নিনেভেহ
From Wikipedia, the free encyclopedia
নিনেভেহ (/ ˈnɪnɪvə / NIN-iv-ə; আক্কাদিয়ান ভাষায়: 𒌷𒉌𒉡𒀀, URUNI.NU.A, Ninua; বাইবেলে উল্লিখিত হিব্রু ভাষায়: נִינְוֵה, Nīnəwē; আরবি ভাষায়: نَيْنَوَىٰ, Naynawā; সিরিয়াক ভাষায়: ܢܝܼܢܘܹܐ, Nīnwē[1]), যা আধুনিক কালের কুইয়ুঞ্জিক নামেও পরিচিত, ছিল উচ্চ মেসোপটেমিয়ার একটি প্রাচীন আসিরীয় শহর। বর্তমানে এটি ইরাকের মোসুল শহরে অবস্থিত। এটি টাইগ্রিস নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত ছিল এবং নব্য-আসিরীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর হিসেবে পরিচিত ছিল। সে সময় কয়েক দশক ধরে এটি বিশ্বের বৃহত্তম শহরের মর্যাদা লাভ করেছিল। পরবর্তীতে আজকের নিনেভেহ গভর্নোরেট এ শহরের নামানুসারেই নামকরণ করা হয়।[2]
ܢܝܼܢܘܹܐ | |
অবস্থান | মসুল, নিনেভেহ গভর্নরেট, ইরাক |
---|---|
অঞ্চল | মেসোপটেমিয়া |
স্থানাঙ্ক | ৩৬°২১′৩৪″ উত্তর ৪৩°০৯′১০″ পূর্ব |
ধরন | বসতি |
এলাকা | ৭.৫ কিমি২ (২.৯ মা২) |
ইতিহাস | |
পরিত্যক্ত | ৬১২ খ্রিষ্টপূর্ব |
ঘটনাবলি | নিনেভের যুদ্ধ |
খ্রিস্টপূর্ব ৬১২ অব্দে আসিরিয়ায় এক তিক্ত গৃহযুদ্ধের পর ব্যাবিলনীয়, মেডিস, পারস্য, সিথিয়ান এবং সিমেরিয়ানদের সমন্বয়ে গঠিত একটি জোটবদ্ধ বাহিনীর দ্বারা নিনেভেহ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এরপর থেকে শহরটি আর কখনও রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারেনি। তবে প্রাচীনকালের শেষের দিকে এটি একটি খ্রিস্টান বিশপের আসন ছিল। [উদ্ধৃতি প্রয়োজন] মধ্যযুগে মোসুলের তুলনায় শহরটির গুরুত্ব কমে যায় এবং ১৩শ শতাব্দীর মধ্যে অধিকাংশই পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।
ঐতিহাসিক মোসুল নগর কেন্দ্রের নদীর ওপারে এর ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। দেয়ালঘেরা এলাকার দুটি মূল ঢিবি, বা টিলা-ধ্বংসাবশেষ হলো - টেল কুয়ুঞ্জিক এবং টেল নবী ইউনুস, যেখানে ইউনুসের (জোনা) মাজারও রয়েছে। হিব্রু বাইবেল এবং কোরআন অনুসারে, ইউনুস ছিলেন একজন নবী যিনি নিনেভেহর মানুষকে উপদেশ দিতেন। নিনেভেহর ধ্বংসাবশেষ থেকে প্রচুর পরিমাণে আসিরীয় ভাস্কর্য এবং অন্যান্য নিদর্শন উদ্ধার করা হয়েছে, যেগুলি বর্তমানে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন জাদুঘরে স্থান পেয়েছে।[3]