![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/5/5b/Man_is_But_a_Worm.jpg/640px-Man_is_But_a_Worm.jpg&w=640&q=50)
ধর্মীয় সম্প্রদায় দ্বারা বিবর্তনবাদ প্রত্যাখান
From Wikipedia, the free encyclopedia
সৃষ্টি–বিবর্তন বিতর্ক ( সৃষ্টি বনাম বিবর্তন বিতর্ক কিংবা জীবনের ভিত্তি বিতর্ক নামেও পরিচিত) হল পৃথিবী, মানবতা, ও অন্যান্য জীবের উৎপত্তি সম্পর্কিত একটি চলমান, পুনরাবৃত্তিমূলক সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, এবং ধর্মতাত্ত্বিক বিতর্ক। খ্রিস্টান বিশ্বে সৃষ্টিবাদকে একসময় বিশাল পরিসরে সত্য হিসেবে বিশ্বাস করা হত। কিন্তু ১৯ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তন একটি পরীক্ষিত সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।[1] তবে পৃথিবীতে বিবর্তন তত্ত্বের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা ক্রমশঃ হ্রাস পাচ্ছে এবং স্কুলে বিবর্তন পড়ানো কমছে।[2][3]
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/5/5b/Man_is_But_a_Worm.jpg/640px-Man_is_But_a_Worm.jpg)
বৈজ্ঞানিক প্রেক্ষাপট থেকে নয় বরং দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এই বিতর্কে অস্তিত্ব রয়েছে। কেননা, বিজ্ঞান সমাজে বিবর্তন ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত ও প্রমাণিত।[4] শুধু তাই নয়, সৃষ্টবাদের মত প্রাচীন চিন্তাভাবনাকে অপবিজ্ঞান বলে বিশ্বজুড়ে আখ্যায়িত করা হয়।[5][6][7] যদিও এই বিতর্কের একটি সুপ্রাচীন ইতিহাস রয়েছে,[8][9]}তবে বর্তমানে বিজ্ঞান শিখার প্রসারের মাধ্যমে এই বিতর্কের অবসান ঘটেছে।[10][11] যদিও শিক্ষাক্ষেত্রে সৃষ্টবাদ শেখানোর প্রবণতা এখনও বিরাজ করছে।[12][13][14][15][16] যা নিয়ে খ্রিস্টান প্রধান দেশগুলোতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বেশ কিছু দেশে এই নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক চলমান।[17] এই বিতর্ককে অনেক সময়ই সংস্কৃতি যুদ্ধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।[18] সমধর্মী বিতর্ক ইহুদী ও ইসলাম ধর্মের মত অন্যান্য ধর্মের সম্প্রদায়ের মাঝেও দৃশ্যমান।
খ্রিষ্টীয় মৌলবাদীগণ আধুনিক জীবাষ্মবিদ্যা, বংশগতিবিদ্যা, টিস্যুতত্ত্ব, ক্ল্যাডিস্টিক্স এবং অন্যান্য শাখার দেখানো মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর সাধারণ পূর্বপুরুষ এর সাক্ষ্যপ্রমাণ নিয়ে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে, যেখানে এই জীবাষ্মবিদ্যা, বংশগতিবিদ্যা সহ অন্যান্য শাখাগুলো আধুনিক বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, মহাবিশ্ববিজ্ঞান এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক শাখার জ্ঞান থেকে প্রাপ্ত উপসংহারের উপর উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তারা সৃষ্টির ইব্রাহিমীয় ধারণা থেকে যুক্তি দান করেন এবং বিজ্ঞানের জগতে একটি স্থান অর্জনের জন্য তারা বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানের পাশাপাশি "সৃষ্টি-বিজ্ঞান" (Creation Science) নামক একটি বাগাড়ম্বরপূরণ কাঠামো দাঁড় করান।[19] যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে কিটজমিলার বনাম ডোভার বিতর্কে এই সৃষ্টি বিজ্ঞান পূর্ণাঙ্গভাবে ধর্মীয় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হিসেবে প্রকাশিত হয়, সেইসাথে এও প্রকাশিত হয় যে এখানে কোন আনুষ্ঠানিক বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।[20]