদের সংস্থান একত্র করার পক্ষে ভোট দেয়;[27] তারা উভয়ে মিলে স্ট্রিট নিউজ সার্ভিস প্রতিষ্ঠা করে, যা এমন একটি প্রকল্প যেটি তাদের সদস্য পত্রিকাগুলোর নিবন্ধ সংগ্রহ করে এবং ইন্টারনেটে সংরক্ষণাগারভুক্ত করে।[25] ইউরোপেও জাতীয় পথ পত্রিকা জোট গঠিত হয়েছে (ইতালিতে একটি জাতীয় জোট রয়েছে এবং নেদারল্যান্ডসে স্ট্র্যাটেমিডিয়া গ্রোয়েপ নেদেরলান্দ রয়েছে)।[21]
বেশিরভাগ পথ পত্রিকারই তিনটি মূল উদ্দেশ্য রয়েছে:[7][28]
পথ পত্রিকার বৈশিষ্ট্য হল এটি গৃহহীন বা প্রান্তিক বিক্রেতারা বিক্রি করে।[29] যদিও অনেক পথ পত্রিকার লক্ষ্য থাকে সামাজিক সমস্যা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা এবং জনসাধারণকে গৃহহীনতা সম্পর্কে শিক্ষিত করা, তবে এই লক্ষ্যটি প্রায়শই গৌণ হয়ে যায়: কেননা অনেক মানুষ পথ পত্রিকা কেনে তবে পড়ার জন্য নয় বরং গৃহহীন বিক্রেতার প্রতি সমর্থন ও একাত্মতা প্রকাশের জন্য।[30]
পথ পত্রিকার পাঠকদের সঠিক সংখ্যা অস্পষ্ট। ১৯৯৩ সালে শিকাগোর স্ট্রিটওয়াইস পত্রিকা কর্তৃক পরিচালিত একজোড়া সমীক্ষায় উঠে আসে যে, সেই সময়ের যারা পথ পত্রিকা পড়ত, তারা কলেজগামী শিক্ষিত শ্রেণি ছিল, এবং এদের অর্ধেকেরও বেশি ছিলেন মহিলা ও অর্ধেকেরও বেশি ছিলেন অবিবাহিত।[31]
বেশিরভাগ পথ পত্রিকা পরিচালিত হয় গৃহহীন বিক্রেতাদের কাছে খুচরা মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে পত্রিকা বিক্রি করে (সাধারণত ১০% থেকে ৫০%-এর মধ্যে), তারপর বিক্রেতারা খুচরা মূল্যে কাগজটি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে এবং এ থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ তার নিজের কাছে রাখে।[1][8][20][টীকা 2] বিক্রয়কৃত উপার্জন বিক্রেতাদের "নিজের পায়ে দাঁড়াতে" সহায়তা করে।[8] বিক্রেতাদের প্রথমে কাগজ কেনার প্রয়োজন হয় এবং সেগুলো বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে হয়, যা তাদের আর্থিক পরিচালনার দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে।[32] বেশিরভাগ সংবাদপত্রের বিক্রেতাদের ব্যাজ[33][34] বা ম্যাসেঞ্জার ব্যাগ দ্বারা শনাক্ত করা যায়।[33] অনেক সংবাদপত্রের বিক্রেতাদের একটি আচরণবিধিতে স্বাক্ষর করার প্রয়োজন হয়[35] অন্যথায় "তাদের এ কাজ দেয়া হয় না"।[1]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের বেশিরভাগ পথ পত্রিকার বিক্রেতা হল গৃহহীন ব্যক্তিরা, তবে অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশে (বিশেষত ইউরোপে) পত্রিকাগুলি মূলত শরণার্থীদের দ্বারা বিক্রি হয়।[36] তবুও, সমস্ত বিক্রেতারা গৃহহীন নয়; কারও কারও স্থিতিশীল আবাসন রয়েছে তবে তারা অন্য চাকরি করতে অক্ষম, অন্যদিকে অন্যরা গৃহহীন অবস্থায় থেকে পত্রিকা বিক্রির আয় দিয়ে আবাসন খুঁজে পেতে সক্ষমও হয়। সাধারণভাবে, বড় মার্কিন পথ পত্রিকাগুলির সম্ভাব্য বিক্রেতাদের গৃহহীনতা বা দারিদ্র্যের প্রমাণ দেখানোর জন্য প্রয়োজন হয় না এবং স্থিতিশীল আবাসন পাওয়ার পরে বিক্রেতাদের অবসরও নিতে হয় না।[37] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ২০০৮ সাল থেকে "নতুন অভাবী" সম্প্রতি গৃহহীন বা কেবলমাত্র অস্থায়ী আর্থিক অসুবিধায় পড়েছে এমন বিক্রেতাদের সংখ্যা বাড়ছে—যা কিনা ঐতিহ্যগতভাবে বিক্রেতা বাহিনীতে সংখ্যাগরিষ্ঠ "দীর্ঘস্থায়ী গৃহহীন" এমন ব্যক্তির বিপরীত। এই বিক্রেতারা প্রায়শই সুশিক্ষিত এবং তাদের বিস্তৃত কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং ২০০৮-এর আর্থিক সংকটে তারা চাকরি হারিয়েছে।[38]
পথ পত্রিকা বিভিন্ন উপায়ে যাত্রা শুরু করতে পারে। কিছু যেমন স্ট্রিট সেন্স,[18] যা গৃহহীন বা পূর্বে গৃহহীন ব্যক্তিদের দ্বারা যাত্রা শুরু করেছিল, অন্যদিকে অনেকগুলি আরও পেশাদার উদ্যোগে শুরু যাত্রা শুরু করে।[20] অনেকগুলি, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রে, স্থানীয় সরকার এবং দাতব্য সংস্থা থেকে সাহায্য পায়।[20][39] বিভিন্ন জোট যেমন ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক অব স্ট্রিট পেপারস এবং নর্থ আমেরিকান স্ট্রিট নিউজপেপারস অ্যাসোসিয়েশন নতুন পথ পত্রিকার জন্য কর্মশালার আয়োজন করে এবং সহায়তা প্রদান করে।[25] অনেক পত্রিকা নিম্ন স্তর থেকে শুরু হয়, প্রথমে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে শুরু করে এবং "নতুন হিসেবে গণমাধ্যম ব্যবসায় আসে" এবং ধীরে ধীরে বিকশিত হয় ও পেশাদারদের নিয়োগ করে।[20][40] বেশিরভাগ পত্রিকার রাজস্ব আসে বিক্রি, দান এবং সরকারি অনুদান থেকে, আবার কোন কোনটির আয় আসে স্থানীয়ভাবে বিজ্ঞাপন থেকে।[20][24][41] পথ পত্রিকার বিজ্ঞাপন গ্রহণ করা উচিত কিনা সে বিষয়ে পথ পত্রিকার প্রকাশক এবং সমর্থকদের মধ্যে কিছুটা মতপার্থক্য রয়েছে, কেউ কেউ যুক্তি দেন যে, বিজ্ঞাপন ব্যবহারিক এবং পত্রিকা চালাতে সহায়তা করে এবং অন্যরা দাবি করেন যে, কাগজে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেয়া অনুচিত।[42]
পথ পত্রিকার জন্য নির্দিষ্ট ব্যবসার মডেলের বেশ তারতম্য লক্ষ্য করা যায়, কিছু পত্রিকা আছে বিক্রেতাদের দ্বারা পরিচালিত যারা গৃহহীনদের ক্ষমতায়নের উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়, আবার এমনও আছে যেগুলো অত্যন্ত পেশাদারদের দিয়ে লিখিত এবং বাণিজ্যিক সাপ্তাহিকী।[2] কিছু পত্রিকা (বিশেষত ইউরোপে) স্বায়ত্তশাসিত ব্যবসা হিসেবে কাজ করে, অন্যরা বিদ্যমান সংস্থা বা প্রকল্পের অংশ হিসেবে কাজ করে।[43] অনেক পত্রিকা রয়েছে যারা বেশ সফল হয়েছে, যেমন যুক্তরাজ্য ভিত্তিক দ্য বিগ ইস্যু, যা ২০০১ সালে এক সপ্তাহে প্রায় ৩,০০,০০০ কপি বিক্রি করেছিল এবং লাভের হিসাবে ১ মিলিয়ন ডলার সমমানের লাভ করেছিল,[44] তবে অনেক কাগজের মাসে ৩,০০০ কপিও বিক্রি হয় না এবং প্রকাশকরা তা থেকে সামান্যই লাভ করতে পারে।[2]
বেশিরভাগ পথ পত্রিকা গৃহহীনতা ও দারিদ্র্য সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে প্রতিবেদন করে,[2] কখনও কখনও কোন নীতির পরিবর্তন ও অন্যান্য ব্যবহারিক বিষয়ে তথ্যের একটি প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করে যা গৃহহীনদের জন্য প্রাসঙ্গিক কিন্তু মূলধারার প্রচার মাধ্যমে পরিবেশন করা হয় না[45] বিশিষ্ট নেতাকর্মী এবং সম্প্রদায় সংগঠকদের নিবন্ধ ছাড়াও স্বতন্ত্র পথ পত্রিকা বিক্রেতাদের প্রোফাইলসহ গৃহহীন ও দরিদ্রদের অবদান পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।[6][8][24][42][46] উদাহরণস্বরূপ, ওয়াশিংটন, ডিসির স্ট্রিট সেন্সের প্রথম সংস্করণে বিশিষ্ট গৃহহীন সম্প্রদায়ের বিবরণ, একজন কংগ্রেসম্যানের সাক্ষাৎকার, একটি চাকরি নেওয়ার খরচ ও সুবিধা নিয়ে সম্পাদকীয়, গৃহহীনতা সম্পর্কিত কয়েকটি কবিতা, একটি "কীভাবে-করবেন" কলাম এবং একটি রেসিপি বিভাগ ছিল।[1] ২০০৯ সালের লরেন্স, ক্যানসাস-ভিত্তিক চেঞ্জ অব হার্টের একটি সংস্করণে গৃহহীন শিবিরে সাম্প্রতিক বুলডোজার চালনার একটি প্রতিবেদন, গৃহহীনতা বিষয়ক একটি বইয়ের পর্যালোচনা, গৃহহীনদের সহায়তার জন্য পারিবারিক প্রতিশ্রুতি সংস্থার বিবরণ এবং সম্প্রদায়িক সংস্থার একটি তালিকা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত ছিল;[47] এই সংস্করণটির বেশিরভাগ লেখাই গৃহহীনদের লেখা ছিল।[33] এই লেখার শৈলী প্রায়শই সহজ এবং পরিচ্ছন্ন; সমাজ বিজ্ঞানী কেভিন হাওলি পথ পত্রিকাগুলিকে "স্থানীয় বাকপটুতা" বলে বর্ণনা করেছেন।[48]
হাওলির মতে, পথ পত্রিকাগুলি নাগরিক সাংবাদিকতার অনুরূপ, কেননা উভয়ই মূলধারার প্রচার মাধ্যমের অনুধাবন ত্রুটিগুলি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় এবং উভয়ই অ-পেশাদারদের জড়িত হতে উৎসাহিত করে। তবে উভয়ের মধ্যে একটি প্রধান পার্থক্য হল এই যে নাগরিক সাংবাদিকতা আন্দোলনে অগত্যা কোনও নির্দিষ্ট অবস্থানের পক্ষ নেয়ার প্রয়োজন হয় না, তবে পথ পত্রিকাগুলি খোলামেলাভাবে গৃহহীন ও দরিদ্রদের পক্ষে কাজ করে।[49]
বেশিরভাগ পথ পত্রিকার বিপরীতে, যুক্তরাজ্য ভিত্তিক দ্য বিগ ইস্যু বেশিরভাগ সময় সেলিব্রিটি সংবাদ এবং সাক্ষাৎকার প্রকাশে মনোনিবেশ করে, গৃহহীনতা ও দারিদ্র্য নিয়ে তেমন প্রচার করে না।[1] তবে এটি এখনও গৃহহীন বিক্রেতাদের দ্বারা বিক্রি হয় এবং গৃহহীন ব্যক্তিদের সহায়তা করার জন্য এর লভ্যাংশের বেশিরভাগ অর্থ গৃহহীন ব্যক্তি এবং ওকালতি সংস্থাগুলির পিছনে ব্যয় করে। তবে পত্রিকাটির বিষয়বস্তুর বেশিরভাগই পেশাদার কর্মীরা লিখেন এবং একটি বিস্তৃত পাঠকদের লক্ষ্য করে সেগুলি লেখা হয়।[11] পেশাদার প্রকৃতি এবং উচ্চ-উৎপাদন মূল্যের কারণে পথ পত্রিকাগুলির ঠিক কীভাবে কাজ করা উচিত তা নিয়ে পেশাদার এবং তৃণমূল আদর্শের লোকদের মধ্যে চলমান বিতর্কে এটি প্রায় সমালোচনার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।[20][50]
কিছু লোকের আয় ও কর্মসংস্থান প্রদান ছাড়াও, পথ পত্রিকাগুলির উদ্দেশ্য হল গৃহহীনদের দায়িত্ব এবং স্বাধীনতা প্রদান করা, পাশাপাশি একটি নিবিড় গৃহহীন সম্প্রদায় গঠন করা।[1][51] অনেকে বিক্রেতাদেরকে অতিরিক্ত কর্মসূচীর প্রস্তাব দেয়, যেমন চাকুরির প্রশিক্ষণ, আবাসন স্থাপনের সহায়তা এবং অন্য কোন সেবাতে সুপারিশ করা। অন্যরা বৃহত্তর সামাজিক পরিষেবা সংস্থার কর্মসূচী হিসেবে কাজ করে—উদাহরণস্বরূপ, শিকাগোর স্ট্রিটওয়াইস "মাদক ও অ্যালকোহল চিকিৎসা, উচ্চ বিদ্যালয়ের সমতুল্য ক্লাশ, কর্মজীবন সম্পর্কিত পরামর্শ এবং স্থায়ী আবাসন" ইত্যাদি প্রদানকারীদের কাছে বিক্রেতাদের জন্য সুপারিশ করতে পারে।[1] বেশিরভাগ লোক গৃহহীনতা ও দারিদ্র্য সম্পর্কিত সংগঠনের সাথে জড়িত ও সমর্থনদানকারী এবং অনেকে স্থানীয় গৃহহীন সম্প্রদায়ের "পর্যবেক্ষক" হিসেবে কাজ করে।[2] হাওলি পথ পত্রিকাকে "গৃহহীন, বেকার, শ্রমজীবী দরিদ্র, আশ্রয় ব্যবস্থাপক, স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, সম্প্রদায় সংগঠক এবং যারা তাদের পক্ষে কাজ করে তাদের মধ্যকার বিদ্যমান আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ককে সুসংহত করার একটি মাধ্যম" হিসাবে বর্ণনা করেছেন।[6]
পথ পত্রিকার প্রারম্ভিক দিনগুলিতে, প্রতারিত হবে ভেবে লোকজন প্রায়শই গৃহহীন বিক্রেতাদের কাছ থেকে পত্রিকা কিনতে অনিচ্ছুক ছিল।[53] উপরন্তু, অনেক পত্রিকা ভালো বিক্রি হত না কারণ তাদের লিখন এবং প্রকাশনাকে অ-পেশাদার এবং অনুপযুক্ত বলে মনে করা হত। প্রকাশিত বিষয়গুলিকে কখনও কখনও সংবাদের অযোগ্য সামগ্রী হিসেবে দেখা হত এবং সাধারণ জনগণ বা গৃহহীন সম্প্রদায়ের জন্য তা সামান্য প্রাসঙ্গিক হিসেবে ভাবা হত। [11][54] মন্ট্রিয়ল[11] এবং সান ফ্রান্সিসকোর[54] বিভিন্ন সংস্থা গৃহহীন অবদানকারীদের নিয়ে লেখা ও সাংবাদিকতা বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করে এই সমালোচনার জবাব দেয়। স্ট্রিটওয়াইজের মতো পত্রিকাগুলিকে অতীতে "ভয়ানক" বলে সমালোচনা করা হয়েছে, কেননা এর বিক্রেতারা খুব বিরক্তিকর ছিল এবং জোরে চিৎকার করত।[55] কিছু সংবাদপত্র ভাল বিক্রি হলেও ব্যাপকভাবে পঠিত হত না, কারণ অনেকেই পত্রিকা কিনত বিক্রেতাকে অনুদান দেবার জন্য, ও পত্রিকাটি কিনে ফেলে রাখেত।[30][52][56] হাওলি পড়ার এই দ্বিধা বা অনিচ্ছাকে "সমবেদনার অবসাদ" হিসেবে বর্ণনা করেছেন।[57] অন্যদিকে, কাগজগুলির মধ্যে যেগুলি ভালো বিক্রি হত এবং ব্যাপকভাবে পড়া হত, যেমন দ্য বিগ ইস্যু, সেগুলিকেও খুব বেশি "মূলধারার" বা বাণিজ্যিক বলে সমালোচনা করা হত।[11][58]
পথ পত্রিকাগুলির একাধিক সমস্যার মধ্যে আরও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: "ক্ষণস্থায়ী" বা উচ্চহারে অবিশ্বস্ত কর্মী পরিবর্তন,[11][57][59] পর্যাপ্ত অর্থের অভাব,[11][24][41] স্থানীয় অর্থায়নে যে পত্রিকা সরবরাহ করা হয় তাতে সাংবাদিকদের স্বাধীনতার অভাব, সরকার এবং জনসাধারণের মধ্যে গৃহহীনতা বিষয়ে আগ্রহের অভাব ইত্যাদি। উদাহরণস্বরূপ, সাংবাদিকতার অধ্যাপক জিম কানিংহ্যাম ক্যালগরির ক্যালগ্রি স্ট্রিট টক বিক্রি করার ক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলি লক্ষ্য করেছেন তার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন যে, বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত, রক্ষণশীল জনগোষ্ঠী "গৃহহীনতার কারণগুলির প্রতি যথেষ্ট সংবেদনশীল নয়"।[11] অনেক সময় গৃহহীনতা বিরোধী আইন প্রায়শই পথ পত্রিকা এবং এর বিক্রেতাদের লক্ষ্য করে করা হয়; উদাহরণস্বরূপ, নিউ ইয়র্ক শহর এবং ক্লিভল্যান্ডের আইনের কারণে বিক্রেতারা গণপরিবহন বা অন্যান্য উচ্চ ট্রাফিক এলাকায় পত্রিকা বিক্রি করতে পারে না, যা স্ট্রিট নিউজ এবং হোমলেস গ্রেপভাইন-এর মত পত্রিকাগুলির উপার্জনে অসুবিধার সৃষ্টি করেছে।[24]
পথ পত্রিকার সমর্থক এবং প্রকাশকদের মধ্যে পথপত্রিকাগুলি কীভাবে চালানো উচিত এবং তাদের লক্ষ্য কী হওয়া উচিত তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে, এতে "সামাজিক পরিবর্তনের পক্ষে দুই রকম দর্শনের সংঘাত" প্রতিফলিত হতে দেখা যায়।[50] বিতর্কের একপাশে এমন পত্রিকাগুলি রয়েছে যারা ব্যবসার মত কাজ করতে চায় এবং মুনাফা ও ব্যাপক পাঠক অর্জন করতে চায় যাতে গৃহহীনরা ব্যবহারিক উপায়ে উপকৃত হয়; অন্যদিকে অপরপাশে এমন পত্রিকাগুলি রয়েছে যেগুলি বিস্তৃত পাঠক অর্জনের পরিবর্তে গৃহহীন ও দরিদ্রদের "কণ্ঠস্বর" হতে চায়।[50] রিয়েল চেঞ্জের পরিচালক টিমোথি হ্যারিস এই দুই দলকেই "উদার উদ্যোগী" এবং "চরমপন্থী, তৃণমূল কর্মী" হিসাবে বর্ণনা করেছেন।[13]
বিশ্বের সর্বাধিক প্রচারিত পথ পত্রিকা দ্য বিগ ইস্যুর বিতর্কটি,[11][12] এই দুই রকম চিন্তাভাবনার একটি ভাল উদাহরণ।[টীকা 3] দ্য বিগ ইস্যু হল তারকাদের খবরে ঠাসা অনেকটা ট্যাবলয়েডের মত পত্রিকা; এটি গৃহহীনদের দ্বারা বিক্রি হয় এবং ভালো মুনাফা অর্জন করে যা পরে গৃহহীনদের উপকারে ব্যয় করা হয়, তবে পত্রিকার বিষয়বস্তু গৃহহীনদের দ্বারা লিখিত নয় এবং গৃহহীনদের সাথে সম্পর্কিত সামাজিক সমস্যাগুলি খুব কমই এতে লেখা হয়।[1] ১৯৯০-এর দশকের শেষদিকে যখন লন্ডন ভিত্তিক পথ পত্রিকাগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ করার পরিকল্পনা শুরু করে, তখন অনেক মার্কিন পথ পত্রিকার প্রকাশক রক্ষণাত্মক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছিলেন যে, তারা পেশাগতভাবে তৈরি দ্য বিগ ইস্যুর উৎপাদন মূল্য এবং মূলধারার আবেদনের সাথে প্রতিযোগিতা করে টিকতে পারবে না[2][50] ও দ্য বিগ ইস্যু গৃহহীনদের কন্ঠস্বর হতে যথেষ্ট কাজ করেনি।[60] দ্য বিগ ইস্যু নিয়ে ঐ বিতর্কে যা উঠে এসেছিল সেই বিরোধটি এখনো বাণিজ্যিক, পেশাদার পত্রিকা এবং তৃণমূল পত্রিকাগুলির মধ্যে চলমান রয়েছে,[12][20] একদিকে দ্য বিগ ইস্যুর মত পত্রিকাগুলি মূলধারার সংবাদপত্র এবং ম্যাগাজিনকে অনুকরণ করে বড় মুনাফা অর্জনের করে গৃহহীন ইস্যুতে বিনিয়োগ করছে এবং অন্যদিকে অন্যরা অর্থ উপার্জন করে এমন বিষয়বস্তুর বদলে রাজনৈতিক এবং সামাজিক বিষয়ের উপর মনোযোগ প্রদান করছে।[2] কিছু পথ পত্রিকার সমর্থকরা বিশ্বাস করেন যে, পত্রিকাগুলির প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিত গৃহহীন ব্যক্তিদের কণ্ঠস্বর হওয়া এবং মূলধারার গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের "শূন্যতা পূরণ" করা।[10] অন্যরা বিশ্বাস করে যে গৃহহীন ব্যক্তিদের চাকুরি এবং আয়ের ব্যবস্থা করা উচিত।[50]
মতবিরোধের অন্যান্য ক্ষেত্রগুলির মধ্যে আরও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: পথ পত্রিকাগুলির লেখা ও মুদ্রণে গৃহহীনদের অংশ নেওয়া উচিত কিনা[11] এবং পথ পত্রিকাগুলি উপার্জনের জন্য বিজ্ঞাপন গ্রহণ করবে কিনা।[42] কেভিন হাওলি বিভিন্ন পথ পত্রিকার মডেলের মধ্যে থাকা বিভাজনকে তুলে ধরে জানতে চান যে, "একটি প্রকাশনা প্রগতিশীল সামাজিক পরিবর্তনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ—এবং এখনও ব্যাপক পাঠক আকর্ষণ করে—এমন ভিন্নমতাবলন্বী পত্রিকা প্রকাশ করা সম্ভব কিনা"।[50]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.