Loading AI tools
উসমানীয় সাম্রাজ্যের ৩৫তম সুলতান উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
পঞ্চম মুহাম্মদ (উসমানীয় তুর্কি ভাষা : محمد خامس Meḥmed-i ẖâmis, তুর্কি Mehmed V Reşad বা Reşat Mehmet) (২/৩ নভেম্বর ১৮৪৪ – ৩/৪ জুলাই ১৯১৮) ছিলেন ৩৫তম উসমানীয় সুলতান তিনি সুলতান প্রথম আবদুল মজিদের পুত্র ছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তার পরবর্তীকালে তার সৎ ভাই ষষ্ঠ মুহাম্মদ তার উত্তরাধিকারী হন।
পঞ্চম মুহাম্মদ | |
---|---|
ইসলামের খলিফা আমিরুল মুমিনিন উসমানীয় সুলতান খাদেমুল হারামাইন শরিফাইন | |
উসমানীয় সুলতান ও খলিফা | |
রাজত্ব | ২৭ এপ্রিল ১৯০৯ - ৩ জুলাই ১৯১৮ |
রাজ্যাভিষেক | ১০ মে ১৯০৯ |
পূর্বসূরি | দ্বিতীয় আবদুল হামিদ |
উত্তরসূরি | ষষ্ঠ মুহাম্মদ |
উজিরে আজম | আহমেদ তৌফিক পাশা হোসেন হিলমি পাশা ইবরাহিম হাক্কি পাশা কুচুক মুহাম্মদ সাইদ পাশা আহমেদ মুহতার পাশা কিবরিসলি মুহাম্মদ কামিল পাশা মাহমুদ শেভকেত পাশা সাইদ হালিম পাশা তালাত পাশা |
জন্ম | তোপকাপি প্রাসাদ, কনস্টান্টিনোপল (বর্তমান ইস্তানবুল[1] | ২ নভেম্বর ১৮৪৪
মৃত্যু | ৩ জুলাই ১৯১৮ ৭৩) ইলদিজ প্রাসাদ, কনস্টান্টিনোপল (বর্তমান ইস্তানবুল) | (বয়স
স্ত্রী | কামুরেস কাদিনেফেন্দি দুররিয়ান্দ কাদিনেফেন্দি মিহরেনগিজ কাদিনেফেন্দি নাজপেরভের কাদিনেফেন্দি দিলফিরিব কাদিনেফেন্দি |
বংশধর | শাহজাদা মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিন শাহজাদা মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন শাহজাদা ওমর হিলমি রেফিয়া সুলতান |
রাজবংশ | উসমানীয় |
পিতা | প্রথম আবদুল মজিদ |
মাতা | গুলজেমাল সুলতান |
ধর্ম | ইসলাম |
তুগরা |
ইনি ইস্তানবুলের তোপকাপি প্রাসাদে জন্মগ্রহণ করেন।[2] সিংহাসনের অন্যান্য উত্তরাধীকারীদের মত তিনিও ৩০ বছর হারেমে কাটান। এর মধ্যে নয় বছর তিনি প্রাচীন ফার্সি কবিতা অধ্যয়ন করেন ও কবি হিসেবে নন্দিত হন। নবম জন্মদিনে তোপকাপি প্রাসাদে তাকে ইসলামী প্রথা অনুযায়ী খৎনা করানো হয়।
১৯০৯ সালের ২৭ এপ্রিল তার শাসনকাল শুরু হয়। তিনি প্রতীকীভাবে ক্ষমতায় ছিলেন। তার প্রকৃত কোনো রাজনৈতিক ক্ষমতা ছিল না। ১৯০৮ সালের তরুণ তুর্কি বিপ্লবের সময় থেকে উসমানীয় রাষ্ট্রীয় বিষয়গুলো তিন পাশা বলে পরিচিত তিনজন ব্যক্তিত্ব দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করাকে তার একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কাজ হিসেবে ধরা হয়। অক্ষশক্তির পক্ষে যুদ্ধে যোগদানের সরকারি সিদ্ধান্তের পর ১৯১৪ সালের ১১ নভেম্বর তিনি এই ঘোষণা দেন। তিনি আনোয়ার পাশার জার্মানপন্থি নীতির প্রতি বিরুপ ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়।[3]
এই ঘোষণা ছিল ইতিহাসের কোনো খলিফা কর্তৃক সর্বশেষ জিহাদের ডাক। এরপর ১৯২৪ সালে খিলাফত বিলুপ্ত হয়। উসমানীয় অঞ্চলে অসংখ্য মুসলিম বসবাস করলেও এই ঘোষণা যুদ্ধে তেমন উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেনি। ১৯১৬ সালে আরব বিদ্রোহের মাধ্যমে আরবরা ব্রিটিশদের পক্ষে যোগ দেয়।
১৫ অক্টোবর ১৯১৩ তে পঞ্চম মুহাম্মদ তার মিত্র দ্বিতীয় কাইজার উইলহেমকে কনস্টান্টিনোপলে আপ্যায়িত করেন। ১৯১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি তিনি প্রুশিয়া রাজতন্ত্রের ও একই বছরের ১ ফেব্রুয়ারি জার্মান সাম্রাজ্যের জেনারেল ফিল্ড মার্শাল হন।
যুদ্ধ শেষ হওয়ার চার মাস আগে পঞ্চম মুহাম্মদ ১৯১৮ সালের ৩ জুলাই ইলদিজ প্রাসাদে মৃত্যুবরণ করেন। এ সময় তার বয়স ছিল ৭৩ বছর। তিনি তার জীবনের অধিকাংশ সময় ডোলমাবাহচি প্রাসাদ ও ইলদিজ প্রাসাদে অতিবাহিত করেন। ইস্তানবুলের ইয়াপ অংশে তাকে দাফন করা হয়।
পঞ্চম মুহাম্মদ নিম্নোক্ত উসমানীয় পদবীর অধিকারী ছিলেন :
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.