![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/3/3a/Dragon_Storm.jpg/640px-Dragon_Storm.jpg&w=640&q=50)
ড্রাগন ঝড় (জ্যোতির্বিজ্ঞান)
From Wikipedia, the free encyclopedia
শনি গ্রহের দক্ষিণ গোলার্ধে ড্রাগন ঝড় (ইংরেজি: Dragon Storm) লক্ষিত হয়। এই স্থানটি "ঝোড়ো গলি" (ইংরেজি: Storm Alley) অঞ্চল নামে অভিহিত। এই ঝড়ের পরিসর ২,০০০ মাইল (৩,২০০ কিমি) বা ততোধিক হতে পারে। ড্রাগন ঝড় হল বজ্রবিদ্যুৎপূর্ণ দৈত্যাকার এক ঝড়, যার সঙ্গে পৃথিবীর বৈদ্যুতিক বজ্রগর্ভ ঝড়ের তুলনা করা যেতে পারে। শনির বায়ুমণ্ডলের গভীর স্তরগুলি থেকে এটি শক্তি আহরণ করে। এই ঝড় বেতার তরঙ্গের উৎস। স্বল্পস্থায়ী গতিশূন্য অবস্থার বিস্ফোরণে এই তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়, যা ক্যাসিনি মহাকাশযানটিকে এটি শনাক্ত করতে সহায়তা করেছিল।
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/3/3a/Dragon_Storm.jpg/640px-Dragon_Storm.jpg)
ড্রাগন ঝড় (২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে অদ্ভুত আকারের জন্য এটির এহেন নামকরণ করা হয়) হল একটি বিরাট, উজ্জ্বল ও জটিল উত্তেজক ঝড়। এই ঝড়টিকে দীর্ঘস্থায়ী বলেই প্রতীত হয়। পর্যায়ক্রমে এটি দপদপ করে জ্বলে উঠে নাটকীয়ভাবে সাদা ঘোলাটে শিখা উদ্গীরণ করে। সেই শিখাগুলি তারপর প্রশমিতও হয়ে পড়ে। এটি বৃহস্পতি গ্রহের বৃহৎ লাল বিন্দু অঞ্চলের চরম অবস্থার অনুরূপ। উল্লেখ্য, বৃহস্পতির এই বিন্দুটি প্রকৃতপক্ষে ১৮৩০ সাল থেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে পর্যবেক্ষিত একটি প্রতীপ ঘূর্ণিঝড়। শনি গ্রহের ঝড়টি শক্তি বেতার বিচ্ছুরণের শক্তিশালী একটি উৎস, যেটিকে ক্যাসিনির বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর বজ্রপাতের মতো বৈদ্যুতিক ঘটনার সমতুল্য হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন।[1]
শনির রাত্রিকালে ঝড়টি যখন দিগন্তরেখার উপরে উঠতে শুরু করে, সেই সময় ক্যাসিনি একটি বিস্ফোরণ শনাক্ত করে। সূর্যালোকের দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া মাত্রই বিস্ফোরণটি থেমে যায়। গ্রহের রাত্রিকালে ঝড়টি শুরু হয়। কিন্তু গ্রহের সূর্যালোকিত অংশের দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া মাত্রই এটি সম্পূর্ণভাবে থেমে যায়। আপাতদৃষ্টিতে শনির আবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ ধরে এই ঘটনা চলে বলেই মনে হয়।