Loading AI tools
পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক, বিবিধ প্রচারমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্যবাসীদের দোরগোড়ায় পরিষেবা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
দুয়ারে সরকার হলো পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক, বিবিধ প্রচারমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্যবাসীদের দোরগোড়ায় পরিষেবা এবং কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি পৌঁছে দেওয়ার জন্য চালু করা একটি প্রকল্প। এটি ২০২১ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস পূর্বে, ১লা ডিসেম্বর, ২০২০ নাগাদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করেন। দুয়ারে সরকারের শিবিরগুলি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পৌরসভার ওয়ার্ড স্তরে সংগঠিত হয়ে থাকে। এই কর্মসূচিগুলি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য আবেদনপত্র প্রদান এবং সংগ্রহকার্যের জন্য একটি দপ্তর হিসাবে কাজ করার পাশাপাশি বেশ কিছু নির্দিষ্ট পরিষেবাগুলির জন্য পরিষেবা প্রদানকারী হিসাবেও কাজ করে।
দুয়ারে সরকার | |
---|---|
প্রকল্পের ধরন | পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি প্রকল্প |
অবস্থান | পশ্চিমবঙ্গ |
প্রতিষ্ঠাতা | পশ্চিমবঙ্গ সরকার |
প্রতিষ্ঠিত | ২০২০ |
ওয়েবসাইট | প্রকল্পটির ওয়েবসাইট |
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ দিকে এই প্রকল্প নিয়ে এসেছিল রাজ্য সরকার।[1]
এক ছাদের তলায় বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা একসঙ্গে পাওয়ার জন্য এই প্রকল্পটি আরম্ভ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই প্রকল্পে, নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট এলাকায় ক্যাম্প তৈরি হয়। শিবির সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য যেমন শিবিরের তিথি, শিবির কতোক্ষণ খোলা থাকবে তথা কতোদিন ধরে চলবে, এইসব, শিবির স্থাপনের পূর্বেই জানিয়ে দেওয়া হয়। শিবিরে গিয়ে সাধারণ মানুষ সহজে বিভিন্ন সরকারি সুবিধা পেয়ে থাকেন। যেকোনও ভাতা সংক্রান্ত বিষয়ে কিম্বা অন্য কোনও সমস্যার সমাধানে জনসাধারণকে এই প্রকল্পের দ্বারস্থ হতে দেখা গেছে। দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, কিষান ক্রেডিট কার্ড, রেশন কার্ড, জাতিগত শংসাপত্রের মতো সরকারি স্তরের মোট ২৭টি জনকল্যাণমূলক প্রকল্পকে সরাসরি মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়।[2]
২০২২ সালের ১৯শে ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক দেশের সেরা প্রকল্প হিসেবে দুয়ারে সরকার প্রকল্পটিকে নির্বাচিত করে। ২০২৩ সালের ৭ জানুয়ারি দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে এই প্রকল্পের কারণে রাজ্য সরকারকে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু পুরস্কৃত করেন। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের ডিজিটাল ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২২ এর সর্বোচ্চ পুরস্কার হিসেবে পশ্চিমবঙ্গকে প্ল্যাটিনাম পুরস্কার দেওয়া হয়। এর আগে দুয়ারে সরকার, স্কচ আওয়ার্ডও জিতে নিয়েছে।[1]
পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলের মতে ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের জন্য পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল দ্বারা দুয়ারে সরকার প্রকল্পের জনসংযোগ পরিকাঠামোর সুযোগ তোলার অবকাশ রয়েছে।[2]
দুয়ারে সরকারের পঞ্চম দফার শেষ অবধি গোটা রাজ্যজুড়ে ৮২ হাজার ৩৪৫টি শিবির চালানো হয় যার মধ্যে ৩৪.৫ শতাংশ অর্থাৎ ২৮ হাজার ৩৮১টি ছিল মোবাইল ক্যাম্প। এই মোবাইল ক্যাম্পগুলির মাধ্যমে ১৪ লাখ ৯৫ হাজার রাজ্যবাসী নিজেদের সমস্যাগুলিকে নিয়ে আসেন। সব মিলিয়ে ৯৭ লাখ রাজ্যবাসীর আর্জি, আবেদন, অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে এই শিবিরগুলির মাধ্যমে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প সংক্রান্ত বিষয়ে ৭ লাখ ৬১ হাজারটি আবেদন জমা পড়ে, মৎস্যজীবীদের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত ৬ লাখ ৫৮ হাজারটি আবেদন জমা পড়ে। দুয়ারে সরকারে যে নতুন সুবিধাগুলি যুক্ত করা হয়, তার মধ্যে শুধু জমির পাট্টা সংক্রান্ত আবেদনের বিষয়েই ১ লাখ ২০ হাজারটি আবেদন জমা পড়েছিল ২০২২ এর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে। এছাড়া, বিদ্যুতের মাশুলে ছাড় সংক্রান্ত ২ লাখ ২৫ হাজারটি তথা বিদ্যুতের নতুন সংযোগের জন্য ১ লাখ ২৭ হাজারেরও বেশি আবেদন জমা পড়ে।[3] পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সূত্র অনুযায়ী, ২০২২ অবধি দুয়ারে সরকার প্রকল্পের পাঁচটি দফা সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ মানুষের কাছে সফলভাবে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। কিছু সংবাদসূত্র অনুযায়ী রাজ্যে মোট ৩ লাখ ৬১ হাজারটি আউটরিচ ক্যাম্প চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়[4] আবার কিছু সূত্র থেকে, রাজ্যে সাড়ে ছলক্ষ ক্যাম্প করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।[1]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.