দ্য টারমিনেটর
From Wikipedia, the free encyclopedia
দ্যা টার্মিনেটর ১৯৮৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এক আমেরিকান বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীভিত্তিক চলচ্চিত্র। পরিচালনায় ছিলেন জেমস ক্যামেরন, ছায়াছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন ক্যামেরন নিজেই। ছবিটির অর্থায়ন করেছিলেন গেল অ্যান হার্ড। অভিনয়ে ছিলেন আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার, মাইকেল বেইন এবং লিন্ডা হ্যামিলটন। টারমিনেটর সিরিজের প্রথম মুভি এটি। সচল চিত্র ধারণ করা হয়েছিলো লস অ্যাঞ্জেলেসে। ছবিটি নির্মাণ করেছিলো হেমডেল ফিল্ম কর্পোরেশন, প্রচারে ছিলো ওরিওন পিকচারস। শোয়ার্জনেগার এখানে টারমিনেটরের ভূমিকায় অভিনয় করেন, ছবিটিতে তিনি ছিলেন একজন সাইবর্গ আততায়ী। ২০২৯ সাল থেকে তাকে অতীতে (১৯৮৪) পাঠানো হয়েছিলো ছোট্ট একটা দায়িত্ব দিয়ে। সারা কনরকে হত্যা করতে হবে তাকে। সারা কনরের অভিনয়ে ছিলেন হ্যামিলটন, যার ছেলে একদিন যন্ত্রশক্তিদের বিরুদ্ধে মানব সমাজকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করবে। বিয়েন এখানে কাইল রিজের ভূমিকাতে অভিনয় করেন, ভবিষ্যত থেকে অতীতে পাঠানো একজন সৈনিক সে। তার মিশন, সারা কনরকে রক্ষা করা।
দ্যা টার্মিনেটর | |
---|---|
পরিচালক | জেমস ক্যামেরুন |
প্রযোজক | গেল অ্যান হার্ড |
রচয়িতা |
|
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | Brad Fiedel |
চিত্রগ্রাহক | Adam Greenberg |
সম্পাদক | Mark Goldblatt |
প্রযোজনা কোম্পানি |
|
পরিবেশক | ওরিঅন পিক্সারস |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১০৭ মিনিট[2] |
দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র[1][3] |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $৬.৪ মিলিয়ন[4] |
আয় | $৭৮.৩ মিলিয়ন[4] |
বাণিজ্যিক সাফল্যের জন্য এই ছবিটির প্রতি তেমন কোন প্রত্যাশা ছিলো না। অথচ এটাই কী না আমেরিকান বক্স অফিসে টানা দুই সপ্তাহ শীর্ষে অবস্থান করেছিলো। এভাবেই ক্যামেরনের তার ফিল্ম ক্যারিয়ার শুরু করেন, জুটি বাঁধলেন আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের সঙ্গে। ছায়াছবিটি দুর্দান্ত জনপ্রিয় হয়েছিলো। অ্যাকশন সীন আর দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়া কাহিনী দর্শক ভালবেসেছিলো। সেই সঙ্গে শোয়ার্জনেগারের অভিনয় ছিলো আক্ষরিক অর্থেই দেখার মতো। এই ব্যাপক সফলতা ছায়াছবিটিকে সিরিজে রূপ দিলো সেই সঙ্গে টেলিভিশন সিরিজ, কমিক বুক এবং উপন্যাসের জন্ম দিলো এই ছায়াছবি। প্রথম সিকুয়েল, টারমিনেটর ২: জাজমেন্ট ডে মুক্তি পেয়েছিলো ১৯৯১ সালে।
২০০৮ সালে দ্য টারমিনেটর ছায়াছবিটিকে আমেরিকার জাতীয় চলচ্চিত্র নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন করে লাইব্রেরি অফ কনগ্রেস। সেখানে একে "সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক অথবা সৌন্দর্যের স্মারক" বলে আখ্যা দেওয়া হয়।