![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/f/f1/EM_spectrum.svg/langbn-640px-EM_spectrum.svg.png&w=640&q=50)
দৃশ্যমান আলো যোগাযোগ
From Wikipedia, the free encyclopedia
দৃশ্যমান আলো যোগাযোগ (ভি.এল.সি.) হলো তথ্য যোগাযোগের এক ভিন্নধর্মী ব্যবস্থা, যেখানে ৪০০ এবং ৮০০ হার্জের মধ্যকার দৃশ্যমান আলো ব্যবহার করে তথ্য আদান-প্রদান করা হয়। এটি অপটিক্যাল বেতার যোগাযোগ প্রযুক্তির একটি অংশ।
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/f/f1/EM_spectrum.svg/640px-EM_spectrum.svg.png)
এই প্রযুক্তিতে ১০ কিলোবিট/সেকেন্ডে সংকেত প্রেরণের জন্য ফ্লুরোসেন্ট বাতি (সাধারণ বাতি: তথ্য আদান-প্রদানের কোনো বিশেষ যন্ত্র নয়) অথবা স্বল্প-দূরত্বে ৫০০ মেগাবিট/সেকেন্ডে সংকেত প্রেরণের ক্ষেত্রে আলোক নিঃসারী ডায়োড ব্যবহার করা হয়। রিজনেবল অপটিক্যাল নিয়ার জয়েন্ট এক্সেস (রনজা)-এর মতো পদ্ধতিগুলো ১ থেকে ২ কিলোমিটার দূরত্বে পূর্ণাঙ্গ ইথারনেট গতিতে (১০ কিলোবিট/সেকেন্ড) সংকেত প্রেরণ করতে পারে।
ফটোডায়োড সংবলিত বিশেষভাবে নকশা করা বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলি সাধারণত আলোক সূত্র থেকে সংকেত গ্রহণ করে, যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটি মোবাইল ফোনের ক্যামেরা অথবা একটি ডিজিটাল ক্যামেরাই যথেষ্ট।[1] এই ডিভাইসগুলিতে ব্যবহৃত ইমেজ সেন্সরটি প্রকৃতপক্ষে ফটোডায়োড (পিক্সেল) এর একটি অ্যারে এবং কিছু কিছু অ্যাপ্লিকেশনে একটি একক ফটোডোডের চেয়ে এর ব্যবহার প্রাধান্য পেতে পারে। এই ধরনের সেন্সর হয় একাধিক-চ্যানেল (১ পিক্সেলের নিচে = ১ চ্যানেল) নতুবা একাধিক আলোক উৎসের স্থান-সংক্রান্ত চেতনা প্রদান করে।[2]
যোগাযোগের মাধ্যম স্বরূপ সর্বব্যাপী কম্পিউটিং এর জন্য দৃশ্যমান আলো যোগাযোগ ব্যবহার করা যেতে পারে, কারণ আলোক উৎপাদনকারী যন্ত্র (যেমন, ঘরে-বাইরে ব্যবহৃত বাতি, টেলিভিশন, ট্রাফিক বাতি, বাণিজ্যিক পর্দা, গাড়ির সামনের ও পিছনের বাতি, ইত্যাদি)[3] প্রায় সকল জায়গায় ব্যবহার করা হয়। উচ্চ-ক্ষমতার ব্যবহারিক ক্ষেত্রগুলোতে দৃশ্যমান আলোর ব্যবহার কম বিপজ্জনক, কারণ মানুষজন এটা দেখতে পেয়ে সাম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে নিজেদের চোখ রক্ষা করতে পারে।