থিমিস্টো (ইংরেজি: Themisto; /θɪˈmɪstoʊ/) বা বৃহস্পতি ১৮ (ইংরেজি: Jupiter XVIII) হল বৃহস্পতির একটি অগ্রমুখী অনিয়তাকার উপগ্রহ। ১৯৭৫ সালে আবিষ্কারের পর এটি হারিয়ে যায়। ২০০০ সালে এটি পুনরাবিষ্কৃত হয়।
আবিষ্কার | |
---|---|
আবিষ্কারক | চার্লস টি. কোয়াল (১৯৭৫) এলিজাবেথ পি. রোমার (১৯৭৫) |
আবিষ্কারের তারিখ | ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৫ ২১ নভেম্বর, ২০০০ (পুনরাবিষ্কৃত) |
বিবরণ | |
উচ্চারণ | /θɪˈmɪstoʊ/[1] |
নামকরণের উৎস | থিমিস্টো (Θεμιστώ, Themistō) |
বিকল্প নামসমূহ | এস/২০০০ জে ১ |
বিশেষণ | থিমিস্টোয়ান /θɛmɪˈstoʊ.ən/[2] থিমিস্টোইয়ান /θɛmɪˈstoʊ.iən/ |
কক্ষপথের বৈশিষ্ট্য [3] | |
অর্ধ-মুখ্য অক্ষ | ৭৫০৭০০০ কিমি |
উৎকেন্দ্রিকতা | ০.২৪২ |
কক্ষীয় পর্যায়কাল | +১৩০.০ দিন |
গড় ব্যত্যয় | ১৩৪.২° |
নতি | ৪৩.০৮° |
উদ্বিন্দুর দ্রাঘিমা | ২০১.৫° |
অনুসূরের উপপত্তি | ২৪০.৭° |
যার উপগ্রহ | বৃহস্পতি |
ভৌত বৈশিষ্ট্যসমূহ | |
গড় ঘনত্ব | ২.৬ গ্রাম/সেন্টিমিটার৩ (আনুমানিক)[4] |
প্রতিফলন অনুপাত | ০.০৪ (আনুমানিক)[5] |
তাপমাত্রা | ~১২৪ কেলভিন |
আপাত মান | ২১.০ |
আবিষ্কার ও নামকরণ
থিমিস্টো উপগ্রহটি ১৯৭৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর চার্লস টি. কোয়াল ও এলিজাবেথ রোমার কর্তৃক প্রথম আবিষ্কৃত হয়। সেই বছর ৩ অক্টোবর সেই আবিষ্কারের কথা ঘোষিত হয়[6] এবং উপগ্রহটি চিহ্নিত হয় এস/১৯৭৫ জে ১ (ইংরেজি: S/1975 J 1) নামে। যদিও সেই সময় এই উপগ্রহটির কক্ষপথ সুনিশ্চিতকরণের উপযোগী যথেষ্ট পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাওয়া হয়নি এবং পরবর্তীকালে উপগ্রহটি হারিয়ে যায়। (আরও দেখুন: হারানো গৌণ গ্রহ)
১৯৮০-এর দশকে জ্যোতির্বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তকগুলিতে পাদটীকার আকারে থিমিস্টোর কথা উল্লেখ করা হত। তারপর ২০০০ সালে একটি আপাতভাবে নতুন উপগ্রহ আবিষ্কার করেন স্কট এস. শেপার্ড, ডেভিড সি. জেউইট, ইয়াঙ্গা আর. ফার্নান্ডেজ ও ইউজিন এ. ম্যানিয়ার। এটিকে অভিহিত করা হয় এস/২০০০ জে ১ (ইংরেজি: S/2000 J 1) নামে। অনতিকালের মধ্যেই বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হলেন যে এই উপগ্রহটিই ১৯৭৫ সালে আবিষ্কৃত সেই উপগ্রহ।[7] ২০০০ সালের ৬ অগস্ট ব্রেট জে. গ্ল্যাডম্যান, জন জে. ক্যাভেলার্স, জ্যঁ-মার্ক পেতিত, হান্স শোল, ম্যাথিউ জে. হোলম্যান, ব্রায়ান জি. মার্সডেন, ফিলিপ ডি. নিকোলসন ও জোসেফ এ. বার্নসের একটি দল একটি পর্যবেক্ষণ চালিয়েছিলেন। পর্যবেক্ষণটির কথা মাইনর প্ল্যানেট সেন্টারে প্রতিবেদনের আকারে জানানো হলেও তা আইএইউ সার্কুলার (আইএইউসি) হিসেবে প্রকাশিত হয়নি। স্কট এস. শেপার্ড প্রমুখের পর্যবেক্ষণটি তৎক্ষণাৎ এই পর্যবেক্ষণের সঙ্গে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত করানো হয়।[8]
২০০২ সালের অক্টোবর মাসে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এই উপগ্রহটি গ্রিক পুরাণের নদীদেবতা ইনাকাসের কন্যা তথা দেবরাজ জিউসের (জুপিটার) প্রেমিকা থিমিস্টোর নামে এই উপগ্রহটির নামকরণ করা হয়।[9]
বৈশিষ্ট্যসমূহ
থিমিস্টোর কক্ষপথটি বিশেষভাবে লক্ষণীয়। বৃহস্পতির অধিকাংশ প্রাকৃতিক উপগ্রহ এক-একটি স্বতন্ত্র গোষ্ঠীবদ্ধ অবস্থায় বৃহস্পতিকে প্রদক্ষিণ করলেও থিমিস্টোর কক্ষপথ কোনও গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত নয়। এই উপগ্রহটি গ্যালিলীয় উপগ্রহসমূহ ও হিমালিয়া গোষ্ঠী নামে পরিচিত অগ্রমুখী অনিয়তাকার উপগ্রহের প্রথম প্রথম গোষ্ঠীর মধ্যপথে অবস্থিত।
থিমিস্টোর ব্যাস প্রায় ৮ কিলোমিটার (৫ মাইল)। এই উপগ্রহের অ্যালবেডো আনুমানিক ০.০৪।[5] এই তথ্যগুলি বিশ্লেষণ করে জানা গিয়েছে থিমিস্টোর পৃষ্ঠতলের আয়তন ২০০ থেকে ৩৮০ বর্গকিলোমিটারের মাঝামাঝি।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.