![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/d/d9/Tobaeruption.png/640px-Tobaeruption.png&w=640&q=50)
তোবা বিপর্যয় তত্ত্ব
From Wikipedia, the free encyclopedia
তোবা মহা-অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছে একটি মহা-আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাত (Super volcanic eruption) যা প্রায় ৭৫,০০০ বছর পূর্বে বর্তমান ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে অবস্থিত তোবা হ্রদে ঘটেছিল। এটা ইতিহাসের বৃহত্তম অগ্ন্যুৎপাতগুলোর মধ্যে একটি। তোবা বিপর্যয় তত্ত্ব অনুযায়ী এই অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বৈশ্বিক অগ্ন্যুৎপাতজাত শৈত্যের শুরু হয়। মহা-অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমে গেলে সেই অবস্থাকে অগ্ন্যুৎপাতজাত শীতকাল (Volcanic winter) বলা হয়। এই তত্ত্বটি অনুযায়ী এই অগ্ন্যুৎপাতজাত শীতকালের ফলে ৬ থেকে ১০ বছর ধরে বৈশ্বিক আগ্নেয়জাত শীতকাল (Global volcanic winter) বিরাজ করে এবং এর ফলে সম্ভবত ১০০০ বছর যাবৎ একটি হিম পর্ব (Cooling episode) চলে।
Toba catastrophe theory | |
---|---|
![]() অগ্ন্যুৎপাতটি দেখতে কীরকম হতে পারে তার একটি চিত্র ৪২ কিলোমিটার (২৬ মা) পুলাউ সিমেউলির.উপরে | |
আগ্নেয়গিরি | তোবা মহা-আগ্নেয়গিরি |
তারিখ | ৭৪,১০০—৭৫,৯০০ বছর পূর্বে |
স্থান | সুমাত্রা, ইন্দোনেশিয়া ২.৬৮৪৫° উত্তর ৯৮.৮৭৫৬° পূর্ব / 2.6845; 98.8756 |
VEI | 8 |
প্রভাব | দ্বিতীয় নিকটবর্তী মহা-অগ্ন্যুৎপাত; পৃথিবীকে ৬ বছরের জন্য অগ্ন্যুৎপাতজাত শীতে নিমজ্জিত করেছিল, সম্ভবত এর ফলে আঞ্চলিক ভূসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটে।[1] |
![]() তোবা হ্রদ হল তোবা বিপর্যয়ের ফলে তৈরি হওয়া একটি জ্বালামুখ হ্রদ |
১৯৯৩ সালে, বিজ্ঞান সাংবাদিক এন গিবনস এই অগ্ন্যুৎপাত এবং মানব বিবর্তনের জনসংখ্যা সংকোচন (Population bottleneck)-এর মধ্যে একটি সম্পর্ক প্রস্তাব করেন। নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইকেল র্যামপিনো এবং ইউনিভার্সিটি অব হাওয়াই-এর স্টিভেন সেলফ এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন। কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোন প্রজাতির সংখ্যা কমে গিয়ে প্রায় বিলুপ্তির পর্যায়ে চলে আসলে তাকে বিবর্তনের ভাষায় জনসংখ্যা সংকোচন বলা হয়। ১৯৯৮ সালে ইউনভারসিটি অব ইলিনয়েসের স্ট্যানলি এইচ. এনব্রোস এই সংকোচন তত্ত্বকে আরও উন্নত করেন।
এই সম্পর্ক এবং বৈশ্বিক শীতকাল তত্ত্ব উভয়ই বিতর্কিত।[2][3]
এই তোবা ঘটনাটি হল গবেষণায় থাকা আমাদের সবচাইতে নিকটবর্তী মহা-অগ্নুৎপাত।[4][5][6]