বৌদ্ধ মহাসিদ্ধ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
নারো পা বা নারোপাদ[১] বা নড়পাদ[২] (১০১৬–১১০০)[৩][৪] একজন ভারতীয় বৌদ্ধ মহাসিদ্ধ ছিলেন।
গ্যুসেপ তুচ্চি একটি সংস্কৃত পুঁথি সম্পাদনা করতে গিয়ে প্রাকৃত শব্দ নারো পা এবং একটি সংস্কৃত ঘেঁষা শব্দ নারোপাদ খুঁজে পান। পরমার্থসংগ্রহ নামক একটি সংস্কৃত পুঁথিতে নড়পাদ নামক শব্দটি পাওয়া যায়। তিব্বতীরা তাদের ভাষায় তার নাম না-রো-পা, না-রো-পান-ছেন, না-রো-তা-পা প্রভৃতি রাখেন।[৫]
নারোপা একটি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার মাতার ইচ্ছাতে তিনি এক ব্রাহ্মণ কন্যাকে বিবাহ করতে বাধ্য হলেও আট বছর বিবাহিত জীবনের পর তিনি বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করে ২৮ বছর বয়সে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে সূত্র ও তন্ত্র শিক্ষার জন্য ভর্তি হন। এরপর তিনি মহাসিদ্ধ তিলো পার নিকটে গিয়ে বারো বছর ধরে মহামুদ্রা তত্ত্ব শিক্ষালাভ করেন। নারো পা তার শিক্ষা তিব্বতী অনুবাদক তথা বৌদ্ধ পণ্ডিত মার-পা-ছোস-ক্যি-ব্লো-গ্রোসকে দিয়ে যান।[৬]:১৪৪-১৪৭ এই বৌদ্ধ পণ্ডিত ফুল্লহারী নামক স্থানে[n ১] তার শেষ জীবন অতিবাহিত করে ৮৫ বছর বয়সে মারা যান।
তিব্বতী বৌদ্ধধর্মের কাগ্যু ধর্মসম্প্রদায় নারো পাকে এক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষক হিসেবে মনে করে। তাদের মতে, তিলো পার কাছ থেকে নারো পা ছয়টি যোগ সম্বন্ধে জ্ঞানলাভ করে হয়ে তার ছাত্র মার-পা-ছোস-ক্যি-ব্লো-গ্রোসকে দান করেন যা র্জে-ব্ত্সুন-মি-লা-রাস-পার মাধ্যমে তিব্বতীদের কাছে পৌছয়। নারো পাকে চুরাশি মহাসিদ্ধদের মধ্যে একজন বলেও বর্ণনা করা হয়ে থাকে।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.