নিপীড়ন (আত্মপরিচয়ভিত্তিক)
অন্য ব্যক্তি বা গোষ্ঠী দ্বারা কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ওপর পদ্ধতিগতভাবে দুর্ব্যবহার / From Wikipedia, the free encyclopedia
আত্মপরিচয়ভিত্তিক নিপীড়ন (ইংরেজি Persecution) বলতে সাধারণত বংশগত, নৃগোষ্ঠীগত, নরগোষ্ঠীগত বা জাতিগত পরিচয়, ধর্ম, কোনও রাজনৈতিক বিশ্বাস বা রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রতি সমর্থন, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি, ইত্যাদি আত্মপরিচয়গত কারণে কোনও ব্যক্তি বা দল যখন অন্য কোনও ব্যক্তি বা দলের সাথে প্রণালীবদ্ধভাবে দীর্ঘকাল ধরে তীব্র মাত্রায় অন্যায় ও নিষ্ঠুর দুর্ব্যবহার করে, সেই ঘটনাকে বোঝানো হয়।[1][2][3][4]দুর্ব্যবহারের মধ্যে শাস্তি দেওয়া, নির্যাতন, কষ্ট দেওয়া, হয়রানি করা, কারাবন্দী করা, শিবিরবন্দী বা অন্তরায়ণ করা, বিতাড়ণ করা, হত্যা করা, নির্বাসনে পাঠানো, ইত্যাদি পড়ে। তবে কতটুকু তীব্র হলে তাকে আত্মপরিচয়ভিত্তিক নিপীড়ন গণ্য করা হবে, সে নিয়ে বিতর্ক আছে।[5]
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন অনুযায়ী আত্মপরিচয়ভিত্তিক নিপীড়নের কোনও সর্বজনগৃহীত সংজ্ঞা না থাকলেও জাতিসংঘের শরণার্থীর মর্যাদা সংক্রান্ত ১৯৫১ সালের চুক্তি থেকে পরোক্ষভাবে এটি বলা যায় যে নরগোষ্ঠী, ধর্ম, জাতীয়তা, রাজনৈতিক মত বা কোনও সামাজিক দলের সদস্য হবার জন্য যদি কারও জীবন বা অবাধ জীবনযাপনের উপর হুমকি আসে, তাহলে সেই হুমকিকে সর্বদাই আত্মপরিচয়ভিত্তিক নিপীড়ন হিসেবে গণ্য করা যায়। অধিকন্তু উপরোক্ত একই কারণে যদি মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন ঘটে, তাহলে তাকেও আত্মপরিচয়ভিত্তিক নিপীড়ন বলা হবে।[6]