নাড়ির স্পন্দন
From Wikipedia, the free encyclopedia
চিকিৎসা বিজ্ঞানে, নাড়ির স্পন্দন বলতে প্রশিক্ষিত আঙ্গুল দ্বারা হৃৎচক্রের সময় অনুভূত ধমনীগাত্রের চাপের তারতম্যকে বুঝায়। শরীরপৃষ্ঠে যেসব স্থানে ধমনীর সংকোচনকে অনুভব করা যায় সেখানেই নাড়ির স্পন্দন পাওয়া যায়। যেমন ঘাড়ে (ক্যারোটিড ধমনী ), কব্জি (রেডিয়াল ধমনী ), কুঁচকিতে (ফিমোরাল ধমনী ), হাঁটুর পিছনে (পপলিটিয়াল ধমনী ), গোড়ালি সন্ধির কাছে (পোস্টেরিয়র টিবিয়াল ধমনী ), এবং পায়ে (ডর্সালিস পেডিস ধমনী )। নাড়ির স্পন্দন,(বা প্রতি মিনিটে ধমনী নাড়ির গণনা) হৃদস্পন্দন পরিমাপের সমতুল্য। হৃদস্পন্দন শ্রবণের জন্য স্টেথোস্কোপ ব্যবহার করা হয়। তাই এক মিনিটের জন্য গণনাকৃত হৃদস্পন্দনকে সার্বিকভাবে নাড়ির স্পন্দন বলা যায়। রেডিয়াল ধমনির নাড়ির স্পন্দন সাধারণত তিনটি আঙুল ব্যবহার করে পরিমাপ করা হয়। আঙুলগুলো হলো :তর্জনী, মধ্যমা এবং অনামিকা আঙুৃল। নাড়ির স্পন্দনের অধ্যয়ন স্ফিগমোলজি নামে পরিচিত।
নাড়ির স্পন্দন | |
---|---|
অবয়ব | অ্যানিমালিয়া* |
জৈব পদ্ধতি | সংবহন তন্ত্র |
স্বাস্থ্য | প্রভাবিত নয়[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] |
ক্রিয়া | অনৈচ্ছিক |
পদ্ধতি | হৃৎপিণ্ড সারাদেহে রক্ত সরবরাহ করে। সংবহনতন্ত্রের মধ্য দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হবার সময় ধমনীগাত্রে যে চাপ সৃষ্টি হয় তা স্পর্শ্যগ্রাহ্য এবং হাত দ্বারা অনুভব করা যায়। |
পুনরাবৃত্তি | প্রতি মিনিটে ৬০-১০০ বার (মানুষ) |
ব্যাপ্তি | ০.৬-১ সেকেন্ড (মানুষ) |
পরিফেরা, নিডারিয়া, টিনোফোরা, প্লাটিহেলমিনথেস, ব্রায়োজোয়ান, অ্যামফিওয়াস ব্যতীত সকল অ্যানিমালিয়া |