Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
দাউদ খান কররানী (শাসনকাল ১৫৭২-১২ জুলাই ১৫৭৬) ছিলেন কররানী রাজবংশের এবং শাহী বাংলার সর্বশেষ সুলতান। তাঁর বাবা সুলায়মান খান কররানীর রাজত্বকালে তিনি ৪০,০০০ অশ্বারোহী, ৩,৬০০ হাতি, ১১,৪০,০০০ পদাতিক ও ২০,০০০ কামানের এক বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন। তিনি বর্তমান ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল আক্রমণ করেন।[1]
দাউদ খান কররানী | |
---|---|
বাংলার সুলতান | |
রাজত্ব | ১৫৭২-১৫৭৬ |
পূর্বসূরি | বায়েজিদ খান কররানী |
উত্তরসূরি | মুনিম খান (মুঘল সুবাহদার) |
মৃত্যু | ১২ জুলাই ১৫৭৬ রাজমহল, শাহী বাংলা (এখন ঝাড়খণ্ড) |
সমাধি | |
পিতা | সুলায়মান খান কররানী |
ধর্ম | সুন্নী ইসলাম |
দাউদ খান বাংলা সালতানাত নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি শের শাহ শুরির মত উচ্চাভিলাষী ছিলেন এবং সমগ্র ভারত উপমহাদেশ জয়ের স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু সম্রাট আকবরের সাথে তার শত্রুতা সৃষ্টি হয়।
সম্রাট আকবর গুজরাটে যুদ্ধে ব্যস্ত থাকার সময় দাউদ খান গাজীপুরের কাছে জামানিয়া আক্রমণ করেন। আফগান সেনারা জামানিয়া দখল করে এর দুর্গ অধিকার করে নেয়। আকবর তার জৌনপুরের গভর্নর মুনিম খানকে দাউদ খানের বিরুদ্ধে অগ্রসর হতে নির্দেশ দেন। মুনিম খান তার বন্ধু দাউদ খানের প্রধানমন্ত্রী লোদি খানের সাথে পাটনায় সাক্ষাত করেন এবং শান্তি স্থাপনে সম্মত হন। তবে এই সিদ্ধান্ত আকবর বা দাউদ খান কাউকেই সন্তুষ্ট করতে পারেনি। পরবর্তীতে দাউদ খান লোদি খানকে শাস্তি দেন।[2]
১৫৭৩ সালে মুনিম খান বিহার আক্রমণ করেন। ফলে দাউদ খান পিছু হটতে বাধ্য হন। তিনি পাটনায় আশ্রয় নেন। দাউদ খান কাতলু লোহানি, গুজার খান কররানী ও শ্রী হরিকে মোগলদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন। মুনিম খান টোডরমল ও মানসিংকে নিয়ে হাজিপুর আক্রমণ করেন। ব্যাপক সংঘর্ষের পর আফগানরা বিজয়ী হয়। আকবর এরপর হাজিপুরের দুর্গ দখল করে নেন। এটি আফগানদের রসদ সরবরাহের উৎস ছিল। আফগানরা এর ফলে প্রতিকূল অবস্থায় পড়ে এবং বাংলায় পিছু হটে। মুনিম খান কে বাংলা ও বিহারের গভর্নর নিয়োগ দিয়ে ফিরে যান। তাকে সাহায্য করার জন্য টোডরমলকে রেখে যাওয়া হয়।[2]
১৫৭৫ সালের ৩ মার্চ মোগল ও আফগানদের মধ্যে তুকারয়ের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। যুদ্ধের পর আফগানরা উড়িষ্যার কটকের দিকে পিছু হটে। মোগলরা তৎকালীন বাংলার আফগান রাজধানী তান্ডা দখল করে নেয়। মুনিম খান তান্ডা থেকে গৌড়ে রাজধানী সরিয়ে নেন। কটকের সন্ধিতে দাউদ খান বাংলা ও বিহারকে মোগলদের কাছে ছেড়ে দেন এবং নিজে উড়িষ্যায় রয়ে যান। ছয় মাস পর প্লেগ ছড়িয়ে পড়লে মুনিম খান অক্টোবরে মৃত্যুবরণ করেন।[2] এরপর কালাপাহাড় ও ঈসা খান মোগল বিরুদ্ধে লড়াই করেন। দাউদ খান গৌড় পুনরায় অধিকারের জন্য উড়িষ্যা থেকে ফিরে আসেন।
আকবর এরপর খান জাহান কুলির অধীনে একটি বাহিনী প্রেরণ করেন। তিনি তেলিয়াগড়হি দখল করে রাজমহলের দিকে অগ্রসর হন। দুই বাহিনী রাজমহলের যুদ্ধক্ষেত্রে মুখোমুখি হয়। যুদ্ধ অনেক দিন ধরে চলতে থাকে। বিহারের গভর্নর মোজাফফর খান তুরবাতি ও অন্যান্য সেনাপতিদের আকবর তাদের সাথে যোগ দেয়ার নির্দেশ দেন। অন্যদিকে দাউদ খানের পাশে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আফগান নেতা, জুনায়েদ, কুতলু খান ও কালাপাহাড় ছিলেন।[2] ভয়াবহ যুদ্ধের পর ১৫৭৬ সালের ১২ জুলাই ভয়াবহ যুদ্ধের পর দাউদ খান চূড়ান্তভাবে পরাজিত ও নিহত হন।
তার মৃত্যুর পর বাংলা সরাসরি মোগলদের অধীনে চলে আসে। এরপর থেকে বাংলা সুবা একজন সুবেদারের অধীনে শাসিত হতে থাকে।
পূর্বসূরী বায়েজিদ খান কররানী |
কররানী রাজবংশ ১৫৭২-১৫৭৬ |
উত্তরসূরী - |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.