তুল নদী
মঙ্গোলিয়ার নদী / From Wikipedia, the free encyclopedia
তুল নদী (মঙ্গোলীয়: Туул гол) মধ্য এবং উত্তর মঙ্গোলিয়ার একটি নদী। মঙ্গোলদের কাছে পবিত্র, তুল নদীকে সাধারণত মঙ্গোলিয়ায় খাতান (রানী)তুল বলা হয়। এটি ৭০৪ কিলোমিটার অথবা ৪৩৭ মাইল লম্বা এবং ৪৯,৮৪০ বর্গকিলোমিটার অথবা ১৯,২৪০ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। ৬৩৬ খ্রিস্টাব্দে একটি চায়নিজ ঐতিহাসিক গ্রন্থ বুক অব সুই -এ নদীটিকে "দুলুও নদী" বলা হয়েছে। দ্য সিক্রেট হিস্ট্রি অব মঙ্গোল (১২৪০ খ্রিস্টাব্দ)-এ ঘন ঘন "তুল নদীর কৃষ্ণ বন" উল্লেখ করা হয়েছে যেখানে ওয়াং খানের প্রাসাদ ছিল। মিং রাজবংশ (১৩৬৮-১৬৪৪) চীন থেকে মঙ্গোলদের বিতারিত করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বেইজিং দখল করার পরে, মিং এর প্রতিষ্ঠাতা হংউ সম্রাট ১৩৭২ সালে তুল নদীর তীরে মঙ্গোলদের পরাজিত করে তাদের আবার ওরখন নদীর দিকে ধাবিত করেছিলেন। একইভাবে হংউ সম্রাট ১৪১৪ সালে আবার তুল নদীর তীরে ঐরাতদের পরাজিত করেছিল।[1]
তুল নদী তোলা | |
---|---|
স্থানীয় নাম | Туул гол |
অবস্থান | |
দেশ | মঙ্গোলিয়া |
আইমেগস | খেনটি, বুলগান, সেলেঙ্গি |
শহর | উলানবাটর |
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য | |
উৎস | খান খেন্টি কঠোর সুরক্ষিত অঞ্চল |
• স্থানাঙ্ক | ৪৮°৩০′৪০″ উত্তর ১০৮°১৩′২০″ পূর্ব |
মোহনা | অরখন নদী |
• অবস্থান | অরখন্টুল জেলা, সেলেঙ্গি |
• স্থানাঙ্ক | ৪৮°৫৬′৫০″ উত্তর ১০৪°৪৮′০″ পূর্ব |
দৈর্ঘ্য | ৭০৪ কিমি (৪৩৭ মা) |
অববাহিকার আকার | ৪৯,৮৪০ কিমি২ (১৯,২৪০ মা২) |
অববাহিকার বৈশিষ্ট্য | |
উপনদী | |
• ডানে | তেরেলজ নদী |
নদীটির উৎপত্তি হয়েছে টোভ আইমাগের আর্ডেন জেলার খেনটি পর্বতমালার খান-খেনটি-নুরুর প্রাকৃতিক জলাধার থেকে।[2] উৎপত্তির পর থেকে এটি দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হতে থাকে যতক্ষন না একটি উলানবাটর পৌঁছে। নদীর পানি মঙ্গোলিয়ার রাজধানী শহরের দক্ষিণ অংশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং বড় লুপ দিয়ে পশ্চিম দিকে অবিরত থাকে। এটি যখন বুলগান আইমাগের সীমানার সাথে মিলিত হয় তখন সীমানাটি দিয়ে চলতে চলতে উত্তর দিকে ফিরে যায়। সেলেঙ্গি আইমাগে প্রবেশের পর এটি অরখন্টুল জেলায় অরখন নদীতে গিয়ে পড়ে।[3]
অরখন নদী আবার সেলেঙ্গি নদীতে গিয়ে পড়ে, যা রাশিয়া এবং বৈকাল হ্রদে প্রবাহিত হয়েছে। তুল নদী খুস্তাইন নুরু জাতীয় উদ্যানের পাশ দিয়েও বয়ে গেছে। এটি সাধারণত নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত হিমায়িত হয়ে যায়। উইলো অরণ্য তুল নদীর তীরে বেড়ে উঠে এবং নদীটিতে বিপন্ন ২৭ প্রজাতির মাছ (স্টার্জিওন) বাস করে।[4] বর্তমানে নদীটি দূষণে ভুগছে, এর কিছু উলানবাটরের কেন্দ্রীয় পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নদী অভিমুখী হওয়ার কারণে, পাশাপাশি জামার অঞ্চলে সোনার খনির ফলে ভারী খনিজ ও পলি দূষণজনিত কারণে। তদুপরি, নদীর ধারে জনবসতি বাড়ার ফলে পানির গুণগত মানের অবনতি হয়েছে।